প্রেম বলুন বা বিয়ে—আজকাল কোনো সম্পর্কেরই যেন গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি বলে কিছু নেই। এরপরও কিছু সম্পর্ক যুগের পর যুগ পেরিয়ে টিকে থাকে আজীবন। কিছু লক্ষণ দেখে আপনি আগেই অনুমান করতে পারবেন যে সম্পর্কটা মজবুত আর টেকসই। কী সেই লক্ষণগুলো? বিজনেস গ্রোথ মেন্টর থেকে জেনে নেওয়া যাক।
১. আপনারা দুজন দুজনকে মনের গভীরের গাঢ় আর অন্ধকারাচ্ছন্ন সব কথা ভাগ করে নেন। এটা আসলে ভালো বন্ধুত্বের লক্ষণ। যেখানে কেউ কাউকে কোনো ভালো–মন্দের কোনো বাটখারা দিয়ে পরিমাপ করে না। একে–অন্যকে সহমর্মিতার জালে জড়িয়ে রাখে।
২. যেকোনো কথোপকথনে দ্বিমত থাকবেই। দুটো মানুষ কখনোই একরকম ভাববে না, এটাই স্বাভাবিক। সম্পর্কে এক পক্ষ অপর পক্ষের দ্বিমতকে সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা খুবই জরুরি।
৩. আপনাদের একজনের আরেকজনকে ছাড়া চলেই না! এমন না যে তার ওপর আপনি অর্থনৈতিক বা কোনোভাবে নির্ভরশীল। বিষয়টা আসলে মানসিক নির্ভরশীলতার।
৪. আপনি যেমন, আপনি যদি ঠিক সেই সত্তা নিয়েই আপনার সঙ্গীর সঙ্গে বাস করতে পারেন, তাহলে বুঝবেন, তিনিই সঠিক মানুষ। সঙ্গী এমন হওয়া উচিত, যার জন্য আপনাকে ‘অন্য কেউ’ সাজতে হবে না। আলগা কিছু করতে হবে না।
৫. আপনার মনে হবে যে অপর পক্ষ আপনার মানসিক স্বাস্থ্যকে সাম্যাবস্থায় রাখছে। অপর পক্ষের কারণে আপনি দুঃসময়েও নির্ভার থাকতে পারছেন। আপনার মানসিক চাপ কমছে।
৬. যৌনজীবনকে যতই অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করুন না কেন, টেকসই সম্পর্কের জন্য সুস্থ, মানসিক তৃপ্তিদায়ক যৌন সম্পর্কের বিকল্প নেই।
৭. আপনি আপনার সঙ্গীকে প্রকৃতপক্ষে যত দিন ধরে চেনেন, আপনার মনে হবে, আপনি তার চেয়েও আরও বেশি সময় ধরে তাঁকে চেনেন। ‘ঘর’ (হোম) বলতে আপনার আরেকজনের অস্তিত্বকেই মনে হবে।
সোর্স : প্রথম আলো
Leave a Reply