ব্যথানাশক এন্ডোরফিনের কথা
প্রাচীনকালে ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হতো আফিম। এখনো শক্তিশালী ব্যথানাশক হিসেবে মরফিন ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিকভাবে যা আফিম থেকে তৈরি হয়। আফিমের সদৃশ রাসায়নিক পদার্থগুলোকে বলে ওপিওয়েড। এন্ডোরফিন হলো মানবদেহ থেকে উৎপন্ন এমন একধরনের ওপিওয়েড, যেটি আফিমের চেয়ে বেশি শক্তিশালী ব্যথানাশক হিসেবে কাজ করে। এটি মাংসপেশি সঞ্চালনের সঙ্গে নিঃসৃত হয়। অর্থাৎ, ব্যায়াম করলে এন্ডোরফিনের নিঃসরণ বাড়ে। এ কারণেই শরীরের ব্যথা উপশম করতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। প্রাথমিকভাবে ব্যায়াম করলেও মাংশপেশিতে ব্যথা হয়। তবে সেই ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। কয়েক দিনেই সেরে যায়। নিয়মিত ব্যায়ামের সুফল অনেক।
এন্ডোরফিন শুধু ব্যথানাশক হিসেবে নয়, মানুষের মস্তিষ্কে আনন্দের অনুভূতিকেও প্রগাঢ় করে। শারীরিক কোনো আঘাতে যেমন সুচের খোঁচা খেলে অথবা পা মচকে গেলে শরীর থেকে এন্ডোরফিন নিঃসৃত হয়, প্রাকৃতিকভাবে যা ব্যথা কমায়। চীনে প্রচলিত চিকিৎসা হিসেবে আকুপাংচার বিশ্বখ্যাত। আকুপাংচারে শরীরের বিভিন্ন স্থানে সংবেদী স্নায়ুর প্রান্তে সুচ ফোটানো হয়। এতে সংবেদী স্নায়ু উদ্দীপ্ত হয়ে নিঃসৃত হয় এন্ডোরফিন। এভাবে ব্যথা কমানোর চিকিৎসা হিসেবে আকুপাংচার ব্যবহৃত হয়।
লেখা: ডা. রেজিনা নোভা
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২২, ১১: ৪১
সূত্র : প্রথমআলো ডট কম
Leave a Reply