পূজার সময়টিতে শাড়ির সঙ্গে বেছে নিতে পারেন এ ধরনের ব্লাউজ
শাড়ি তো পূজার প্রধান পোশাক। শাড়িতে প্রাধান্য পায় নানা রং আর নকশা। পাশাপাশি ব্লাউজের নকশা আর কাটেও যদি যোগ-বিয়োগ করতে পারেন, সাজে আসবে নতুনত্ব।
সাদার ভেতর সোনালি বলের ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লাউজের একদিকের ওপরের অংশে মানুষের প্রতিকৃতির নকশা এনেছে অন্য আমেজ। সাদা-লাল শাড়ির সঙ্গে সহজেই মানিয়ে যাবে। একরঙা সুতি শাড়ির সঙ্গে বাংলা সিনেমার রঙিন পোস্টারের নকশাও ভালো লাগবে।
ব্লাউজে থাকতে পারে ফ্রিলের ব্যবহার। এ ধরনের ব্লাউজ হলে শাড়িতে কোনো নকশা না থাকলেই ভালো।
কালো ব্লাউজের ওপর সাদা ছোট ছোট নকশা ব্লাউজটিকে দিয়েছে স্মার্ট লুক। সাদা বা কালোর সঙ্গে তো যাবেই। সুতির রঙিন কোনো শাড়ির সঙ্গেও মানিয়ে যাবে।
ব্লাউজের ওপরের একটি অংশ এভাবেও আলাদা রাখতে পারেন। শাড়ির আঁচলটি ভাঁজ করে কাঁধের ওপর দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ব্লাউজের বাড়তি অংশটি ফিতার সাহায্যে আটকে দিলেই হবে।
গলায় ফ্রিলের হালকা কাজ। বাকি অংশে আর কোনো কারুকাজ নেই। তবে কাটে আছে ভিন্নতা। ব্লাউজের নিচের অংশে রাখা হয়েছে উঁচু-নিচু কাট। পুরো ব্লাউজটিতেই ছিমছাম ভাব। ভারী কাজের শাড়ির সঙ্গেও মানিয়ে যাবে।
ব্লাউজটির ওপরের অংশ মসলিন দিয়ে বানানো। এতে চলে এসেছে স্বচ্ছ ভাব। বাকি অংশে ব্যবহার করা হয়েছে খাদির কাপড়। লাল-সাদা জামদানির জন্য আদর্শ ব্লাউজ।
নবমীর রাতে একটু ভারী করে সাজাই যায়। জামদানি শাড়ির সঙ্গে পরা হয়েছে ভারী গয়না। হাতায় একরঙা মসলিনের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়েছে ব্লাউজের বাকি অংশের কাপড়। সামনের নিচের দিকের অংশটি ফাঁড়া দেওয়া।
লাল-সাদা শাড়ির জন্য আরেকটি ব্লাউজ। যাঁরা হাতাকাটা পরতে চান না, এই নকশায় যেতে পারেন তাঁরা। তবে এ ক্ষেত্রে ব্লাউজের কাপড়টি যেন হয় সুতি। একদিকের কোমরে উজ্জ্বল রঙের কাপড় দিয়ে বো করা হয়েছে।
ব্লাউজের পেছনেও থাকতে পারে বোয়ের নকশা।
হাতাকাটা ব্লাউজের ওপর জ্যাকেট স্টাইলের ব্লাউজও পরতে পারেন। তবে যেখানে খুব গরম থাকবে, সেখানে এ ধরনের ব্লাউজ না পরাই ভালো।
রয়া মুনতাসীর
প্রকাশ: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৩: ৩৮
সূত্র : প্রথম আলো
Leave a Reply