হাইলাইটস
- উৎসবের মরসুমে যাতে বায়ুদূষণকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করা যায়,
- সেই উদ্দেশ্যে প্রথমে সমস্ত রকম বাজি পোড়ানো নিষিদ্ধ হলেও
- পরে পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোয় অনুমতি দেয় আদালত।
- তা সত্ত্বেও দেদার বাজি পোড়ানো হয়েছে এ বছর
করোনা সংক্রমণের পারদ এখন দেশে উপর-ণীচ করছে। কখনও বেশি, কখনও কম। তার মধ্যে এই বাড়তে থাকা দূষণ কোভিড-১৯ থেকে সদ্য সেরে উঠেছেন এমন ব্যক্তি, সারা বছর হাঁপানি জাতীয় শ্বাসকষ্টের সমস্যার ভোগেন এমন ব্যক্তি এবং সি ও পি ডি-র মতো রোগীদের জন্য ভয়ংকর পরিস্থিতি নিয়ে আসছে। সম্প্রতি এইমস-এর ডিরেক্টর রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, “দূষণ শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ করে ফুসফুসের রোগ, হাঁপানির রোগে আক্রান্ত মানুষের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। দূষণের ফলে কোভিড রোগীদের অবস্থা আরও গুরুতর ক্ষেত্রেও হতে পারে। তাই শুধু করোনা থেকেই বাঁচতেই নয়, দূষণ থেকে রেহাই পেতেও মাস্ক অবশ্যই পরা উচিত।”
দুষণ কমানোর কাজটা করতে পারে মানুষই। তার পাশাপাশি এই দূষণকে মোকাবিলা করার জন্য কী কী করবেন, এ বার দেখে নেওয়া যাক তা।
এক মাত্র প্রয়োজন হলে তবেই ভ্রমণ করুন: বায়ুদূষণের মধ্যে অবাঞ্ছিত ভাবে সর্বত্র বেরোনোর দরকার নেই। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। যখন খুব দরকার তখনই এক মাত্র বাড়ির বাইরে বেরোন। কোথাও বেড়াতে যেতে হলে, পরিবেশবান্ধব জায়গায় যান, যেখানে দূষণ কম। পাশাপাশি ইকো ফ্রেন্ডোলি ট্রাভেল মোড ব্যবহার করুন। অর্থাৎ হাঁটা, অন্য কারও সঙ্গে নিজের রাইড শেয়ার করা, নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি না ব্যবহার করে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা ইত্যাদি।
অন্দর দূষণকেও উপেক্ষা করবেন না: হ্যাঁ, শদুহু বাড়ির বাইরেই নয়, দূষণ হয় বাড়ির ভেতরেও। ঘরের ভিতরে থাকা অস্বাস্থ্যকর বায়ু থেকে দূরে থাকার গ্যারান্টি দিতে পারে না কেউই। তাই বাড়িতে গাছ লাগান।যত ছোটই বাসস্থান হোক, এয়ার পিউরিফায়িং ইনডোর প্ল্যান্ট লাগানো খুব জরুরি। পাশাপাশি সামর্থ্য থাকলে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করুন। তবে এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহারের পাশাপাশি নিয়ম মেনে তার ফিল্টার বদলানোও জরুরি।
মাস্ক পরে থাকুন: মাস্ক এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অঙ্গ হয়ে গিয়েছে। করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক পড়া যেন অতি আবশ্যক, ঠিক তেমনই দূষণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতেও আমস্কের জুড়ি নেই। তবে কেমন ধরনের মাস্ক ব্যবহার করছেন, সেটা দেখাও জরুরি। সার্জিক্যাল মাস্ক, এন ৯৫ মাস্ক খুব কাজের। তবে বাহারি, ফ্যাশনেবল মাস্ক সেই কাজ করতে পারে না। পাশাপাশি, সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করলে রোজ তা ব্যবহার করে ফেলে দেওয়াই উচিত।
দূষণের পূর্বাভাস ট্র্যাক করুন: এখন ইন্টারনেট এবং সাম্ররট ফোনের কল্যাণে পুরো দুনিয়াই হাতের মুঠোয়, এ কথা বললেও ভুল বলা হবে না। তাই নিজেই নিজের এলাকার পলিউশন ফোরকাস্ট ট্র্যাক করুন। গুগলে সব তথ্যই সহজে পাওয়া যায়। ধরুন, আপনাকে কোথাও যেতে হবে পরের দিন। এ কিউ আই কেমন থাকে, সেই বুঝে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিন। অথবা যাওয়া আবশ্যিক হলে সেই বুঝে মাথা, নাক-মুখ ঢেকে বেরোন।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলুন: সকালে জইং বা পার্কে ব্যায়াম করার অভ্যেস খুবই ভাল। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, সেই ব্যায়াম করবেন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে। যে দিন বাতাসের এ কিউ আই খুবই খারাপ, সেদিন বাইরে বেরিয়ে ব্যায়াম না করাই ভাল। বরং তার পরিবর্তে বাড়িতে ব্যায়াম শরীর রক্ষা হবে।
যে দূষণ হয়ে গিয়েছে, তাকে রাতারাতি বদলানোর উপায় নেই ঠিকই। কিন্তু একে একে প্ত্যেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করলে দূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-11-10 16:55:26
Source link
Leave a Reply