হাইলাইটস
- করোনার সংক্রমণ বাড়ছেই। ভারতে দ্বিতীয় প্রবাহে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যুর হার ছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে বেশি।
- হাসপাতালে বেডের আকাল, অক্সিজেনের অভাব… সব মিলিইয়ে দুরবস্থায় শিউরে উঠেছেন বহু মানুষ।
- যাঁরা অ্যাসিমটোম্যাটিক ছিলেন, তাঁদের বেশির ভার বাড়িতেই সুস্থ হয়েছেন।
- লক্ষণ থাকলেও অনেকে চিকিৎসা করিয়েছেন বাড়িতে।
সম্প্রতি ইউনাইটেড কিংডম জানিয়েছে যে, সিম্পটোম্যাটিক করোনা রোগীদের জন্য বিশ্বের প্রথম ওরাল ট্যাবলেট কাজ করছে বেশ ভাল। ওষুধের নাম মোলনুপিরাভির। জানা যাচ্ছে, এই মোলনুপিরাভিরের জন্যই হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে তুলনায় কম সংখ্যক রোগীকে। কিন্তু এই মোলনুপিরাভির নিতে হবে কী ভাবে, তার ডোজই বা কী, এ বার দেখে নেওয়া যাক।
কারা বানালেন Molnupiravir?
আমেরিকার ড্রাগ ম্যানুফ্যাকচারার এম এস ডি অর্থাৎ মার্ক, শার্প অ্যান্ড ডোম এবং রিজব্যাক বায়োথেরাপিউটিকস তৈরি করেছে মোলনুপিরাভির ওষুধটি। এটা ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে বা ইন্ট্রাভেনাস পদ্ধতিতে দেওয়া হয় না।
দিনে কত বার খাওয়া যাবে Molnupiravir?
বি বি সি জানাচ্ছে যে, মোলনুপিরাভির খাওয়ার নিয়ম দিনে দু’বার। যে সমস্ত রোগীর করোনা আক্রমণের পরে লক্ষণ বেশি, তাঁরা এই ওষুধ খেতে পারেন বলে জানিয়েছে বি বি সি। তবে লক্ষণ প্রকাশের প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যেই এই মোলনুপিরাভির খাওয়ার নিয়ম।
কী ভাবে কাজ করে Molnupiravir?
করোনা ভাইরাস দ্রুত গতিতে শরীরে বাড়তে থাকে। যে এনজাইম বা উৎসেচকের সাহায্যে এই কাজ সম্ভব হয়, মোলনুপিরাভির সেখানেই কাজ করে। ওষুধটা এমন একটা জেনেটিক কোড তৈরি করে, যাতে ভাইরাস আর সংখ্যায় বারতে না সক্ষম হয়।
কী ভাবে প্রমাণিত হল Molnupiravir-এর কাজ?
৭৭৫ জন এমন রোগীর ওপরে এই মোলনুপিরাভিরের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, যাঁরা করোনা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই পরীক্ষায় উঠে এসেছে কিছু জরুরি তথ্য।
১) এই ৭৭৫ জনের মধ্যে মাত্র ৭.৫ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
২) কিন্তু যাঁদের ডামি পিল দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ১৪.১ শতাংশ মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
৩) যাঁরা মোলনুপিরাভির গ্রুপের ওষুধ খেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে কারও মৃত্যু হয়নি।
৪) যাঁরা অন্য ওষুধ খেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৫) মোলনুপিরাভিরের প্রমাণ শুধু মাত্র ক্লিনিক্যালি পরীক্ষাইয় উঠে এসেছে। এ নিয়ে আরও পরীক্ষা বাকি রয়েছে।
মোলনুপিরাভির কি প্রিভেনটিভ ড্রাগ হিসেবে ব্যবহার করা যায়?
একেবারেই নয়। শুধু মাত্র করোনা হলে এবং তার লক্ষণ প্রকাশ পেলে তবেই এই মোলনুপিরাভির খাওয়া যাবে।
কোথায় পাওয়া যাচ্ছে Molnupiravir?
কোনও ওষুধ ভালো বা কার্যকর প্রমাণিত হলেই সর্বত্র তা পাওয়া যায় না। ইউনাইটেড কিংডম প্রথম দেশ যেখানে অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ হিসেবে এই মোলনুপিরাভির স্বীকৃতি পেয়েছে। তার পর থেকে ৪ লক্ষ ৮০ হাজার কোর্স কেনা হয়েছে সে দেশে। অন্যত্র এখনও চালু হয়নি মোলনুপিরাভির। তা নিয়ে চলছে পরীক্ষা।
যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাঁরাও কি Molnupiravir খেতে পারেন?
ভ্যাকসিন নিলেই যে আর করোনা হবে না, এমন কোনও মানে নেই। তাই যাঁরা ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং ভ্যাকসিন নেননি, এমন দু দলের মানুষই করোনা পজিটিভ হলে মোলনুপিরাভির নিতে পারেন।
ভারতে এখনও চালু হয়নি মোলনুপিরাভির। আরও কিছু পরীক্ষার পরে এখন শুধু স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষা। তা হলে সত্যিই হয়তো করোনা চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত খুলতে পারে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-11-08 10:56:06
Source link
Leave a Reply