সমস্যাঃ আমার বয়স ৬৯ বছর। মায়ের উচ্চ রক্তচাপ ছিল। আমি ধূমপান করি না, চর্বিযুক্ত খাবার ও মিষ্টি খুব কম খাওয়া হয়। খাদ্যে পৃথকভাবে লবণ খাই না। শারীরিক পরিশ্রম অবশ্য কম করা হয়। মানসিক চিন্তা বা চাপ আছে। কয়েক বছর ধরে আমার এ সমস্যাগুলো রয়েছে-উচ্চ রক্তচাপ ১৪০/৮০, কখনো ১৬০/৮০ হয়। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শে নিয়মিত চলি। প্রথম বিটানল-২৫ মিলিগ্রাম (অর্ধেক করে রাতে) এবং দু-তিন মাস ধরে ক্যামলোডিন-০৫ মিলিগ্রাম, ডিসোপ্যান-০৫ মিলিগ্রাম (অর্ধেক) এবং ইকোস্প্রিন ৭৫ মিলিগ্রাম খাচ্ছি। কিন্তু রক্তচাপ একইভাবে প্রায়ই ওঠানামা করে। নাড়ির স্পন্দন কোনো সময় দ্রুত চলে, আবার খুব আস্তে আস্তে চলে। মাঝেমধ্যে ড্রপ হয়। বিশেষ করে গভীর রাতে অনুভূত হয়। ইসিজিতে কিছুই ধরা পড়ে না। প্রায়ই ঘুমের মধ্যে ডান হাতের তালুর অর্ধেক অংশ (নিচের দিকে) অবশ মনে হয়। কিছুক্ষণ পর অবশ্য ঠিক হয়ে যায়। ঘুম থেকে উঠলে তা বোঝা যায়। লিখতে হাত খুব কাঁপে। ঠিকমতো লেখা যায় না। চিকিৎসককে এসব সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করলে বিশেষ কিছু বলেন না। এসব সমস্যা সম্পর্কে পরমর্শ দিলে খুশি হব।
ইমদাদুল হক, ধানমন্ডি, ঢাকা।
পরামর্শঃ লাইফ স্টাইল পরিবর্তনের উপদেশ আপনি মেনে চলছেন ভালোই, শুধু শারীরিক পরিশ্রমের অংশটুকু বাদ দিয়ে। আপনার রক্তচাপের যে ওঠানামা বা নাড়ির স্পন্দনের যে ওঠানামা, এর অনেকখানি কিন্তু আসছে দুশ্চিন্তা থেকে। এমনিতেও কিন্তু মিনিটে পাঁচটি পর্যন্ত ড্রপ বিট যেকোনো সুস্থ লোকেরও হতে পারে। এ ছাড়া শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার সময় আমাদের নাড়ির স্পন্দন কিন্তু সামান্য বাড়তে ও কমতে পারে। এটি স্বাভাবিক। হাত কাঁপার যে কথাটি বলছেন, এটি স্মায়ুরোগ পারকিনসনিজমের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে। সে জন্য আপনাকে কোনো স্মায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত। রক্তচাপের জন্য আপনি টেনোক্যাব (২৫/৫) খেলেই সম্ভবত ভালো হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন
আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী
সহযোগী অধ্যাপক, কার্ডিওলজি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, মে ০৬, ২০০৯
Leave a Reply