সাধারণত যখন কোনও মানুষ ঘুম থেকে ওঠে, তখন তার ব্লাড প্রেশার থাকে সবচেয়ে কম। দিনের কাজ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকে। তাই যেহেতু ব্লাড প্রেশার বাড়তে এবং কমতে থাকে, তাই দিনে দু’বার তা চেক করা ভালো। এর ফলে তুলায় ঠিক রিডিং পাওয়া সম্ভব।
ব্লাড প্রেশার মাপার আগে কয়েকটা কথা জেনে রাখা জরুরি
- ১) ঘুম থেকে উঠে ব্লাড প্রেশার মাপা উচিত নয়। কারণ এই সময়ে ব্লাড প্রেশারের রিডিং হবে কম। তাই দরকারে আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তার পর ব্লাড প্রেশার চেক করুন।
- ২) সকালে ব্রাশ করার পরে ব্লাড প্রেশার চেক করুন। প্রাতরাশ করা অবধি অপেক্ষা না করাই ভাল। কারণ কফি শরীরের রক্ত চাপের ওপরে প্রভাব ফেলে।
- ৩) শুধু মাত্র কফিই নয়, শরীরের রক্ত চাপের ওপরে প্রভাব ফেলে আরও অনেক কিছুই। যেমন ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য সেবন, অ্যালকোহল পান করা এবং শারীরচর্চায় নিযুক্ত না থাকা।
একেবারে ঠিক মতো ব্লাড প্রেশার মাপার জন্য কোন কোন নিয়মগুলি মেনে চলবেন?
- ১) ব্লাড প্রেশার মাপার আগে এক জায়গায় স্থির হয়ে অন্তত পাঁচ মিনিট বসুন।
- ২) বসার সময়ে যেন পায়ের মেঝেয় রাখা থাকে।
- ৩) কোনও টেবিল অথবে চেয়ারের হাতলে নিজের হাত আলতো করে রাখুন।
- ৪) ব্লাড প্রেশার চেক করার সময়ে কোনও কথা না বলাই শ্রেয়।
- ৫) বাড়িতে ব্লাড প্রেশার চেক করলে আর এক জনকে বলুন সাহায্য করতে।
- ৬) ব্লাড প্রেশারের রিডিংয়ে উপরের নম্বরকে সিস্টোলিক প্রেশার এবং নীচের নম্বরকে ডায়াস্টোলিক প্রেশার বলে।
- ৭) ব্লাড প্রেশারের আদর্শ মাত্রা হল ১২০ / ৮০।
- ৮) আদর্শ মাত্রার উপরে থাকলে তাকে হাই ব্লাড প্রেশার এবং নীচে থাকলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার বলা হয়।
- ৯) রক্তের চাপ বেড়ে বা কমে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
আদর্শ রক্ত চাপ বজায় রাখার জন্য কী কী করা শ্রেয়?
ব্লাড প্রেশারের হেরফের হলে তাকে অবহেলা না করে বরং তা নিয়ে চিন্তা করা জরুরি। প্রয়োজনে সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ মতো বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারেন। তবে সাধারণত সুস্থ জীবন মেনে চললে তবেই ব্লাড প্রেশার আদর্শ হবে। সে ক্ষেত্রে কী কী করণীয়, এ বার দেখে নেওয়া যাক।
- রোজকার খাবার হোক স্বাস্থ্য সম্মত। খাবারের পাতে থাকুক প্রচুর পরিমাণে শাক, আনাজপাতি, হোল গ্রেন, লিন প্রোটিন।
- চিনি, স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা হাই সোডিয়াম আছে, এমন খাবার খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।
- রোজ অল্প করে হলেও নিয়মিত শারীরচর্চা করা জরুরি।
- কারও ধূমপানের অভ্যেস থাকলে তা বন্ধ করা উচিত।
- কেউ মদ্য পান করলে তার মাত্রা কমানো জরুরি।
- অনেক কারণে জীবনে হতাশা, জটিলতা এবং চাপ সৃষ্টি হয়। সে ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব স্ট্রেস কমাতে হবে।
- রোজ ঘুমের সময় নিয়মিত করা আবশ্যক। পাশাপাশি, যতটা সময়ই ঘুমোচ্ছেন, সেই সময়ে ঘুমটা যেন অবশ্যই ভাল পরিমাণে হয়। অর্থাৎ গুড কোয়ান্টিটির পরিবর্তে গুড কোয়ালিটি স্লিপিংয়ের দিকে মন দেওয়া ভাল।
- ইতিমধ্যে যদি কেউ উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যায় ভোগেন, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান।
সুস্থ এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন করলেই ব্লাড প্রেশার ঠিক থাকবে। তার জন্য দরকার নিয়ম এবং সেই নিয়ম অনুযায়ী ছকে জীবনকে বেঁধে ফেলা।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-11-03 11:34:33
Source link
Leave a Reply