হাইলাইটস
- করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মাঝেই চিন্তা বাড়াচ্ছে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)।
- কেরালার কোঝিকোড়ে ইতিমধ্যে নিপায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের।
- আর এরপরেই ফের একবার মাথাচাড়া দিচ্ছে নয়া উদ্বেগ।
- বিশেষজ্ঞদের মতে, Nipah Virus-এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ৪০ থেকে ৭৫ শতাংশ।
Nipah Virus কী?
নিপা ভাইরাসের অপর নাম জুনটিক ভাইরাস। সাধারণত বাদুড় বা শূকরের মাধ্যমে এই ভাইরাস মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। WHO-এর মতে এদের লালরস,মূত্রের সংস্পর্শে আসা কোনও ফল যদি কেউ খায়, তখন নিপা ভাইরাস তার দেহে প্রবেশ করতে পারে। এ ছাড়া সংক্রমিত মানুষের সংস্পর্শে আসলেও ছড়িয়ে পড়তে পারে নিপা ভাইরাস। কোঝিকরের হাসপাতালের এক সদস্য থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ১৮৮টি কেস চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২০ জনকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। যাদের উপসর্গ বেশি। খেজুর, পেয়ারা, আম বা লিচুর মতো ফল থেকে সংক্রমণ বেশি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। কারণ, এই ফলগুলি বাদুড়ের প্রস্রাব বা লালা দ্বারা দূষিত হয়।
এ ছাড়াও সংক্রামিত পশুর মাংস আংশিক রান্না করে খেলেও এই মারণ ভাইরাস ছড়াতে পারে। এমনিতেই এই মুহূর্তে করোনার সংক্রমণ বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে কেরালায়। প্রতিদিন হাজার-হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনার সঙ্গে এবার নিপা নিয়েও চরম আতঙ্ক ছড়িয়েছে এই রাজ্যে।
Nipah Virus-এর লক্ষণ কী কী?
নিপা ভাইরাসে আক্রান্তরা বেশিরভাগই উপসর্গহীন। প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে জ্বর ও তারপর শ্বাসকষ্টজনিত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। এনসেফেলাইটিসের প্রকোপও দেখা দিতে পারে। সংক্রমিত হওয়ার ১৪ দিনের মাথায় লক্ষণগুলি স্পষ্ট হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে। মস্তিষ্কের প্রদাহ সৃষ্টি করে এবং মাঝারি থেকে গুরুতর অসুস্থতা, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। কখনও কখনও অস্বাভাবিক উপসর্গ তৈরি হতে পারে- যেমন মাথাব্যথা গলা ব্যথা, বমিও হতে পারে।
সংক্রমণের কি কোনও প্রতিকার আছে?
WHO-র মতে এই সংক্রমণের কোনও প্রতিকার বা ভ্যাকসিন নেই। এখনও পর্যন্ত নিপা ভাইরাসের চিকিৎসায় কোনো টিকা আবিস্কার হয়নি। রোগীর যত্ন নেওয়াই একমাত্র উপায়। যথাযথ বিশ্রাম নেওয়া, শরীরে জলের মাত্রা ঠিকঠাক রাখা এবং উপসর্গ অনুযায়ী তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-09-07 11:22:20
Source link
Leave a Reply