হাইলাইটস
- বিজয়ের বয়স ৩৮। একটি কলেজের প্রফেসর সে। খেতে বড্ড ভালোবাসে।
- তেমনই পরিশ্রম করতে পারে। আর মাথার মধ্যে প্রচুর টেনশনও নিতে পারে।
- নিতে পারে মানে স্ট্রেস, টেনশন নিতে নিতে সে এখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
- যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানেই বিজয় চিন্তিত হয়ে পড়ে।
ডাক্তার বলেছেন যে নিয়ম করে ওষুধ খেলে Diabetes নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। নির্দিষ্ট ডায়েট চার্টও বানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে Diabetes-এর প্রভাব এক এক জনের শরীরের যেমন এক এক রকমভাবে পড়ে তেমনই ব্যক্তি বিশেষে Diabetes Diet চার্ট হয়। পুরোটাই নির্ভর করে রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর।
চিকিৎসকদের মতে শরীরের পুষ্টির জন্য প্রায় সব ধরনের খাবারেরই প্রয়োজন। কিন্তু কোনও খাবারই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয়। বিশেষ করে রোগ হলে খাবার মেপে খেতে হয়। সঙ্গে নিয়মিত খেতে হয় ওষুধও। অনেকেই মনে করেন যে শুধু সবুজ শাক সবজি খেলেই ব্লাড সুগারের মাত্রা ঠিক থাকবে। তা কিন্তু ঠিক নয়, যে কোনও আহারই খেতে হবে পরিমিত। সবচেয়ে বড় কথা রোগীর শরীরের কোন কোন খাবারের প্রয়োজন তা ঠিক করে দেবেন চিকিৎসক। আশপাশের অতি আগ্রহী লোকেদের পরামর্শ না শুনে তাই ডাক্তারের কথা মেনে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ।
এছাড়াও অনেক খাবার আছে যেগুলি সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণা থাকে। সেগুলিও পথ্যে রাখা যাবে কিনা তার জন্য পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যিক।
বেশিরভাগ মানুষেরই বিশ্বাস ডায়াবিটিসে গাজর অত্যন্ত হানিকর সবজি। কিন্তু একে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে ব্রোকোলি কিংবা লেটুসের মতো গাজরও অনায়াসে খেতে পারেন ডায়াবিটিস রোগীরা। এতে ব্লাড সুগারের মাত্রার কোনও পরিবর্তন নয় না।ডায়াবিটিস হলেই আলু খাওয়া বন্ধ। এই ধারণা ৯৯.৯৯ শতাংশ মানুষের মধ্যেই রয়েছে। কিন্তু এটি কিন্তু সম্পূর্ণ ঠিক নয়। ব্লাড সুগারে রাঙা আলু বা মিষ্টি আলু কিন্তু খাওয়াই যায়। এই আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা ডায়াবিটিস রোগীদের পথ্যের কাজ করে। মার্কিন বিশেষজ্ঞদের মতে রাঙা আলু নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে আখেরে শরীরের লাভই হয়। ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত হয়। সিদ্ধ রাঙা আলু খাওয়ার পক্ষে সায় দিয়েছেন সিডনি বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষকরাও।ডায়াবাটিস হলে কার্বোহাইড্রেন এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ মানুষই দানাশস্য খাওয়া বন্ধ করে দেন। এটিও ভুল ধারণা। বরং সকালে ব্রেকফাস্টে ওটস্, মুসলি, কর্ন ফ্লেক্স খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে। সাদা চালের ভাতের বদলে ব্রাউন রাইস খাওয়া যায়।বার্লিও এক ধরনের দানাশস্য। এতে কার্বোহাইড্রেট যেমন আছে তেমনই এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার ব্লাড সুগারের মাত্রা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- মুসুর ডাল
মুসুরডালও দানাশস্য কিন্তু এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং প্রোটিনে ভরপুর। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের নিয়মিত মুসুর ডাল খাওয়া উচিত।
- স্ট্রবেরি
অনেকে ভাবেন স্ট্রবেরিতে প্রচুর শর্করা জাতীয় পদার্থ রয়েছে। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের এটি খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। স্ট্রবেরিতে অন্যান্য ফলের তুলনায় চিনির পরিমাণ অনেক কম থাকে। তার চেয়ে আপেল বা কমলালেবু অনেক বেশি ক্ষতিকারক। দাবি মার্কিন গবেষকদের।
- র্যাস্পবেরি
স্ট্রবেরির মতো র্যাস্পবেরিকেও মিষ্টি ফলের আওতাভুক্ত করে লোকে তাকে বাতিলের খাতায় রেখে দেন। এই ধারণাও একাবারে ভুল। ডায়বিটিস রোগীদের জন্য এই ফলটি অন্যান্য ফলের তুলনায় বেশ নিরাপদ।
- ছানা বা পনির
অনেকেই ডায়াবিটিস হলে আগ বাড়িয়ে ছানা পনির ইত্যাদি খাওয়া বন্ধ করে দেন। এর কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। বরং ছানা বা পনির স্বাস্থ্যকর খাবার। নিয়মিত এগুলি খাওয়া উচিত।দই খেলে শরীরের সুগারের মাত্রা বেড়ে যায় বলে যে ধারণাটি বাতাসে উড়ে বেড়ায় সেটি একেবারে ভুল। দই পুষ্টিকর খাবার। তবে এক্ষেত্রে দোকানের পরিবর্তে বাড়িতে পাতা দই নুন-চিনি ছাড়া খাওয়া উচিত।
- চিনা বাদাম
এমনিতে চিনা বাদামের যে অনেক পুষ্টিগুণ আছে তা নয়, তবে ডায়াবিটিস রোগীরা এটি খেলে বিশেষ ক্ষতি হয় না। তা বলে মশলা দিয়ে বাদাম মাখা কিংবা গুড়-বাদামের তক্তি ডায়াবিটিস রোগীদের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ভালো নয়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-09-03 11:00:32
Source link
Leave a Reply