হঠাৎই তীব্র ব্যথা শুরু হয়। তবু রোগের ধরণ ও রোগীর অবস্থা বিচার করে অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে পড়া, দুশ্চিন্তা, হজমের একটানা গোলমাল, শ্বাসে দুর্গন্ধ, কম ঘুম ইত্যাদিকে হার্টের দুর্বলতাও বোঝানোর লক্ষণ বলে ধরা হয়।
কেন হয় এই রোগ?
অল্প বয়সে মেদ হওয়া, রক্তে চর্বির আধিক্য বেড়ে গেল কিংবা কম বয়সে উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হলে,হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। অস্বাস্থ্যকর খাবারে আসক্তি, কায়িক পরিশ্রম একেবারেই না করা, রাত জাগা, মাদকাসক্তি ইত্যাদি তরুণ প্রজন্মের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই গোড়া থেকেই সচেতন হোন, নিজের যত্ন নিতে শিখুন, সুশৃঙ্খল জীবনযাপনে সচেষ্ট হোন। এছাড়া আরও অনেক কারণ রয়েছে। দেখে নিন সেগুলি…
ছবি সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
ধূমপান থেকে বিরত থাকুন
আগে যা-ই করে থাকুন না কেন, ধূমপানকে চিরতরে না বলে ফেলুন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) তথ্য অনুযায়ী, সারাবিশ্বে প্রতিবছর ২০ লাখ মানুষ তামাক ব্যবহারের কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। প্রতিবছর হৃদরোগে আক্রান্ত মৃত্যুর ৩০ শতাংশের জন্য দায়ী ধূমপান। শ্বাসতন্ত্রজনিত রোগে মৃত্যুর ২৪ শতাংশের পেছনে রয়েছে ধূমপান। অর্থাৎ দেশে শুধু তামাকের কারণে প্রতিবছর ১ লাখ মানুষ মারা যায়। ৩ লাখ ৮২ হাজার মানুষ পঙ্গু হয় এবং ১২ লাখ মানুষ তামাকজনিত বিভিন্ন রোগে ভোগে।
ছবি সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
মেদ বাড়লে হতে পারে ঝুঁকি
বাড়তে দেবেন না। এশীয় পুরুষদের জন্য সঠিক ভুঁড়ির মাপ হচ্ছে ৯০ সেন্টিমিটার, আর এশীয় নারীদের জন্য ৮০ সেন্টিমিটার। এর বেশি হলেই ঝুঁকি বাড়ে। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক রাখুন। বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলতে সচেষ্ট হোন। যত ব্যস্ততাই থাকুক, প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটা, ব্যায়াম, সাঁতার, জগিং, সাইকেল চালানো বা খেলাধুলা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এর বাইরেও যথাসম্ভব কায়িক শ্রমের জন্য বাগান করুন, নিকট দূরত্বে হেঁটে যাওয়া-আসা করুন, লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি ব্যবহার করুন, সন্তানদের সঙ্গে খেলাধুলা করুন, বাড়ির বিভিন্ন কাজে সাহায্য করুন। অফিস থেকে ফিরেই টেলিভিশন বা কম্পিউটার নিয়ে বসবেন না।
ছবি সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
বদহজমের সমস্যা
একাধিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, হার্ট অ্যাটাকের আগে থেকে বেশিরভাগ আক্রান্তরই বদহজমের সমস্যা এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও বুক জ্বালা যা আমরা অনেকে স্বাভাবিক বদহজমের সমস্যা ভেবে অবহেলা করি, তা-ও হতে পারে হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত। এর পাশাপাশি আচমকা কোনও কারণ ছাড়াই মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব এবং বমি করার বিষয়গুলি অবহেলা করবেন না। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে ব্যথা অনুভূত হয় না। এ ক্ষেত্রে বুকে অস্বস্তিকর অনুভূতি এবং বুকে চাপ ধরা ভারি ভাব অনুভব করার বিষয়টিতে নজর দিতে হবে। এই সময় শ্বাস নিতেও সমস্যা হতে পারে। এ সব বিষয় নজরে পড়লে দ্রুত চিকিত্সকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।
ছবি সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
অবসাদ
শারীরিক রোগ থেকে মানসিক রোগ অনেক বেশি জটিল। আর এই রোগের কাছেই অবলীলায় হার মেনে নিচ্ছেন অনেকেই । একটাই শব্দ মানসিক অবসাদ। এই শব্দটাই তিলে তিলে শেষ করছে একাধিক প্রাণ। কত শক্তিই রয়েছে এই ছোট্ট শব্দটার মধ্যে যে মানুষের প্রাণ নিয়ে নিচ্ছে নিঃশব্দেই। এই মহাসঙ্কট কালে একাকীত্ব,নিঃসঙ্গতা,সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কুরে কুরে খাচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে। বয়স্কদের তুলনায় তরুণ-তরুণীরা অনেক বেশি শিকার হচ্ছেন মানসিক অবসাদের।
ছবি সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-09-02 13:21:26
Source link
Leave a Reply