হাইলাইটস
- অপরিষ্কার খোলে ঘুমালে শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে।
- এর কারণ বালিশের খোলে লেগে থাকা ভাইরাস, ব্যাক্টিরিয়া ও ফাঙ্গাস।
* অনেকের ত্বকের ছিদ্র বা পোর দিনদিন বড় হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। তবে কেন এমন হচ্ছে তা আমরা কেউই বুঝে উঠতে পারি না। শুনে অবাক হতে পারেন! অপরিষ্কার বালিশের খোল আপনার ত্বকের ছিদ্র বড় হয়ে যাওয়ার জন্য দায়ী হতে পারে! খুশকি, তেল, নোংরা, ধুলো, ব্যাক্টিরিয়া— এ সবই ত্বকে ছিদ্র ও পিম্পল বাড়িয়ে দিতে পারে।
* শুধু ত্বকই নয় অপরিষ্কার খোলের কারণে চুলের নানান সমস্যাও দেখা দেয়। বালিশের খোলে লেগে থাকা ভাইরাস, ব্যাক্টিরিয়া, ফাঙ্গাস, মৃত কোষ, তেল, জীবাণুর সংস্পর্শে এলে চুলে সেই সমস্ত ভাইরাস ও ব্যাক্টিরিয়া প্রবেশ করতে পারে। এর ফলে চুল উজ্জ্বলতা হারায়, খুশকি দেখা যায় এবং চুলের অগ্রভাগ ভাঙতে শুরু করে।
* অনেকের ঘাড়ে কালো দাগ থাকে। আবার কারও কারও ঘাড়ে ফাটা দাগও পড়ে যায়। ময়লা ভেবে স্নানের সময় ছোবরা দিয়ে ডলেও তা তোলা যাচ্ছে না বা কোনও ক্রিম ব্যবহারেও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না? তা হলে জেনে নিন, বালিশের খোলে লেগে থাকা ফাঙ্গাস ত্বকের সংস্পর্শে এসে ধীরে ধীরে কালো দাগ সৃষ্টি করে। তাই নিজের বালিশের খোল কখনও নোংরা রাখবেন না।
* আবার অপরিষ্কার খোলে ঘুমালে শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা বাড়তে পারে। এর কারণ বালিশের খোলে লেগে থাকা ভাইরাস, ব্যাক্টিরিয়া ও ফাঙ্গাস।
* অনেকেই সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ত্বক সুস্থ রাখার জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে টোনার, সিরাম, ময়েশ্চারাইজার ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এত দামী প্রোডাক্ট মেখে নোংরা বালিশে ঘুমালে, আপনার সমস্ত পরিশ্রমই জলে যাবে। কারণ বালিশের খোলে উপস্থিত নোংরা, ধুলো, ভাইরাস, ফাঙ্গাস ইত্যাদি আপনার মুখে লেগে সেই সমস্ত ক্রিমের কার্যকরিতা কমিয়ে দেয়।
* আপনাদের কী জানা আছে, বালিশের নোংরা খোল টয়লেট সিটকেও জোর টক্কর দিতে পারে? সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে, বালিশের খোল ও টয়লেট সিটে উপস্থিত ব্যাক্টিরিয়া প্রায় এক রকম। নিয়মিত বালিশের খোল পরিষ্কার করার জন্য এই কারণটি কী যথেষ্ট নয়?
* ঘুমানোর সময় অনেকের মুখ থেকে লালা পড়ে। এই লালাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাক্টিরিয়া থাকে। কোনও ব্যক্তি যদি পাশ ফিরে বা পেটের ওপর ভর দিয়ে ঘুমাতে অভ্যস্ত তা হলে মাধ্যাকর্ষণের কারণে বালিশে আরও বেশি পরিমাণে লালা লেগে থাকবে। এই লালায় উপস্থিত ব্যাক্টিরিয়া ঘুমানোর সময় ত্বক ও চুলের সংস্পর্শে এসে সমস্যা বাড়াতে পারে।
* নোংরা খোলে ঘুমানোর দুষ্প্রভাব শুধু ত্বক ও চুল পর্যন্তই সীমিত নয়। এর ফলে দেখা দিতে পারে অ্যাস্থমা, নিউমোনিয়া এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশান। বহুদিন ধরে বালিশের খোল পরিষ্কার করা না-হলে মুখের লালা বা ঘাম বালিশে জমে মোল্ড দেখা দিতে পারে। এই মোল্ড বা ফাঙ্গাস ক্রমেই বালিশ থেকে নেমে বিছানায় আস্তানা গড়ে তুলবে। ক্ল্যাডোস্পোরিয়াম নামক এক মোল্ড স্যাঁতস্যাঁতে বিছানায় ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে পারে। এর ফলে অ্যাস্থমা, নিউমোনিয়া এবং অনিকোমাইকোসিস নামক ফাঙ্গাল ইনফেকশানের শিকার হতে পারে ব্যক্তি। অনিকোমাইকোসিস ব্যক্তির ত্বকে ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে। এমনকি এর ফলে পায়ের আঙুলের নখও ভেঙে যায়।
* পোষা কুকুর বা বিড়াল যদি আপনাদের বিছানায় ঘুমায়, তা হলে আরও সাবধান হওয়া উচিত। কারণ তাদের শরীরে যে সমস্ত মারাত্মক ও বিপজ্জনক ব্যাক্টিরিয়া থাকে, তা বালিশ ও বিছানায় থেকে যেতে পারে। এমনকি তাদের মূল-মূত্রের অবশিষ্টাংশ বিছানা ও বালিশে লেগে সংক্রমণের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এই সমস্ত কারণে তিন থেকে চার দিন অন্তর অন্তর বালিশের খোল ধুয়ে ফেলুন। অ্যান্টি ব্যাক্টিরিয়াল ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা শ্রেয়। জলে অ্যান্টিসেপ্টিক মিশিয়ে তাতে বালিশের খোল পরিষ্কার করতে পারেন। আবার বালিশের খোলের ওপর পরিষ্কার তোয়ালে মুড়িয়ে ঘুমালে আরও ভালো। সে ক্ষেত্রে এই তোয়ালেগুলি প্রতিদিন ধুয়ে ফেলা যাবে। এমন করলে ব্যাক্টিরিয়াল বা ফাঙ্গাল সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকাংশে কম হয়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-09-01 14:11:27
Source link
Leave a Reply