হাইলাইটস
- নিজের কথা বলার আগে সামনের জনের কথা শুনুন।
- তাঁর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এটা জরুরি।
- আর দেখবেন, এই ভাবে আপনার কথাও শুনতে চাইছেন উল্টোদিকের মানুষটি
কগনিটিভ ফাংশান আমাদের প্রত্যেকেরই সহজাত। অর্থাৎ এর মাধ্যমে বোঝা যায়, একটা মানুষের শেখার, ভাবার, পর্যবেক্ষণ বা বিচার করার, সমস্যা দূর করার, সিদ্ধান্ত নেওয়ার, মনে রাখার এবং মনোযোগী হওয়ার ক্ষমতা কেমন। কিছু সমীক্ষা দেখাচ্ছে, যে সমস্ত মানুষদের এই ছোট ছোট গুণগুলি প্রবল, ভবিষ্যতে তাঁদের ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এ কথা অস্বীকার করার সত্যিই উপায় নেই যে, মানুষ সমাজবদ্ধ জীব। এবং একটা সময়ে সকলেই কোথাও না কোথাও সকলে সামাজিক আস্বাস খোঁজে। তার মানে এটা নয় যে, নিজে যা করছে, সেই কথাটাই সত্যি কেউ বলুক। কিন্তু জীবনের নানা স্তরে নানা ভাবে মানুষের দরকার পড়ে এমন কান, এমন খাঁধ, যে স্নিজেরটা জাহির না করে উল্টোদিকের মানুষটার কথা শুনবে। এই চাওয়া এবং পাওয়া অথবা না পাওয়ার মাঝে জড়িয়ে আছে মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও।
সম্প্রতি ২১৭১ জন এমন মানুষের ওপর একটি সমীক্ষা চালানো হয় যাঁদের কারও এর আগে ডিমেনশিয়া বা স্ট্রোকের ইতিহাস নেই এবং প্রত্যেকের বয়স ৪৫ বা তার ঊর্ধ্বে। সমীক্ষাটি ছিল মূলত প্রশ্নভিত্তিক। পাঁচটি প্রশ্ন করা হয় প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে। সেগুলি হল-
এমন কোনও মানুষ কি তাঁর জীবনে আছেন, যাঁকে দরকার পড়লে সব কথা বলা যায় মন খুলে?
এমন কোনও বন্ধু কি আছেন, যিনি যে কোনও সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসার সদুত্তর দিতে পারবেন?
এমন কেউ কি সত্যিই জীবনে আছেন, যিনি আপনার জন্য নিজের ভালোবাসা, উষ্ণতা উজাড় করে দিতে মোটেও পিছপা হবেন না?
কোনও আবেগঘন মুহূর্তে নিজেকে কারও কাছে মন খুলে প্রকাশ করার মতো কোনও বন্ধু কি আছেন?
এবং সব শেষে এমন কোনও মানুষ কি আপনার জীবনে আছে যাঁকে সে কোনও পরিস্থিতিতে বিশ্বাস করে গোপনতম কথাটিও বলা যেতে পারে নির্দ্বিধায়?
এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরের ওপর ভিত্তি করে দেখা গেছে যে, যে সব ব্যক্তিদের কাছে বা জীবনে এমন মানুষ আছে, তাঁদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা অনেক বেশি।
অনেক সময়ে নিজের কথা না বলতে পারা কিংবা নিজেকে না বোঝাতে পারা আসলে কিন্তু নিজেকেই কুরে কুরে খায়। আর এ সবের মধ্যে দিয়ে তা কখন আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষতি করে তা টেরও পাই না। ইদানীং কালে অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়া জাতীয় স্মৃতিশক্তিজনিত রোগের প্রভাব বাড়ছে। খুব অল্প বয়স থেকে জীবনযাপনের পদ্ধতি এবং আদর্শ যে সেই রোগগুলিকে উস্কে দিচ্ছে না, এ কথা কিন্তু হলফ করে বলা যায় না মোটেই।
তা হলে কী করবেন?
বরং নিজের কথা বলার আগে সামনের জনের কথা শুনুন। তাঁর মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এটা জরুরি। আর দেখবেন, এই ভাবে আপনার কথাও শুনতে চাইছেন উল্টোদিকের মানুষটি। আসলে ভাবনা, স্মৃতি কিংবা নেহাতই কথার আদান-প্রদান শুধু মাত্র একতরফা হতে পারে না। এটা দু’তরফের কাছ থেকেই আসে।
শুধু যদি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের কথা বাদও দেন, তা হলে সম্পর্ক সুস্থ করে তোলার জন্য নিজের কথা বলার পাশাপাশি অন্যের কথাটা শোনাও জরুরি।
এই যে, ইদানীং সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল নামের ট্রেন্ডটি জাঁকিয়ে বসেছে, ভেবে দেখুন তো, যাঁকে ট্রোল করা হচ্ছে, সে যদি নিজের বক্তব্য রাখার সুযোগ পেত সব সময়ে, তা হলে কি এত জটিলতা বাড়ত?
তাই নিজের কথা অবশ্যই বলুন। তার আগেও শুনুন সামনের মানুষটির কথাও।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-31 17:48:08
Source link
Leave a Reply