হার্ট ভালো রাখে
![](https://ebanglahealth.com//wp-content/uploads/2021/08/1629957202_715_ei-samay.jpg)
রোজকার ব্যস্ততার জীবনে তাড়াহুড়োয় অনেক সময়েই বাইরের খাবার খাওয়া হয়ে যায়। ফলে চাপ বাড়তে থাকে হৃদযন্ত্রে। রোজকার অনিয়ম জুড়ে জুড়েই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন হার্ট আর সঙ্গ দিতে চায় না। তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যাও। তবে চাইলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এই সমস্ত সমস্যা। সপ্তাহে দু’-তিন বার লাউয়ের রস খেলে ভালো থাকে হার্ট। কমানো যায় হাই ব্লাড প্রেশারের মতো সমস্যা। তবে সপ্তাহে মাত্র দু’-তিন দিন লাউয়ের রস, আর বাকি পাঁচ দিন তেল-মশলা দেওয়া খাবার কিংবা রেড মিট খেলে কিন্তু কাজ হবে না।
ওজন কমাতে সাহায্য করে লাউ
![](https://ebanglahealth.com//wp-content/uploads/2021/08/1629957202_571_ei-samay.jpg)
ডায়েট শুরু করলেই অনেকের প্রবণতা থাকে লাউয়ের রস খাওয়ার। তবে ডায়েটে থাকার সময়েই নয়, কেউ যদি প্রত্যেক দিন নিয়ম করে এক গ্লাস লাউয়ের রস খান, তা হলে ওজন কমাতে সাহায্য করে তা। আসলে লাউয়ের রস খেলে পেট ভরে। আবার এর মধ্যে রয়েছে আয়রন, পটাশিয়াম, নানা ভিটামিন। ফলে শরীরে পুষ্টিরও জোগান দেয় লাউ। তবে ওজঙ্কমাতে গেলে সপ্তাহে অন্তত ছ’দিন নিয়ম করে লাউয়ের রস খাওয়া বাঞ্ছনীয়।
অনিদ্রা প্রতিরোধ করে লাউ
![](https://ebanglahealth.com//wp-content/uploads/2021/08/1629957202_502_ei-samay.jpg)
চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কমতে থাকে ঘুম। কারণ রাতে চোখ বুজলেই অনেক সময়ে নেমে আসে চিন্তার মেঘ, জমতে থাকে দুশ্চিন্তার পাহাড়। তাই অনিদ্রা রুখতে ভরসা রাখতে পারেন লাউয়ে। লাউ শরীর ঠান্ডা রাখে, এ কথা আগেই বলা হয়েছে। রাতে রুটি কিংবা ভাতের সঙ্গে কম তেল, ঝাল দিয়ে লাউয়ের হালকা তরকারি খেতে পারেন। এর প্রভাব পড়বে ঘুমেও। শরীর, মন ঠান্ডা থাকলে চোখের পাতায় এমনিই ভর করে আসবে ঘুম।
অকালপক্বতা রুখতে খেতে পারেন লাউ
![](https://ebanglahealth.com//wp-content/uploads/2021/08/1629957202_187_ei-samay.jpg)
চুল পাকলেই বয়স বাড়ে না। আর এখন চুল পাকারও বয়স নেই কোনও। যতই সময় এগোচ্ছে, বাড়তে থাকা নানা সমস্যা, অতিরিক্ত চাপ, হতাশা জাঁকিয়ে বসছে শরীতে। ফলে কারও শরীরে রোগ বাসা বাঁধছে, কারও বা আবার চুল পাকছে অকালে। নিয়মিত লাউয়ের রস খেলে শুধু ওজনই কমে না, তা সাহায্য করে অকালপক্বতা রুখতেও। এমনকি লাউয়ের রস খেলে চুলের জৌলুসও ফিরে আসে, যা হয়তো হারিয়ে গেছে রোজকার দূষণ এবং দুশ্চিন্তায়।
ছবি সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
হজমের সমস্যা কমায় লাউ
![](https://ebanglahealth.com//wp-content/uploads/2021/08/1629957202_89_ei-samay.jpg)
লাউয়ের মধ্যে তন্তুর পরিমাণ বেশি। অলে লাউ হজমের সমস্যা কমায়। আবার বাঙালিদের মধ্যে ভাজা, তরকারি বা ছেঁচকিতে লাউয়ের খোসা খাওয়ারও প্রবণতা আছে। সে ক্ষেত্রে লাউয়ের খোসায় থাকা ফাইবার হজম বাড়ায়, পেটও রাখে পরিষ্কার।
ছবি সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
ডায়াবিটিস ও মানসিক প্রতিরোধ করতে লাউ অনন্য
![](https://ebanglahealth.com//wp-content/uploads/2021/08/1629957202_892_ei-samay.jpg)
লাউ এমন একটি আনাজ, যার মধ্যে কার্বোহাইড্রেটের মাত্রা খুবই কম। আবার লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্স ফুডের তালিকাতেও রয়েছে লাউ। যাঁরা ইতিমধ্যে রক্তে শর্করা বাড়ার মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য লাউ আদর্শ। সবয়সের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মানসিক চাপ বাড়তে থাকে সমানুপাতিক হারে। কখনও কেরিয়ারের চিন্তা, কখনও পড়াশোনা। পাশাপাশি সংসার, স্বাস্থ্যের নানা সমস্যার চাপ তো আছেই। কিন্তু নিয়মিত লাউ খেলে কমতে পারে স্ট্রেস। এ কথা সকলেই জানি যে, লাউয়ের ভেতরে জলীয় অংশের পরিমাণ অন্যান্য আনাজের তুলনায় বহু গুণ বেশি। ফলে লাউয়ের মধ্যে জলীয় অংশ শরীরও ঠান্ডা রাখে। মাথা ঠান্ডা থাকলে আপনিই সমস্যা সমাধান সহজ হয়। কমতে থাকে চাপ।
ছবি সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
লাউয়ের মধ্যেকার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট খুব উপকারী
![](https://ebanglahealth.com//wp-content/uploads/2021/08/1629957202_205_ei-samay.jpg)
বিভিন্ন গুণাগুণ থাকার কারণে উপকারী আনাজের মধ্যে অন্যতম লাউ। লাউয়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। ফলে রজাকার খাদ্যতালিকায় লাউ রাখলে তা আসলে লিভারের সমস্যা কমায়। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লাও ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
লাউ খাওয়ার উপায় অনেক। শুধু রস খেতে সমস্যা হলে, তাতে সামান্য বিটনুন দিতে পারেন। আবার চাইলে সামান্য তেলে পছন্দসই ফোড়ন দিয়ে সাঁতলে নিতে পারেন লাউ। এ ছাড়া লাউয়ের ঘণ্ট, লাউ চিংড়ির মতো পদ তো রয়েছেই। নিয়মমাফিক কম তেল, মশলা দিয়ে রান্না করে লাউ খেতেই পারেন। এ ছাড়া লাউয়ের রস বা জুস তো রইলই। তা হলে এ বার থেকে খাবার পাতে লাউ দেখলে নাক কুঁচকোবেন না যেন!
ছবি সৌজন্য: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-26 10:36:03
Source link
Leave a Reply