হাইলাইটস
- করোনার কারণে যাঁদের সিকিম ট্যুর ভেস্তে গিয়েছিল তাঁরা তাহলে ফের কষে কোমর বেঁধে ফেলুন।
- সিকিমে এবার যাওয়া হচ্ছে তাহলে।
- এমনিতেও সিকিমে করোনার প্রভাব তুলনামূলক অনেকটাই কম ছিল।
করোনার কারণে যাঁদের সিকিম ট্যুর ভেস্তে গিয়েছিল তাঁরা তাহলে ফের কষে কোমর বেঁধে ফেলুন। সিকিমে এবার যাওয়া হচ্ছে তাহলে।
এমনিতেও সিকিমে করোনার প্রভাব তুলনামূলক অনেকটাই কম ছিল। রাজ্যে রোগের প্রবেশ বন্ধ করতে যথেষ্ট কড়া ছিল সিকিম সরকার। পর্যটকদের জন্য বন্ধ করা হয়েছিল সিকিমের প্রবেশ পথ। পর্যটন প্রধান রাজ্যের অর্থনীতিতে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল সরকারের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু তা সত্ত্বেও পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সরকারের সিদ্ধান্তের কোনো প্রতিবাদ করেননি পর্যটন ব্যবসায়ীরা। অবশেষে সরকার ধাপে ধাপে পর্যটন কেন্দরগুলি খোলায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন তাঁরা। পর্যটকদের স্বাগত জানাতে নতুন করে সেজে উঠছে সিকিম।
সপ্তাহ খানেক আগে থেকেই ছাঙ্গুল লেক এবং বাবা মন্দিরে পর্যটকরা যাতায়াত শুর করেছেন। এবার পালা ইয়ামথাং-এর।
লাচুং যাব
– ভারত-চিন সীমান্তের খুব কাছেই অবস্থিত উত্তর সিকিমের ছোট্টো এবং জনপ্রিয় গ্রাম লাচুং। প্রশিক্ষিত গাইড ছাড়া এখানে প্রবেশ করা যায় না। – প্রবেশের জন্য প্রয়োজন সরকারি অনুমতির। আন্তর্জাতিক সীমানার স্পর্শকাতর জায়গা বলেই অনুমতি পত্রের প্রয়োজন। লাচুং-এ প্রবেশের দুই এক দিনে আগেই অনুমতি পত্র জোগাড় করে নিতে হয়।
– চার চাকার গাড়ির প্রবেশ করতে পারলেও রাস্তায় প্রায় ধস নামে। তাই মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে সেতেই হবে। গ্যাংটক থেকে লাচুং-এর দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। গাড়িতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা লাগে সেখানে পৌঁছোতে।
– লাচুং-এ প্রবেশ করে চাইলে পায়ে হেঁটে গ্রামটি ঘোরা যায়। এখানেই আছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় উষ্ণপ্রস্রবণ ইয়ামথাং। লাচুং-এর খুব কাছেই দেখা মিলবে এই উষ্ণপ্রস্রবণের। ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরমজলের প্রস্রবনে দারুণ সময় কাটে। তবে এখানে পর্যটকরা শুধু গরমজলের টানেই আসেন না, আবহবিকারের ফলে উৎপন্ন প্রাকৃতিক ভাস্কর্যও তাঁদের মুগ্ধ করে। ইয়ামথাং-এর কাছে একাধিক ছোটো উষ্ণ প্রস্রবণেরও দেখা পাবেন।
– লাচুং-এর বুদ্ধ গুম্ফাটিও দেখার মতো জিনিস। সেখানে প্রবেশ করলে মন শান্ত হয়ে যায়।
– ইয়াংথাং থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়ামে সামদং। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অসাধারণ। এখানেও বেশ কয়েকটি উষ্ণ প্রস্রবণ রয়েছে।
কোভিড 19 বিধিনিষেধ এবং নির্দেশিকা
– পর্যটকদের কারণে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় গত মার্চ মাস থেকে সিকিম প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। জুলাইয়ের শেষ থেকে ফের অনুমতি দেওয়া শুরু হয়। হোম স্টে এবং হোটেলগুলিতে ৫০ শতাংশে বেশি পর্যটকের অনুমতি দেোয়া হচ্ছে না। ফলে লাচুং যেতে গেলে আগে থেকে হোটেল বা হোমস্টে সম্পর্কে ভালোমতো যাচাই করে নেবেন। না হলে গিয়ে বিপদে পড়তে হতে পারে।
– পর্যটকদের করোনার টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নিতে হবে।
– ভ্যাক্সিনের সম্পূর্ণ ডোজ নেোয়া থাকলে প্রবেশ করা যাবে পূর্ব সিকিমের রংপো, এবং দক্ষিণ সিকিমের মেল্লিতে। চেকপোস্টে ভ্যাক্সিনের সার্টিফিকেট যাচাই করা হচ্ছে।
– ভ্যাক্সেনর একটি ডোজ যাঁরা নিয়েছেন তাঁদের RT-PCR পরীক্ষার মাধ্যমে কোভিড নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। সেই রিপোর্ট ৭২ ঘণ্টার বেশি পুরোনো হলে চলবে না।
– হোটেলের ক্যাসিনোগুলিতে বাইরের অতিথির প্রবেশ নিষেধ। সেখানে শুধু প্রবেশ করতে পারবেন হোটেলের অতিথিরাই। শপিং মল, শোরুম কিংবা দোকান বাজার খোলা থাকলেও কোভিড প্রতিরোধের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলতে হবে সেখানে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-24 14:39:11
Source link
Leave a Reply