হাইলাইটস
- করোনার বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হল প্রতিষেধক।
- তবে এই প্রতিষেধকের সঙ্গে জড়িত নানান মিথ ও গুজব সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসছে।
- এমনই একটি গুজব ছড়ায় ঋতুস্রাব কালে মহিলাদের করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার বিষয়।
বেঙ্গালুরুর ফর্টিস লা ফেমে হাসপাতালের অস্যাসোসিয়েট ডিরেক্টার এবং অবস্টেট্রিকস অ্যান্ড গায়নকোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড: অরুণা মুরলিধর প্রতিষেধক এবং ঋতুস্রাবের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে বিশদে ব্যাখ্যা করেন। এ ছাড়াও তিনি কিছু সাধারণ মিথের রহস্যোদ্ঘাটন করেন এবং সময়ের মধ্যে প্রতিষেধক নেওয়ার পরামর্শ দেন। পাশাপাশি প্রতিষেধকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কিছু গভীর লক্ষণের উল্লেখ করেন, যে গুলির গায়নোকলিজক্যাল পর্যালোচনা জরুরি।
মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলের সময় কী হয়?
ড: অরুণা মুরলিধরের মতে, মহিলার শরীরের সুসংগঠিত কার্যকলাপ হল মেনস্ট্রুয়াল সাইকেল। ঋতুস্রাবের জন্য দায়ী হরমোনগুলি সক্রিয় হলে মাসিক চক্র শুরু হয়। মস্তিষ্কে উপস্থিত পিটুইটারি গ্ল্যান্ড এই হরমোনগুলি উৎপন্ন করে। এগুলি আবার প্রোজেস্টেরন এবং এস্ট্রোজেনের মতো ওভারিয়ান হরমোনকে উন্নত করে। এই দুই হরমোন গর্ভাশয়ের অন্তর্বর্তী লাইনিং অর্থাৎ এন্ডোমেট্রিয়ামের রাপ্চারের জন্য দায়বদ্ধ। শরীরে ২৮ থেকে ৩০ দিনের পিরিয়ডের মধ্যে সমগ্র চক্রটি সংগঠিত হয়। মাসের শেষে যা দেখি, তা শুধু মাত্র ঋতুস্রাব। এ ছাড়াও মেনস্ট্রুয়েশনের সময় নানান প্রদাহজনক প্রক্রিয়া ও কলার পুনর্নিমাণ ঘটে, যা অবসাদ, ওজন কমা, ওজন বৃদ্ধি, শারীরিক ক্রিয়াকলাপে পরিবর্তন, এমনকি কয়েক ধরনের সংক্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সংবেদনশীল। অতএব যে কোনও পরিস্থিতিতে মাসিক চক্রে পরিবর্তন প্রত্যাশা করা যায় এবং এটির সঙ্গে প্রচুর চাপও জড়িত।
মাসিক চক্রের সঙ্গে প্রতিষেধক কী ভাবে জড়িত?
প্রতিষেধক একটি জটিল জৈবিক প্রস্তুতি। নির্দিষ্ট কোনও সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই চালায় প্রতিষেধক, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতির সঙ্গে জড়িত। চিকিৎসক অরুণা মুরলিধর জানান যে, প্রতিষেধকের ফলে নানান রোগ প্ররিতোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারক অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করা হয়, যা ঋতুস্রাবকে প্রভাবিত করতে পারে। ঘটনাক্রমে কিছু মহিলার কম বা খুব বেশি পিরিয়ড হয়, আবার কারও কারও ঋতুস্রাবে দেরি হয় বা কারও সময়ের আগেই হয়। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে গর্ভনিরোধক ওষুধ নেওয়া মহিলাদের হঠাৎ করে ঋতুস্রাব শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে শুধুমাত্র কয়েকজন মহিলার ক্ষেত্রেই এমন হয় এবং একটি বা দুটি মাসিক চক্র পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
আবার এমন কিছু মামলাও সামনে এসেছে, যেখানে প্রতিষেধকের কারণে ওভুলেশনে সামান্য দেরি হয়েছে। গর্ভধারণের চেষ্টা করে থাকলে আগে বা পরে প্রতিষেধকের সঙ্গে এর সামান্য যোগসূত্র লক্ষ্য করা গিয়েছে।
প্রতিষেধকের প্রয়োজনীয়তা কী?
তবে সীমিত সংখ্যক মহিলাদের মধ্যে এই পরিবর্তনের জন্য প্রতিষেধককে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। চিকিৎসকের মতে সুযোগ পেলেই প্রতিষেধক নিয়ে নেওয়া উচিত। প্রতিষেধকের ভয়ে সামান্য উত্তেজনা কাজ করলেও পিরিয়ডের সময় টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করার কোনও কারণ দেখছেন না চিকিৎসক অরুণা মুরলিধর। তিনি নিশ্চিত করেন যে, কোনও মহিলা গর্ভধারণের চেষ্টা করলে, সে-ও প্রতিষেধক নিতে পারে, কারণ প্রজননের ওপর এক কোনও প্রভাব পড়ে না।
চিন্তার বিষয় কোনটি?
ড: অরুণা এখানে কিছু জটিলতা সম্পর্কে জানিয়েছেন, যা দেখা দিলে গায়নকোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে। এগুলি হল-
১. পিরিয়ডের সময় কোনও মহিলার অস্বাভাবিক রক্তস্রাব হলে।
২. পিরিয়ডে অনেক বেশি দেরি হলে।
৩. দুটি মাসিক চক্র সম্পন্ন হওয়ার পরও যদি ঋতুস্রাবে আমূল পরিবর্তন দেখা যায়।
৪. মেনোপজ হওয়া সত্ত্বেও কোনও মহিলার ঋতুস্রাব শুরু হলে।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-08-23 14:38:57
Source link
Leave a Reply