হাইলাইটস
- প্রত্যেক মানুষের জীবনেই নানা রকম সমস্যা রয়েছে।
- যে কোনও সময় সমস্যা আসতেই পারে।
- কিন্তু তাই বলে ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন না।
- একে অন্যকে সময় দিতে হবে
বসিয়া বিরলে থাকয়ে একলে
না শুনে কাহারো কথা” || – রাধা এবং কৃষ্ণ একে অন্যের পরিপূরক। রাধা যেমন কৃষ্ণ ছাড়া অসমপূর্ণ তেমনই কৃষ্ণ ছাড়া রাধার নাম নেওয়া যায় না। চণ্ডীদাসের এই পদাবলি তারই প্রমাণ দেয়। রাধা-কৃষ্ণ জীবন, ভালোবাসা এবং সম্পর্ক সম্বন্ধে আমাদের কাছে আজও নতুন সংজ্ঞা বয়ে আনে। কয়েক হাজার বছর পেরিয়ে যাবার পরও আজও তাঁদের মহিমা একই ভাবে অটুট। তাঁদের সেই বিশুদ্ধ প্রেম, আবেগ এখনও পূজিত হয়। শ্রীকৃষ্ণের দেখা না পেয়ে বিরহী রাধা কী ভাবে দিন কাটাতেন তার বর্ণনা রয়েছে রাধার পূর্বরাগ অধ্যায়ে। আসলে যে কোনও সম্পর্কের ভিত্তি হল পারস্পারিক শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস। দুজনের মধ্যেকার সেই বোঝাপড়া না থাকলে যে কোনও সম্পর্কেই ভাঙন আসতে বাধ্য। দেবী শক্তির অবতার হিসেবেও পরিচিত রাধা। শ্রীকৃষ্ণের সবচেয়ে বড় ভক্ত হিসেবে পরিচিত রাধা। বৃন্দানবে কৃষ্ণ যখন বাঁশি বাজাতেন তখন রাধা সবকিছু ছেড়ে সেখানে উপস্থিত হতেন এবং মন্ত্রমুগ্ধের মতো তা শুনতেন। রাধা-কৃষ্ণের এই প্রেম এখনএ সমগ্র বিশ্বকে একসূত্রে বেঁধে রাখার ক্ষমতা রাখে। চলছে ঝুলন। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা হিসেবেই পালন করা এই সপ্তাহ। আর তাই তাঁদের অমূল্য প্রেম থেকে আমরা যে সমস্ত শিক্ষা পাই তারই কিছুটা ধরা রইল এই প্রজন্মের জন্য।
একে অন্যের প্রতি বিশ্বাস থাকুক- আজকাল অনেকের মধ্যেই বিশ্বাস খুব ঠুনকো। আর বিশ্বাসে চিড় ধরলে সেই সম্পর্ক কিন্তু ভেঙে যেতে বাধ্য। তাই এই বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখুন। তাই একে অন্যকে শ্রদ্ধা করুন, পরস্পরের প্রতি বিশ্বাস বজায় রাখুন। কখনও কাউকে ছোট করবেন না। অযথা অপমান করবেন না। এতেই কিন্তু সম্পর্ক ভালো থাকবে।
সম্পর্কে ধৈর্য প্রয়োজন- প্রত্যেক মানুষের জীবনেই নানা রকম সমস্যা রয়েছে। যে কোনও সময় সমস্যা আসতেই পারে। কিন্তু তাই বলে ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন না। একে অন্যকে সময় দিতে হবে। বুঝতে হবে। জোর করে কিন্তু কিছু পাওয়া যায় না। ভুল সবারই হয়। তাই বলে অযথা তর্ক-বিতর্ক নয়। বরং ঠান্ডা মাথায় ভাবুন কীভাবে সমাধান সম্ভব। সব সময় কথা কাটাকাটি, ঝগড়া এসব কোনও সমাধান নয়। পারস্পারিক বোঝাপড়া থাকলেই যে কোনও সম্যা সহজেই পার করে আসতে পারবেন।
জোর থাকুক ভালোবাসায়- ভালোবাসা কিন্তু ঠুনকো নয়। শুধুমাত্র লোককে দেখাতে হবে বলেই সঙ্গীকে সর্বসমক্ষে ভালোবাসছেন এমনও নয়। ভালোবাসুন মন থেকে। সব সময় সঙ্গীর পাশে থাকুন। তাঁকে নানা কাজে সাহায্য করুন। আপনার কাজের মাধ্যমেই তাঁকে বুঝিয়ে দিন যে আপনি তাঁকে কতটা ভালোবাসেন। সব সময় দামি উপহা দিয়ে ভালোবাসা প্রকাশ করা যায় না। সঙ্গীকে আপনার জন্য গর্ব অনুভব করতে দিন। ভালোবাসাই হয়ে উঠুক আপনাদের শক্তি।
অন্তর থেকে ভালোবাসুন- ভালোবাসার পাশাপাশি থাকুক মনের জোরও। একে অন্যকে বুঝতে হবে। একে অপরের সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যেকার এই বোঝাপড়া ভালো থাকলে অন্য কোনও তৃতীয় ব্যক্তি চট করে আপনাদের মধ্যে ঢুকে পড়তে পারবেন না।
কিছুক্ষেত্রে ত্যাগেরও প্রয়োজন- সম্পর্কের ক্ষেত্রে দুজনকেই কিন্তু কিছু না কিছু নতিস্বীকার করতেই হবে। সব সময় একজন স্বার্থত্যাগ করবেন আর অন্যজন তাঁর মর্জিমতো সম্পর্কে থাকবেন এমন আচরণ কাম্য নয়। এতে সম্পর্ক খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়। দুজনেই দুজনের কাজকে বুঝুন, শ্রদ্ধা করুন, একে অন্যকে স্পেস দিন- দুজনের মানসিক বোঝাপড়াতেই কিন্তু পরিপূর্ণ হবে সম্পর্ক।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-20 19:24:15
Source link
Leave a Reply