চন্দ্রকেতুগড়, উত্তর ২৪ পরগনা
কলকাতা থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার দূরে বিদ্যাধরী নদীর তীরে অবস্থিত চন্দ্রকেতুগড় বাংলার গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রত্নস্থল। এই জায়গাটি গড়ে উঠেছিল আনুমানিক ৪০০ থেকে ৮০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে। চন্দ্রকেতুগড়ে প্রাপ্ত পঞ্চচূড় অপ্সরা, নগরশ্রেষ্ঠীর ও গজদন্ত শিল্প ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নামি সংগ্রহশষালায় রয়েছে। বর্তমানে দেবালয়, হাদিপুর, বেড়াচাঁপা, শানপুকুর, ঝিক্রা এবং ইটাখোলা গ্রামের বিস্তৃত এলাকা জুড়ে প্রাচীন নগর-বসতির চিহ্ন পাওয়া যায়। প্রত্নস্থানটি ঘিরে রেখেছে আয়তাকার এবং প্রায় এক বর্গমাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত মাটির তৈরি বিশাল দুর্গপ্রাচীর। মাটির তৈরি এই দুর্গপ্রাচীরের অভ্যন্তরেই চন্দ্রকেতুগড়, খনা-মিহিরের ঢিবি, ইটাখোলা এবং নুনগোলা ইত্যাদি স্থানে খননের মাধ্যমে প্রাচীন ভারতের নগর-সভ্যতার পাঁচটি পৃথক সাংস্কৃতিক স্তর বা পর্বের সন্ধান পাওয়া গেছে। এখানে থাকার জন্য রয়েছে অনেক হোটেল। যাঁরা নিরিবিলি এবং ইতিহাস উভয়ই পছন্দ করেন তাঁদের এই জায়গাটি ভালো লাগবে। বিকেলে বিদ্যাধরী নদীর ধারে ঘুরে বেড়ানার অভিজ্ঞতাও অসাধারণ।
বগুরান জলপাই, পূর্ব মেদিনীপুর
দিঘা, তাজপুর, মন্দারমণি তো সকলেই যান। সেখানে বড্ড ভিড়। ভিড় এড়াতে বরং চলে যেতে পারেন পূর্ব মেদিনীপুরের বহুরান জলপাই-এ। কলকাতা থেকে মাত্র চার ঘণ্টার মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যাবেন। কাঁথি স্টেশন থেকে খুব কাছেই অবস্থিত এটি। পর্যটকের ভিড় কম হওয়ায় এখানকার সমুদ্রতট পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। লাল কাঁকাড়ায় ভর্তি। সমুদ্রের ধারে একা একা হেঁটে বেড়ালেও কেউ ফিরে তাকাবে না। এখানকার নিরাপত্তাও বেশ ভালো। পাবেন তাজা মাছ। তবে এখানে থাকার জায়গার একটু সমস্যা আছে। হোটেলের সংখ্যা দুই-একটি। তাই যাওয়ার আগে ঘর বুক করে নেওয়া ভালো। এখানো সারা বছরই বেড়াতে যেতে পারেন। আর মজার কথা হল প্রায় সারা বছরই এখানে ফাঁকা পাবেন।
ওয়েনাড়, কেরল
পাহাড়ের সৌন্দর্য নিরিবিলিতে দেখতে চাইলে সিমলা, কুলু, মানালি, মসৌরির পরিবর্তে যান ওয়েনাড়। এটি অরণ্য, পাহাড় এবং জলধারায় আচ্ছন্ন একটি স্থান। চারদিকে সবুজ, সবুজ আর সবুজ। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অপার শান্তি। পাখির কলরব ছাড়া খুব বেশি শব্দ আপনারে কানে পৌঁছোবে না। বছরের যে কোনও সময়ই এখানে বেড়াতে যাওয়া যেতে পারে। ওয়েনাড় অভয়াণ্যের সৌন্দর্যের কোনও তুলনা হয় না। কর্ণাটকের বিখ্যাত বন্দিপুর অভয়ারণ্যে ওয়েনাড় থেকে সহজেই যাওয়া যায়।
তঞ্জাভুর, তামিলনাড়ু
নিরিবিলিতে মন্দির দর্শন করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন তামিলনাড়ুর তঞ্জাভুর থেকে। এখানে প্রাচীন মন্দিরের ছড়াছড়ি। কম বিখ্যাত হওয়ায় ভিড়ও অনেক কম। পায়ে হেঁটে শহর দেখতে মন্দ লাগবে না।
গোকর্ণ, কর্নাটক
বিন্দাস সময় কাটাতে গোয়ার বিচের কোনও তুলনাই হয় না। কিন্তু বিচের আনন্দ নেবেন আবার নিরিবিলির চাহিদাও আছে এরকম কম্বিনেশনের জন্য কর্ণাটকের গোকর্ণ সেরা ডেস্টিনেশ। গোকর্ণি সমুদ্রতটে বিরাজ করে অপার শান্তি। এখানকার পরিবেশই সবকিছু শান্ত করে দেয়। সন্ধ্যাবেলায় সমুদ্রতটে ঘোরার আনন্দই আলাদা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাবে শুধু সমুদ্রের ঢেউ দেখেই।
স্ফিতি, হিমাচল প্রদেশ
পাহাড়ের কাঠিন্যর সঙ্গে সাদা বরফের খেলা দেখার ইচ্ছে হলে বেশিরভাগ পর্যটক লে, লাদাখে বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেন তাই সেখানে ভিড়ও হয় যথেষ্ট। কিন্তু একই সৌন্দর্য শান্ত পরিবেশে দেখতে চাইলে ঘুরে আসুন স্ফিতি থেকে। স্ফিতি ভ্যালিতে রয়েছে অনেক ছোটো ছোটো গ্রাম। সেসব গ্রাম পায়ে হেঁটে ঘুরতে চাইলে অসাধারণ এক উবলব্দি হবে। সেখানকার একেক বাসিন্দার জীবন ধীরম একেক রকম। তবে পাহাড়ের সরল সোজা গ্রামবাসীদের সঙ্গে ঘুরে কথা বলে ভালোই লাগবে। স্ফিতি ভ্যালিতে আছে একটি অপূর্ব সুন্দর বৌদ্ধ মঠ। ঘুরে আসতে পারেন সেখান থেকেও। বলা বাহুল্য সেখানে চিরশান্তি বিরাজমান।
তাওয়াং, অরুণাচল প্রদেশ
অরুণাচল প্রদেশের প্রশাসনিক সদর শহর তাওয়াং-এ গেলে মনে হবে যেন তিব্বতে বেড়াতে এসেছেন। সমুদ্রতল থেকে এর গড় উচ্চতা ২৬৬৯ মিটার। তাওয়াং মনাস্ট্রি, জশবন্ত গড়, জং জলপ্রপাত, সঙ্গেতসর হ্রদ, তাোয়াং ওয়ার মেমরিয়াল ঘুরে নিতে পারেন। এছাড়া শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যও আপনাকে মুগ্ধ করবে। এখান থেকে ইন্দো-চিন সীমানা দেখতে পাওয়া যায়। এবং সবচেয়ে বড় কথা গোটা শহরটাই শান্তশিষ্ট।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-20 15:04:29
Source link
Leave a Reply