বৈশাখের প্রথম দিনে ফুলের সাজে ফুটিয়ে তুলতে পারেন স্নিগ্ধতা। শুভ্র ফুল আর বর্ণিল সাজ—দুই মিলে আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা।
আশপাশে তাকালেই প্রচুর ফুল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, কিনে নিয়ে লাগাতে হবে তা নয়, গাছ থেকে নিয়েও চুলের মধ্যে গেঁথে দিন। কিউবেলার রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা আরমান জানান—
‘কাঠ বেলি, কাঁঠালচাঁপা, গাজরা, রজনীগন্ধার লম্বা মালা, বিভিন্ন রঙের গোলাপের কলি, মাধবীলতা দিয়ে সাজিয়ে নিন নিজেকে। বছরের প্রথম দিনটিকে ফুলের সৌরভের সঙ্গেই আমন্ত্রণ জানান। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও এ স্নিগ্ধ গন্ধ আপনাকে সারাক্ষণ দেবে প্রশান্তি।’ ফুলের সাজে সাজার কিছু উপায় বাতলে দিয়েছেন তিনি।
বড় চুলের সাজ
লম্বা চুলের অধিকারীরা বেশ কয়েকভাবে সাজাতে পারেন চুল।
চুলগুলো গুছিয়ে নিয়ে বেণি করুন। শক্তভাবে বেণি শুরুর প্রান্ত থেকে ১০-১২টি বেলি ফুলের মালা আটকে নিন।
একটু ভিন্নতা আনতে চাইলে বেলি ফুলের সঙ্গেই বেণির ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটু পর পর ছোট সাদা গোলাপ আটকে নিন।
বেণি করে শুধু গাজরা লাগাতে পারেন।
বেণিজুড়ে ছোট কোনো ফুলের মালা পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে পরতে পারেন।
হাতখোঁপা অথবা একটু ভিন্নভাবে খোঁপা করে নিন। খোঁপার চারপাশে ছোট ছোট গোলাপ আটকে নিন। ঠিক খোঁপার মাঝখানে একটি গোলাপ লাগান। ব্যস, হয়ে গেল অপূর্ব সাজ।
পুরো খোঁপাটি বেলি ফুলের মালা দিয়ে ঢেকে দিন। কানের পাশ দিয়ে অন্য কোনো একটি ফুল লাগান। যদি চান খোঁপার চারপাশে গাজরা লাগিয়ে নিতে পারেন।
খোলা চুলেও কানের পাশ দিয়ে দু-তিনটি ফুল লাগিয়ে নিতে পারেন।
গোলাপের ছোট ছোট কলি দিয়েও পুরো খোঁপা ঢেকে দিতে পারেন।
ছোট চুলে…
চুল একদম ছোট হলেও অসুবিধা নেই। বাজারে ক্লিপের সঙ্গে লাগানো আলগা খোঁপা কিনতে পাওয়া যায়। পনিটেল করে ওপর দিয়ে তা লাগিয়ে নিন। এবার ইচ্ছামতো ফুল লাগান।
গলায় ও হাতে
খুব বেশি নয়, অল্প কিছু ফুলের ছোঁয়ায় গলায় ও হাতে আনতে পারবেন স্নিগ্ধ সাজ।
ছোট আকারে ফুলগুলো প্রযোজ্য এ ক্ষেত্রে। লম্বা মালা করে পরতে পারেন, অথবা গলার সঙ্গে চিক হিসেবেও পরতে পারেন। দেশীয় পুঁথির মালায়ও এই ফুল ব্যবহারে আসবে ভিন্ন লুক। বড় একটি বা দুটি ফুল সোজাভাবে লাগিয়ে নিন পুঁথির মালার সঙ্গে। চুড়ি বা বালার সঙ্গেও ফুল ভালো লাগবে। আলতোভাবে হাতে জড়িয়ে রাখতে পারেন। অনেক কাচের চুড়ির মাঝে সুতায় পেঁচিয়ে একটি বড় ফুল হাতে পরতে পারেন।
রয়া মুনতাসীর
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, এপ্রিল ১৩, ২০১০
Leave a Reply