হাইলাইটস
- রক্তে শর্করার পরিমাণ অত্যধিক বা অনিয়ন্ত্রিত হলে ডায়বিটিক পা (diabetic foot) দেখা দেয়।
- রক্ত চলাচলে বাধা বা নজর এড়িয়ে যাওয়া ক্ষত ডায়বিটিক পা-এর কারণ হতে পারে।
- ধূমপান ডায়বিটিক পায়ের সমস্যা সৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিতে পারে, কারণ ধূমপানের ফলে পায়ে রক্ত চলাচল কমে যায় এবং পা সংবেদনশীলতা হারাতে থাকে।
ডায়বিটিসের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত পায়ের এই সমস্যা নিম্নলিখিত কারণে হতে পারে—
১. প্রভাবিত অংশে রক্ত চলাচলের অভাব, যাকে ইস্কেমিক পা বলা হয়।
২. পায়ের সংবেদনশীলতা হারিয়ে যাওয়া, যার ফলে মধুমেহ আক্রান্ত ব্যক্তি পায়ের ক্ষত অনুভব করতে পারেন না, একে নিউরোপ্যাথিক পা বলা হয়।
যদিও ডায়বিটিক পায়ের জটিলতার অন্তর্নিহিত প্যাথোজেনেসিস ব্যাপকভাবে বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে পায়ের এই আলসার প্রতিরোধ করার জন্য কোন বিষয়গুলিকে গুরুত্ব দেওয়া হবে, তা নির্ধারণের জন্য এখনও অনেক সমীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
ডায়বিটিক পায়ের লক্ষণ
ডায়বিটিক পায়ের সঠিক রোগ নির্ণয়ের মাধ্যমে এর যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসার প্রয়োজন। মধুমেহ আক্রান্ত ব্যক্তিদের বছরে অন্তত একবার নিজের পায়ের পরীক্ষা করিয়ে দেখা উচিত। ডায়বিটিক পায়ের সাধারণ লক্ষণগুলি হল—
১. পায়ে অসাড়তা এবং ব্যথা।
২. ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা।
৩. বিবর্ণ ত্বক।
৪. পায়ে ব্লিস্টার বা অন্যান্য ক্ষত।
৫. পা থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া।
মধুমেহ আক্রান্ত ব্যক্তিদের এই সমস্ত লক্ষণ দেখা দিলে, তা ভুলেও এড়িয়ে যাবেন না এবং সঠিক সময় চিকিৎসা করান।
ডায়বিটিক পায়ের ঝুঁকি কাদের মধ্যে বেশি
এমন অনেক বিষয় আছে যা ডায়বিটিক পায়ের সমস্যার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে। তবে যে ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়বিটিক পা দেখা দেওয়ার প্রবণতা বেশি, তাঁরা হলেন—
১. এমন ব্যক্তি যাঁদের রক্তবাহিকার অভ্যন্তরীণ আস্তরণে মেদ বা প্লাক জমে থাকে। এই রক্তবাহিকা শরীরের নিম্নাঙ্গে রক্ত সরবরাহ করে থাকে।
২. ধূমপান করেন যাঁরা।
৩. যাঁদের রক্তে শর্করার স্তর অনিয়ন্ত্রিত থাকে।
৪. ডায়বিটিক কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি।
৫. টাইপ ১ ডায়বিটিসের দীর্ঘদিনের ইতিহাস থাকলে।
৬. নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন করেন যাঁরা।
মধুমেহ আক্রান্ত ব্যক্তিরা কী ভাবে নিজের পায়ের যত্ন নেবেন?
ডায়বিটিসের কারণে পায়ের আলসারের পুনরাবৃত্তির ঘটনা এবং নিম্নাংশের অঙ্গবিচ্ছেদ আটকানোর একমাত্র উপায় হল প্রতিরোধ। এটি দেখা গিয়েছে যে ১৫ শতাংশ মধুমেহ আক্রান্ত ব্যক্তির তাঁদের রোগের সময়কালে নিম্নাংশের আলসার দেখা দেয়। তাই ডায়বিটিক পায়ের সমস্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে মধুমেহ আক্রান্ত ব্যক্তিদের যা করতে হবে—
১. পায়ে কোনও ক্ষত হয়েছে কী না, তা প্রত্যহ দেখে নিন। এমনকি পায়ের রঙ ফিকে পড়ছে কী না, তা-ও লক্ষ্য রাখুন।
২. পা শুকনো ও ময়্শ্চারাইজ রাখুন।
৩. বাড়িতে নিজে থেকে ক্যালোসাইটিসের চিকিৎসা করবেন না।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-08-18 18:12:03
Source link
Leave a Reply