হাইলাইটস
- আজ থেকে বছর কুড়ি আগে তখনও মোবাইল এমন জাঁকিয়ে বসেনি,
- প্রেম নিবেদনে ভরসা ছিল সেই চিঠি।
- স্কুল ছুটির শেষে কিংবা টিউশন থেকে বেরিয়ে অন্য গলিতে ভালোবাসার বার্তা নিয়ে চিঠি পৌঁছে যেত প্রেমিকার কাছে।
- আর সেই চিঠি লেখার মধ্যে থাকত কত কাব্য, কত স্বরোচিত কবিতা
দেখছি সেটা ভারি শক্ত
তেমন যদি খবর থাকে
লিখতে পারি তক্ত তক্ত”- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
চিঠি আর আসে না। পুজোয় ছোটকাকা কবে বিদেশ থেকে ফিরছিন কিংবা বড়দাভাইয়ের পড়াশোনা এখন কেমন চলছে এসব জানতে ভরসা এখন ইন্টারনেট। ভিডিয়ো কল, হোয়্যাটসঅ্যাপের দুনিয়ায় দূর এখন সহজেই কাছে চলে আসে। যখন ইচ্ছে চাইলেই প্রিয়জনকে দেখতে পাওয়া যায়, দূর দেশে থেকেও একসঙ্গে সিনেমা দেখা কিংবা শপিং করা যায়- যা থাকে না তা হল স্পর্শ। বিজ্ঞানের দৌলতে জীবন এখন আগের থেকে অনেকটাই সহজ হয়েছে বটে কিন্তু কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছে স্পর্শ।
আজ থেকে বছর কুড়ি আগে তখনও মোবাইল এমন জাঁকিয়ে বসেনি, প্রেম নিবেদনে ভরসা ছিল সেই চিঠি। স্কুল ছুটির শেষে কিংবা টিউশন থেকে বেরিয়ে অন্য গলিতে ভালোবাসার বার্তা নিয়ে চিঠি পৌঁছে যেত প্রেমিক/প্রেমিকার কাছে। আর সেই চিঠি লেখার মধ্যে থাকত কত কাব্য, কত স্বরোচিত কবিতা। কেউ আবার চিঠির সঙ্গে সুগন্ধীও মিশিয়ে দিতেন। এর কয়েক বছর পর চিঠির সঙ্গী হল চকোলেট আর কার্ডও। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ার দুনিয়ায় চিঠির ডল একেবারেই হারিয়ে গিয়েছে। প্রথম দেখা হচ্ছে ডেটিং সাইট কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রথম কথাও ওই চ্যাটে। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রোম্যান্স বজায় রাখতে মাঝেমধ্যেই মনের কথা চিঠিতে লিখে পাঠিয়ে দিন সঙ্গীয় ঠিকানায়। আসলে টেক্সট হোক কিংবা ভয়েস মেসেজ অনেক সময়ই মনের কথাটা সঙ্গীকে ঠিক করে বলে ওঠা হয় না। সেই সব কথাই লিখে ফেলুন চিঠিতে। কীভাবে লিখবেন? তার জন্যই রইল এই পরামর্শ।
কী বলতে চাইছেন তা ভালো করে ভেবে নিন- আপনার মনের মধ্যে কী চলছে বা আপনি কী ভাবছেন তা কিন্তু একমাত্র আপনার একার পক্ষেই জানা সম্ভব। এমন কিছু মুহূর্ত থাকে, এমন কিছু কথা থাকে যা আমরা চাইলেও বলে উঠতে পারি না। তাই সেই ভেতরকার কথাই লিখে ফেলুন চিঠিতে। লিখছেন মানেই প্রচুর সাহিত্য ফলাতে হবে এমন নয়। ধরে নিন সঙ্গী আপনার সামনেই রয়েছে। তাঁকে যেভাবে বলতেন সেভাবেই লিখুন। মন খুলে যাবতীয় কথা লিখে ফেলুন চিঠিতে।
সুন্দর করে শুভেচ্ছা জানান- প্রিয়জনদের যে কোনও কাজের জন্যই আমরা শুভেচ্ছা জানাতে পারি। আমাদের জীবনে তাঁদের ভূমিকা বোঝাতেই কিন্তু সুন্দর করে শুভেচ্ছা বার্তা লিখুন। সঙ্গীকে বিশেষ কোনও নাম দিয়ে থাকলে তাই দিয়েই চিঠি শুরু করুন। চিঠি পড়তে পড়তেই সঙ্গী যাতে মন থেকে আপনার আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখুন।
কোন উপলক্ষ্যে চিঠি দিচ্ছেন তা লিখুন- জন্মদিন কিংবা বিবাহবার্ষিকীতে অনেকেই সঙ্গীকে স্পেশ্যাল কিছু উপহার দেওয়ার কথা ভাবেন। সেখানে চিঠি কিন্তু দারুণ উপহার। ধরা যাক আপনাদের প্রথম যেদিন দেখা হয়েছিল সেই দিনটা স্মরণীয় করে রাখতে চিঠি দিতে চান। কিংবা প্রথম চুম্বনের সেই আবেগঘন মুহূর্ত আরও একবার সঙ্গীকে মনে করিয়ে দিয়ে চিঠি লিখতে চান। এক্ষেত্রে লেখা কিন্তু সেরকমই হবে।
আমি তোমায় ভালোবাসি- কেন আপনি সঙ্গীকে ভালোবাসেন, তাঁকে কতটা ভালোবাসেন তার উল্লেখও অবশ্যই রাখবেন চিঠিতে। সেই সঙ্গে আপনি তাঁকে নিয়ে কী স্বপ্ন দেখেন, আরও কী কী চান, আপনার আবদার সবই কিন্তু লিখে ফেলুন চিঠিতে। এভাবে নিজের ভালোবাসার কথা বলতে পারলে সম্পর্ক আরও বেশি দৃঢ় হবে আপনাদের মধ্যে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-18 00:24:42
Source link
Leave a Reply