প্রেগনেন্সির সময় হবু মায়ের শরীরের নানা পরিবর্তন হতে থাকে। মনে আসে নতুন আবেগ। শরীর মন জুড়ে আসে নানা পরিবর্তন। প্রধানত হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই শরীর এবং মনের এই পরিবর্তন হয়। রক্ত চলাচলের গতি বাড়ে। স্তনের আকার ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে খিদে।
গর্ভধারণের প্রথম দিকে বমিভাব, বমি, ক্লান্তি অনেক মহিলার মধ্যেই দেখা যায়। ধীরে ধীরে খিদে বাড়তে থাকে এবং ক্লান্তি কমতে থাকে। বমি ভাবও দূর হয়। বড়সড় পরিবর্তন হয় যৌন চাহিদারও। গর্ভাবস্থায় প্রায় পাঁচ ধরনের যৌন জীবনের সম্মুখীন হতে পারেন মহিলারা।
হরমোনের পরিবর্তন
গর্ভধারণের প্রথম তিন মাস ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে যৌন আকাঙ্খা অনেকটাই কমে যায়। এছাডা়ও কিছু পরিবর্তন দেখা দেয়।
– হরমোনের পরিবর্তন
– ক্লান্তি
– অস্থিরতা
– স্তনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি পায়
দশ সপ্তাহ নাগাদ বৃদ্ধি পাওয়া হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে। এর ফলে ক্লান্তি এবং বমিভাব কমতে থাকে। ফলে শরীরের অস্বস্তিও কমে। এই সময় ধীরে ধীরে সেক্স ড্রাইভ বাড়তে থাকেI শরীরের উত্তেজনা বাড়ে এবং শক্তিও বৃদ্ধি পায়।
তিন মাস কেটে যাওয়ার পর হবু মায়ের ওজন বাড়তে থাকেI কোমরে ব্যথা শুরু হয়, এবং যৌন চাহিদা ফের কমতে থাকে।
তবে এক্ষেত্রেও মনে রাখতে হবে যে একেক নারীর গঠন এক এক রকম। তাই নিয়ম মেনে শরীরের পরিবর্তন সকলের শরীরে হয় না। বেশিরভাগ মহিলার যৌন ইচ্ছা একেবারে কমে গেলেও কারও শরীরের কিন্তু চাহিদা থেকেই যায়। দুটিই স্বাভাবিক। সাধারণত গর্ভধারণের পর যাঁদের ওজন বাড়ে তাঁদের যৌন ইচ্ছা থাকে। তুলনায় যাঁদের ওজন স্বাভাবিক থাকে তাঁদের যৌন চাহিদাও বেশি থাকে।
সংবেদনশীল স্তন এবং রক্ত চলাচলের গতি বৃদ্ধি
গর্ভবতী হওয়ার পর রক্ত চলাচলের গতি বৃদ্ধি হয়I বিশেষ করে যৌনাঙ্গ, যেমন স্তন এবং যোনিদেশের রক্ত চলাচল অতিরিক্ত হারে বাড়ে। বলাবাহুল্য যৌনাঙ্গে রক্ত চলাচলের গতি বাড়ায় যৌন ইচ্ছাও তৈরি হয়। এটা খুবই স্বাভাবিক এবং এই সময় যৌনসঙ্গমের সুখও অসাধারণ হয়। এই সময় স্তনবৃন্ত থেকে তরল পদার্থ পড়তে শুরু করে। শরীরের এই ধরনের পরিবর্তনে চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।
কামশক্তি বৃদ্ধি
অনেক গর্ভবতী মহিলারই এই সময় কামশক্তি বৃদ্ধি পায় এবং তা সাধারণত প্রথম এবং দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক সময়ের মধ্যেই হয়ে থাকে। যৌনাঙ্গের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় যোনিদেশের লুব্রিকেশন বৃদ্ধি পায়। চিকিৎসকের পরামর্শ এবং সাবধানতা মেনে সেই সময় যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হওয়াই যায়। এই সময় যৌনসঙ্গমে মানসিক এবং শারীরিক সুখ মেলে।
মানসিক স্বস্তি
গর্ভধারণের পর বেশিরভাগ মহিলাই মানসিকভাবে সুখী থাকেনI নতুন অতিথি আসার প্রস্তুতি চলে। মনে থাকে নানা স্বপ্ন। সবকিছুই ইতিবাচক বলে মনে হয়। তার উপর পরিবারের লোকের অতিরিক্ত যত্নআত্তির ফলেও মন ভালো হয়ে যায়। সেই সময় যৌন ইচ্ছাও জাগতে পারে।
ওজন বৃদ্ধি
কম করে চল্লিশ দিনের প্রেগনেন্সির সময় থেকেই হবু মায়ের ওজন বৃদ্ধি হতে থাকে। অনেকেই শরীরের গড়নের এই পরিবর্তন পছন্দ করেন না। তবে অনেকেই আবার এই ওজন বৃদ্ধি দেখে খুশি হন। বিশ্বাস করেন যে সন্তান সুস্থ হবে। স্তন এবং নিতম্বের বড় হওয়া অনেকেই পছন্দ করেন। অন্য দিকে অনেক পুরুষই এই ধরনের আকার পছন্দ করেন। ফলে যৌনসঙ্গমের ইচ্ছে জাগে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-13 16:40:23
Source link
Leave a Reply