হাইলাইটস
- হার্ট অ্যাটাক থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার পর নিজের খাদ্য তালিকার প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখা অত্যন্ত জরুরি।
- সে সময় নিজের ডায়েটে এমন কিছু খাবার যুক্ত করা উচিত, যা হৃদয়ের সুস্থতা নিশ্চিত করতে পারে।
- আবার হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে এমন সমস্ত খাদ্য বস্তুকে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন।
হেল্দি ফ্যাট
হার্ট অ্যাটাকের পর সবার আগে নিজের খাদ্য তালিকায় হেল্দি ফ্যাট অন্তর্ভূক্ত করা উচিত। হেল্দি ফ্যাট বলতে মোনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট ও পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট বোঝায়, যা হৃদয় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যেমন-
ড্রাই ফ্রুট বা নাটস
এটি শরীরে শক্তি জোগায়। ম্যাঙ্গানিজ, সেলেনিয়ম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন, মিনারেল্স ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটে সমৃদ্ধ হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এর ফলে রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কম হয়।
বীজ
সূর্যমুখী, তিসি ও চিয়া বীজে প্রচুর পরিমানে হেল্দি ফ্যাট থাকে।
মাছ
স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের প্রধান উৎস হল সালমন ও টুনা। এই মাছগুলি নিয়মিত খেলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমে।
অলিভ অয়েল
হেল্দি ফ্যাটে ভরপুর অলিভ অয়েল শরীরে রক্ত সঞ্চার উন্নত করে।
ডিম
একটি ডিমে প্রায় ৬ গ্রাম ফ্যাট থাকে। এতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট স্বাস্থ্য ও হৃদযন্ত্রের জন্য উপযোগী।
দই
ক্যালশিয়াম, প্রোটিন, ল্যাকটোজ, আয়রন, ফসফরাসের মতো পুষ্টিকর উপাদানে ভরপুর দইয়ে হেল্দি ফ্যাটস থাকে। পেটের পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্যও এটি উপযোগী।
ডার্ক চকোলেট
এটি হেল্দি ফ্যাটের ভালো উৎস। পাশাপাশি ডার্ক চকোলেট অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। স্বাভাবিক হার্ট বিট বজায় রাখতে এটি সাহায্য করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার
নানান রঙের সবজি ও ফল
কড়াইশুটি, পালক শাক, ফুলকপি, টমেটো, ব্রকোলি, আপেল, রাসবেরি, পেয়রা, তরমুজ, শশা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে যা হৃদযন্ত্রের সুস্থতার জন্য দায়ী।
সোয়াবীন
প্রোটিন ও ক্যালশিয়ামের অভাব দূর করে সোয়াবীন। তাই খাদ্য তালিকায় এটি রাখবেন।
ডাল
মুসুর, ছোলা ও মুগ ডাল হাই প্রোটিনের উল্লেখযোগ্য উৎস। তাই এ সমস্ত ডাল অবশ্যই নিজের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করুন।
দুধ ও দুগ্ধজাত খাদ্য বস্তু
দুধ, চিজ, পনীরকে প্রোটিনের উল্লেখযোগ্য উৎস মনে করা হয়।
ওটস
শুধু প্রোটিনই নয় বরং ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, ফসফরাস ও ফলেটে সমৃদ্ধ ওটস। এই সমস্ত উপাদানই স্বাস্থ্যের পক্ষে অধিক উপযোগী।
ড্রাই ফ্রুট ও বীজ
উচ্চ প্রোটিনের শ্রেষ্ঠ উৎস হল শুকনো ফল ও বীজ। এর ফলে শরীরে প্রোটিনের অভাব দূর হয়।
গোটা অন্ন ও শস্য
জোয়ার, বাজরা ও রাগীর মতো গোটা শস্য হজমে সাহায্য করে। গোটা শস্য খেলে কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজিতে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ডায়েটে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খাবার খেলে হৃদরোগের আশঙ্কা কমে যায়। তাই হৃদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্যের জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করুন। আখরোট, তিসি, সরষের বীজ, সোয়াবীন, অঙ্কুরিত শস্য, ফুলকপি, সবুজ বিনস, ব্রকোলি, শালগম, সবুজ শাক সবজি ও স্ট্রবেরি, টুনা, সালমন, ইলিশ মাছ, চিনাবাদাম, গোরুর দুধে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে।
ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার
হার্ট অ্যাটাকের পর নিজের খাদ্য তলিকায় ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার-দাবার অন্তর্ভূক্ত করুন। এ সময় অধিক পরিমাণে বেরি, রসালো ফল, টমেটো, ওটমিল খান।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-12 15:48:42
Source link
Leave a Reply