দৈনন্দিন জীবনে মানসিক চাপ ও পরিশ্রমের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। মানসিক চাপ শরীরকে বিকারগ্রস্ত করে দেয়। কায়িক পরিশ্রম না করার ফলে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি, এমনকি মেরুদণ্ডে জং ধরে যায়। একে বলে ডিজেনারেটিভ চেঞ্জ বা অস্টিও আর্থ্রাইটিস। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এগুলো ব্যাপক আকার ধারণ করে। ফলে শুরু হয় ব্যথা। আমাদের শরীরটিও একটি যন্ত্রের মতো। এর যথাযথ ব্যবহার না করলে মরিচা তো ধরবেই।
কেন হাঁটবেন
হাঁটার বিকল্প হাঁটাই। যতগুলো ব্যায়াম আছে তার মধ্যে হাঁটা হলো সর্বোৎকৃষ্ট। সুযোগ থাকলে সাঁতারও খুব ভালো ব্যায়াম। দৌড়ানোর খুব বেশি প্রয়োজন নেই। অনেকে ব্যায়াম বলতে ব্যায়ামাগারে গিয়ে যন্ত্রপাতি দিয়ে ঘাম ঝরানোকে বুঝে থাকে, এটা ঠিক নয়। যন্ত্রপাতি দিয়ে ভারী ব্যায়াম করার ফল সবার জন্য ভালো নাও হতে পারে। ব্যায়ামাগারে কী ধরনের ব্যায়াম করবেন, তা জানতে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো। নতুবা হাঁটুন, শুধু হাঁটুন। ভালো থাকবেন। ২৪ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৬০ মিনিট হাঁটার জন্য সময় বের করা কোনো ব্যাপারই নয়। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কর্মস্থলে যাওয়ার আগে ৩০ মিনিট হাঁটুন। আবার অফিস থেকে এসে রাতে খাওয়ার আগেও ৩০ মিনিট হাঁটুন।
খাবারের তালিকা তৈরি করে নিন
চর্বি বা চর্বিযুক্ত খাবার একদম নয়। চতুষ্পদ জন্তুর মাংস কম খাবেন। একজন পুষ্টি বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে শরীরের উচ্চতা, গড়ন, কাজের ধরন অনুযায়ী একটি তালিকা করে নিন। ফলমূল, সবজিজাতীয় খাবার ও পানি বেশি করে খাবেন। পরিমিত ব্যায়ামের সঙ্গে চাই সুষম খাবারও।
মোহাম্মদ আলী
বিভাগীয় প্রধান, ফিজিওথেরাপি বিভাগ, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০০৯
Leave a Reply