হাইলাইটস
- বিভিন্ন বয়স ও প্রজাতির খরগোশের খাদ্য গ্রহণ ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন হয়ে থাকে।
- একটি বয়স্ক খরগোশের খাদ্যতালিকায় এমন হতে হবে, যাতে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ ক্রুড প্রোটিন, ১৪ শতাংশ ফাইবার, ৭ শতাংশ মিনারেল ও ২৭০০ কিলো ক্যালরি/কেজি পুষ্টির জোগান সুনিশ্চিত হয়।
কোথায় খরগোশ পুষবেন
বাড়ির ছাদ, আঙিনা বা বারান্দায় খরগোশ পোষা যায়। এ ক্ষেত্রে খরগোশের জন্য স্থান চিহ্নিত করে সেখানে একটি শেড বানিয়ে নিতে পারেন। সাধারণত দুটি পদ্ধতিতে খরগোশ পালন করা যায়—
লিটার পদ্ধতি
সংখ্যায় কম খরগোশ পালন করতে হলে এটি কার্যকরী পদ্ধতি। এ ক্ষেত্রে কংক্রিটের মেঝের ওপর ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি মোটা করে তুষ, কাঠের ছাল অথবা খড় ছড়িয়ে দিতে হবে। তবে এই পদ্ধতিতে ৩০টির বেশি খরগোশ পালন করবেন না।
আবার পুরুষ ও মহিলা খরগোশকে পৃথক পৃথক ঘরে রাখা উচিত। এঁরা খুব দ্রুত প্রজনন করে থাকে এবং একটি খরগোশ এক সঙ্গে ৮ থেকে ১০টি বাচ্চা প্রসব করে। প্রজননের উদ্দেশে ১০-১৫ মিনিটের জন্য স্ত্রী ও পুরুষ খরগোশ সঙ্গে রাখলেই যথেষ্ট।
খাঁচা পদ্ধতি
বাণিজ্যিক কারণে খরগোশ পালনের পরিকল্পনা থাকলে এই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। লোহার পাত দিয়ে তৈরি ৩ থেকে ৪টি তাক বিশিষ্ট খাঁচা তৈরি করে খরগোশ পালন করুন। তার পর প্রতিটি তাকে পর্যাপ্ত জায়গা রেখে খোপ করে দিতে হবে।
খাঁচায় খরগোশের জন্য কতটা স্থান রাখা উচিত—
১. পূর্ণবয়স্ক পুরুষ খরগোশের জন্য ৪ বর্গফুট স্থান দরকার।
২. আবার পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী খরগোশের জন্য ৬ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে। প্রসবের জন্য বড় খোপের প্রয়োজন হয়।
৩. শিশু খরগোশের জন্য ১.৫ বর্গফুট যথেষ্ট।
অন্য দিকে পূর্ণবয়স্ক খরগোশের খাঁচা ১.৫ ফুট লম্বা, ১.৫ ফুট চওড়া এবং ১.৫ উঁচু হওয়া উচিত। এতে দুটি খরগোশ পালন করা যাবে। আবার বড় আকারের খরগোশের জন্য ৩ ফুট লম্বা, ১.৫ ফুট চওড়া এবং ১.৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট খাঁচাই যথেষ্ট।
খাবার
বিভিন্ন বয়স ও প্রজাতির খরগোশের খাদ্য গ্রহণ ও পুষ্টির প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন হয়ে থাকে। একটি বয়স্ক খরগোশের খাদ্যতালিকায় এমন হতে হবে, যাতে ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ ক্রুড প্রোটিন, ১৪ শতাংশ ফাইবার, ৭ শতাংশ মিনারেল ও ২৭০০ কিলো ক্যালরি/কেজি পুষ্টির জোগান সুনিশ্চিত হয়।
খাবারের পরিমাণ
১. বয়স্ক খরগোশের জন্য প্রতিদিন ১৩০-১৪৫ গ্রাম খাবার প্রয়োজন।
২. স্তন্যপান করানো খরগোশের জন্য প্রতিদিন ২৫০-৩০০ গ্রাম জরুরি।
৩. বাড়ন্ত খরগোশের জন্য প্রতিদিন ৯০ গ্রাম খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।
কী কী খাবার দেওয়া যায়
সবুজ শাক-সবজি, পালং শাক, গাজর, মুলো, শশা, সবুজ ঘাস ইত্যাদি। এ ছাড়াও দিতে হবে চাল, গম, ভুট্টা।
খরগোশ অসুস্থ কী না কী ভাবে বুঝবেন?
১. ফ্যাকাসে চোখ,
২. কান খাড়া থাকে না,
৩. লোম শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে যায়,
৪. খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়,
৫. দৌড়ঝাপ কমিয়ে দেয় এবং শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে।
খরগোশের কোন কোন রোগ হতে পারে
ককসিডিয়া, কৃমিরোগ, নিউমোনিয়া রোগে সাধারণত খরগোশ আক্রান্ত হয়। এ ছাড়াও মিক্সোমাটোসিস, সালমোনেল্লেসিস ইত্যাদি বিপজ্জনক রোগও দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তাই বাড়িতে খরগোশ পালন করতে চাইলে সমস্ত বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে বিচার করে দেখতে হবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-10 10:40:11
Source link
Leave a Reply