হাইলাইটস
- সিঁড়ির খাঁজগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করবেন।
- খাঁজগুলিতে অধিক পরিমাণ ময়লা জমে।
- মাসে একবার সাবান জল দিয়ে সিঁড়ি মুছতে পারেন।
বাড়ির বাইরে পাথরের সিঁড়ি থাকলে তা প্রধানত অমসৃণ হত। তাতে পিছলে পড়ার সম্ভাবনা প্রায় থাকতই না। যদিও এক নাগাড়ে সেই পথ দিয়ে চলাচল করতে করতে তা মসৃণ হযে যেত। মিস্ত্রিরা সেগুলি ফের অমসৃণ করে ফেলতেন।
আর অন্তরমহলের পাথরের সিঁড়ি হল মূলত মার্বেল বা গ্রানাইটের। সেই সময় টাইলস্-এর প্রচলন তুলনামূলক কম ছিল। তাই মার্বেল এবং গ্রানাইটই ছিল স্টাইলিশ ইন্টিরিয়র ডিজাইনের যাবতীয় উপায়। আগেকার দিনের বনেদি বাড়িতে প্রচুর চাকর বাকর ছিলেন। তাঁরাই সেই সব পাথরের সিঁড়ির যত্ন আত্তি করতেন। কিন্তু বর্তমানে নিজের বাড়ির যত্ন নিজেকেই নিতে হয়। তাই সখ করে পাথরের সিঁড়ি তৈরি করলে তার যত্ন নিতে হিমসিম খেতে হয় বাড়ির মালিক বা মালকিনকেই।
সিঁড়ির যত্ন নিন
– মার্বেল এবং গ্রানাইট পাথরের রক্ষণাবেক্ষণের নির্দিষ্ট যন্ত্র রয়েছে। সাধারণত পেশাদার কারিগররাই এই মেশিনের ব্যবহার জানেন। সাধারণভাবে এই মেশিনের ব্যবহার করা বেশ কঠিন। এই যন্ত্রণ ওজনে যেমন ভারি তেমনই সেটিকে চালাতে গেলে দক্ষতার প্রয়োজন। অবশ্য বর্তমানে হাতে ব্যবহারের জন্য যন্ত্রও রয়েছে। তাছাড়া এই বিষয়টি সাধারণত সিঁড়ি তৈরির সময়ই সম্পন্ন হয়ে থাকে। এক্ষেত্রের গৃহকর্তার বিশেষ নজর দিতে হয় না।
– মার্বেল বা গ্রানাইট পালিশ করার পর এমনিতেই মসৃণ এবং পিচ্ছিল হয়ে যায়। তাই এর উপর মোম পালিশ দেওয়া একেবারে ভুল। তাতে বাড়ির লোকেরই বিপদ হবে। সিঁড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি ওঠা নামার সময় পিছলে পড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে মার্বেল বা গ্রানাইটের ঝকঝকে অবস্থা ধরে রাখবে বিশেষ ধরনের স্ফটিক পালিশ ব্যবহার করা হয়। সিঁড়ি পালিস করার জন্য বিশেষজ্ঞরা এর উচ্চ মানের সিলিকন, প্রতিরক্ষামূলক স্তর, অ্যান্টি-ফাউলিং, নন-স্লিপ, সুপার প্রতিরোধী ব্যবহার করার পরামর্শ দেন।
– বাড়ির সিঁড়ি পরিষ্কার করতে নিয়মিত ঝাঁট দেওয়া এবং ফিনাইনল জল দিয়ে মুছলেই হবে।
– চেষ্টা করবেন মার্বেল বা গ্রানাইটের উপর মোম বা তেল জাতীয় পদার্থ না ফেলার। এতে সিঁড়ির পিছলভাব বৃদ্ধি পায়।
– সিঁড়ির খাঁজগুলি নিয়মিত পরিষ্কার করবেন। খাঁজগুলিতে অধিক পরিমাণ ময়লা জমে। মাসে একবার সাবান জল দিয়ে সিঁড়ি মুছতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে সাবার জল ব্যবহারের পর পরিষ্কার জলে সাবানের পিছলভাব যেন উঠে যায়।
– মুছতে কষ্ট হলে জল ন্যাতা দিয়ে শুকনো করে সিঁড়ি মুছবেন। মব স্টিক দিয়ে মুছলে সিঁড়ি জল জলে থেকে যায়। শুকোতে সময় লাগে। অসাবধানে পিছলে পড়ার ভয় থাকে।
– সাদা মার্বেলে দাগ লাগলে পাতি লেবু, ভিনিগার কিংবা খাবার সোডা দিয়ে ঘঁষে তুলে দিতে পারেন। দাগ গাঢ় হলে হারপিক বা সেই জাতীয় পদার্থ দিয়ে দাগ তুলে দিন।
– মার্বেল মোছার সময় জলে অল্প ভিনিগার দিয়ে দিতে পারেন তাহলে তার সাদাভাব স্পষ্ট থাকবে।
– গ্রানাইট পাথর ভুলেও অ্যাসিড, পাতিলেবু বা ভিনিগার দিয়ে পরিষ্কার করতে যাবেন না। তাতে গ্রানাইটে সাদা দাগ পড়ে যায়। যা দেখতে খারাপ লাগে। সেই সাদাভাব উঠতে বহু দিন লেগে যায়। এমনকি গ্রানাইট পাথরের স্বাভবিক মসৃণভাবটাও নষ্ট হয়ে যায়।
– মোজা কিংবা হাওয়াই চপ্পল পরে তাড়াহুড়ো করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করবেন না। ভয়ানক বিপদ হতে পারে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-10 11:42:25
Source link
Leave a Reply