হ্যাঁ- ওর নাম রূনা । খুব সুন্দরী তা বলা যাবে না তবে কিছু একটা আছে ওর মধ্যে । ছেলেরা সহজেই আকৃষ্ট হয় ওর প্রতি । তাতে রূনারও খুব একটা ধৈয্যচ্যুতি হয়না বরং এতে সে পুলকিত হয় । পরিনামে ছেলেটিকে একদিন দেখা যায় কোন এক চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে অথবা কোন ফাষ্টফুড শপে । ছেলের মানিব্যাগ হাল্কা হয় কিছুদিন পর ঝগড়া এবং আবার নতুন কেউ ।
এবার বর্তৃমান ঘটনায় ফেরা যাক । রূনা তখন মাত্র ইন্টারমিডিয়েট ফার্ষ্ট ইয়ার-এ । পরিচয় হয় বিপুল নামে এক ক্লাসমেট এর সাথে । তারপর পরিণয় । বিপুলের পরিচয় তার বাবার ভালো ব্যাবসা এবং এদেশেরই কোন এক বৃহত্তর জেলার অভিজাত এলাকায় নিজেদের বাড়ী । শুরু হল যাকে বলে উদ্দাম প্রেম । শারীরিক মেলামেশা এক্ষেত্রে নিয়মিত ঘটনা ।
রূনার ফুলটাইম প্রেমিক হিসাবে বিপুলের ভালই দিন কাটছিল । বিপুল নিজের পরিবারকে রূনার ব্যাপারেও জানায়। পছন্দ না হলেও তারা রাজী হন । ঠিক হয় পড়াশোনা শেষ হলে বিয়ে হবে । এর মাঝে তাদের ইন্টার মিডিয়েট পরীক্ষা হয়ে যায় । অনার্স পড়তে বিপুল ঢাকা চলে যায় ।
এ পর্যায়ে সমস্যা তৈরি হয় রূনাকে নিয়ে । শারীরিক মেলামেশায় অভ্যস্ত রূনার পক্ষে একা থাকা কঠিন হয়ে যায় । তাছাড়া অনার্সে উঠে সে কিছু স্বাধীনতা পায় যার ফলে তার দু’টি পাখা গজায় । অনেকেই তার প্রতি আকৃষ্ট এবং সেও তাতে সাড়া দিতে থাকে । শুধু বিপুল যখন ফিরে আসে তখন সে পুরোপুরি অন্য রূপে দেখা দেয় ।
এরপর রূনা তার এক পার্টটাইম প্রেমিকের কাছে থেকে মোবাইল গিফট পায় । এমনিতে নাচুনি বুড়ি তার উপর ঢোলের বাড়ি সার্থক হল একথা । এবার শুরূ হল মোবাইলের প্রেম এবং আরো নতুন সব সম্ভাবনা ।
তার উপর চল্লিশোর্ধ এক কলেজ শিক্ষকের সাথেও ভাল নাম্বারের প্রত্যাশায় গভীর হতে গভীরতর প্রেম শুরু হয় । পাঠক এখানে একটু নাক গলাতেই হচ্ছে – এক্ষেত্রে প্রেম বলাটা বোধহয় ঠিক হচ্ছে না । কারন প্রেমের মত ভাল একটি বিশেষণে প্রেমকে অপমান করা হয় । পাঠক একে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি ।
নতুন একজনের আবির্ভাব হয় – দেশের একটি এলাকার মোটামুটি নামকরা পরিবহন মালিকের ছেলের সুমনের । রূনাকে দেখেই তার মনে হয় এতদিন এ মেয়েকেই সে মনে মনে খুঁজছিল । মাত্র আড়াই মাসের পরিচয় এবং শারীরিক মিলন শেষে তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় । রূনার দিক থেকে ব্যাপার ছিল ছেলের সম্পদ, টাকা । সে এটাকে বিবেচন্য় আনেই না যে বিপুল তার কে ছিল । সুমনকে সে তার পূর্ব জীবনের কথা জানায় রেখে ঢেঁকে । নিজেকে উপস্থাপন করে পরিস্থিতির শিকার এবং নির্যাতিতা বলে । প্রেমে অন্ধ আর ভালমানুষ সুমনের তাতে করূনায় মন ছেয়ে যায়। এ দুঃখী মেয়ের দুঃখ দূর করার দায়িত্ব সে নিতে চায় । তাকে অনেকেই অনেকভাবে বোঝানোর চেষ্টা করে কিন্তু তাতে কোন লাভ হয় না । বিয়ে হয়ে যায় ।
পাঠক এতক্ষণ যে ঘটনা পড়লেন সেটি সত্য ঘটনা । নাম বদলে দিয়েছি কেননা কাউকে আঘাত দিতে চাই না । এর সবাই আমার পরিচিত । বিপুল এখন নেশাগ্রস্ত । সম্ভাবনময় ছেলের এ পরিণতি বেদনাদায়ক । কিন্তু নেশাকে কিছুতেই সমর্থন করা যায় না ।
আর রূনাও খুব ভাল নেই । সুমনের অভিযোগ রূনার শারীরিক মিলনে কোন অনুভূতি নেই । পাপ বাপকেও ছাড়ে না । সুমন অনুতপ্ত কেন সে জেনেশুনে এমন একটি মেয়েকে বিয়ে করল ।
R
Lekha ti balo good!a sof mae der aria cholun.na hola pora…..
Bangla Health
ভালো-মন্দ খুব আপেক্ষিক ব্যাপার। দুজনে দুজনার সাথে খাপ খাওয়াতে পারলে ভালো-মন্দে কিছু যায় আসে না। গল্পটায় সুমন এবং রুনা- দুজন দুজনের উপযুক্ত নয়। হয়তো বিয়ের পর তাদের মধ্যে এখন বোঝাপড়ায় সমস্যা হচ্ছে। কেননা বিয়ের আগে তারা এই দিকে নজর দেয় নাই।
ধরা যাক, একটা চোরের দম্পত্তি। সমাজের চোখে দুজনই মন্দ। কিন্তু দেখা গেল, দাম্পত্য জীবনে দুজনেই খুব সুখী।
সঠিক মানুষটার সাথে জীবন কাটানোতেই আসল সুখ।