লাবন্য, বয়স ২২ বছর। বর্তমানে সে একটি নামকরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বিবিএ পড়ছে। তারা এক ভাই, এক বোন এবং সে ছোট। তার মা একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এবং তার বাবা সরকারের একজন উচ পর্যায়ে অধিষ্ঠিত কর্মকর্তা। প্রথম সাক্ষাতে তাকে দেখলে কেউ ভাবতেই পারবে না এরকম চমৎকার একটি মেয়ের মাঝে কোনো ধরনের মনোবৈকল্য থাকতে পারে। লাবন্য দেখতে অত্যন্ত সুন্দর। অবশ্য তার ক্ষেত্রে সুন্দরের চেয়ে সুন্দরী বিশেষণটি ব্যবহার করাই শ্রেয়। তার এই সৌন্দর্যের বর্ণনা এভাবে দেয়া যায়। যেমন্ল কোনো ফাস্ট ফুডের দোকানে বা শপিং সেন্টারে বিপাশা হায়াত বা শমী কায়সার থাকলে সেখানে যদি লাবন্য যায় তাহলে তাদের রেখে লোকজন লাবন্যকেই দেখবে। এছাড়াও লাবন্যর শারীরিক গড়ন খুব কাম উত্তেজক। লাবন্য কথায়-বার্তায় অত্যন্ত স্মার্ট এবং মার্জিত। কোনো পরিবেশে গিয়ে কিভাবে কার সাথে মিশতে হবে সে খুব ভালো জানে। ছোটবেলা থেকেই তার শারীরিক বৃদ্ধি খুব তাড়াতাড়ি হয় এবং তার বয়ঃপ্রাপ্তি বা পিরিয়ড হয় ৯ বছর বয়সে। ৯ বছর বয়সে তার পিরিয়ড হবার ফলে তার বাবা-মা খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং লাবন্যকে ডাক্তারের শরণাপন্ন করেন। ডাক্তার অবশ্য বলেন, এতে অস্বাভাবিকতার কোনো লক্ষণ নেই। শারীরিক বৃদ্ধি দ্রুত ঘটলে এই বয়সে পিরিয়ড হতে পারে। যা হোক লাবন্যর শারীরিক বৃদ্ধির সাথে সাথে মানসিক বৃদ্ধিও খুব দ্রুত ঘটে।
লাবন্য যখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী তখন তার ভাইয়ের এক বন্ধুর সাথে তার ঘনিষ্ঠতা হয় এবং এই প্রথম সে কোনো ছেলের খুব ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে আসে। কিন্তু তাদের এই সম্পর্ক বেশি দিন স্থায়ী হয় না। এতে লাবন্য কোনো মন খারাপ করে না। কারণ ইতিমধ্যে তার গুণগ্রাহী পুরুষের সংখ্যা এত বেড়ে যায় যে, তার মন খারাপ করার মতো কোনো কারণ ঘটে না। সে যেখানেই যায় সবাই তাকে পছন্দ করে, তার প্রশংসা করে এবং ভালোলাগা ভালোবাসার প্রস্তাব দেয়। যা হোক সে যখন ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তখন তার তরুণ গৃহশিক্ষক লাবন্যকে বোঝায় তার জন্য সে কত পাগল। কিন্তু ততদিনে লাবন্য অনেক পাগলের সন্ধান পেয়ে গেছে। সে তার শিক্ষককে কখনো না বলে না আবার হ্যাঁও বলে না। এভাবে সে তার শিক্ষকের কাছ থেকে নারী-পুরুষের শারীরিক সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে থাকে, কখনো কখনো প্রাকটিক্যালি কখনো কখনো থিওরিটিক্যালি। একদিন লাবন্য তার বাবা-মার কাছে অভিযোগ জানায় যে, তার শিক্ষক ভালোভাবে তাকে পড়াতে পারে না। তারপর সেই শিক্ষককে বিদায় করে দেয়া হয়। এরপর তার সৌরভ নামে একটি ছেলের সাথে খুব ভাব হয় এবং তাদের সেই ভাব বা ভালোবাসা তাদের বিছানা পর্যন্ত নিয়ে যায়। সৌরভের সাথে সম্পর্ক থাকাকালীন সময়ে সে তার এক কাজিনের সাথেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। মূলত লাবন্যর কাছে প্রেম-ভালোবাসাই ছিল শারীরিক সম্পর্ক এবং সে তা উপভোগ করত। এই পর্যায়ে লাবন্যর বাবার পদোন্নতির কারণে তাদের বাসা বদল করতে হয়। এবার তারা আরো এরোস্টোক্রেট এরিয়ায় চলে আসে।
লাবন্য যখন ক্লাস টেন-এর ছাত্রী, তখন তার পরিচয় হয় কবির নামে চলিশোর্ধো এক অবিবাহিত লোকের সঙ্গে। সেই ব্যক্তির ছোটখাটো ব্যবসা ছিল কিন্তু তার পেশা এবং নেশা ছিল কবিতা লেখা। কবিরের সাথে পরিচয় হবার পর লাবন্য বুঝতে পারে সে এত দিনে একজন প্রকৃত পুরুষের সন্ধান পেয়েছে। কবিরের জন্য লাবন্য ছিল রীতিমতো পাগল। এতদিন লাবন্যর ছেলে বন্ধুদের সাথে গোপন অভিসার ছিল সবার অজ্ঞাতে। তাই তার বাবা-মা তার সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেনি। কিন্তু লাবন্য কবিরের সাথে প্রকাশ্যই মেলামেশা শুরু করল। এতে তার বাবা-মা চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং তাকে শাসন করতে এলে সে তার বাবা-মাকে বলে দেয় যে, সে এই কবিরকে বিয়ে করবে। এই সুযোগ বুঝে কবিরও লাবন্যকে ব্যবহার করতে লাগল। কবিরের কোনো কাজ পাওয়ার প্রয়োজন হলে সে লাবন্যকে নিয়ে সে সব অফিসে যেত এবং সহজেই সে সব কাজ পেয়ে যেত। এরপরেও লাবন্যর চলছিল কবিরের সাথে উদ্যোম খোলামেলা জীবন। লাবন্য ভাবত কবিরের জীবনকে সে আনন্দ ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছে এবং তাকে ছাড়া কবির অসম্পূর্ণ। কবিরের বিভিন্ন যৌনাচরণে লাবন্য অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তাই কবিরকেই লাবন্য জীবনের শ্রেষ্ঠ অবলম্বন বলে মনে করত। একদিন লাবন্য কবিরের কাছে যেয়ে দেখে তারই এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর সাথে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দুজনেই খুবই অন্তরঙ্গ মুহূর্ত উপভোগ করছে। এই দৃশ্য দেখে লাবন্য কিছু না বলেই চলে আসে এবং তার চিন্তা-চেতনার মধ্যে দৃঢ়ভাবে একটি ধারণা জন্মায়, ছেলেরা শুধুই খেলার বস্তু তাদেরকে কখনো বিশ্বাস করা যায় না। এরপর সে কবিরের সঙ্গ ছেড়ে দেয়। মেয়ের এই পরিবর্তন দেখে তার বাবা-মা খুশি হয় এবং মনে করেন লাবন্য হয়তো তার ভুল বুঝতে পেরেছে। এই সময়ে তার খুব ধনী ব্যবসায়ীর এক ছেলের সাথে পরিচয় হয় এবং মাঝে মাঝে সে লং ড্রাইভে যায় এবং ডেট করে।
এভাবে সেই ছেলে একদিন লাবন্যকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু লাবন্য বলে এত ছোট বয়সে তার বাবা-মা তাকে বিয়ে দেবে না, তাছাড়া এখন সেও বিয়ে করতে চায় না। আর এভাবেই সেই ছেলের সাথে তার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এসব কিছুর মাঝে লাবন্য এসএসসি পরীক্ষা দেয় এবং সে ভালো রেজাল করে। কলেজে ওঠার পর থেকেই তার ব্যভিচারপূর্ণ যৌন জীবনের বিকাশ ঘটে। এই সময়ে সে পিয়াল নামে তার এক ক্লাসমেটের সাথে প্রেম করে এবং তার এই বয়ফ্রেন্ডকে সে বাসায় নিয়ে আসে। তার বাবা-মার আপত্তি সত্ত্বেও সে তার বয়ফে”ন্ডকে নিয়ে তার ঘরে দরজা বন্ধ করে থাকে এবং সে তার বাবা-মাকে বলে দেয় এ ব্যাপারে তারা যদি কিছু বলে তাহলে সে বাড়ি থেকে চলে যাবে। কলেজে ওঠার পর একদিন তার স্কুল বয়সের প্রেমিক সৌরভের সাথে দেখা হয় এবং তারা দুজনেই একে অপরকে দেখে খুশি হয়। পিয়ালের সাথে প্রেমের সম্পর্কের পাশাপাশি লাবন্য সৌরভের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে এবং তাকে বলে নেয় পিয়াল হচ্ছে আমার প্রেমিক কিন্তু তুমি শুধু আমার শারীরিক মিলন পার্টনার বা যৌন সঙ্গী। লাবন্য দুজনের সাথেই বেশ ভালো সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। এরকম এক পর্যায়ে লাবন্যর বাবার এক বন্ধু অনেক দিন পর বিদেশ থেকে দেশে আসেন। তিনি যখন বিদেশে যান তখন লাবন্যর বয়স ছিল ২ বছর। যা হোক পুরনো বন্ধুত্বের খাতিরে প্রায়ই তিনি বাসায় আসেন এমনকি যখন লাবন্যর বাবা-মা থাকেন না তখনও আসেন।
লাবন্যর বুঝতে একটুও অসুবিধা হয়নি তার বাবার বন্ধু তার কাছে কী চায় এবং এতে লাবন্য খুব আগ্রহের সাথে সাড়া দেয়। যখন লাবন্যর আঙ্কেল দুপুরে তাদের বাসায় আসেন এবং যখন তার মা-বাবা কেউ থাকেন না তখন তারা দরজা বন্ধ করে অনেকক্ষণ সময় কাটায় এবং যাবার সময় লাবন্যকে অনেক টাকা দিয়ে যায়। লাবন্য তার এই বর্তমান জীবনাচার খুবই উপভোগ করতে থাকে। এরই মাঝে সৌরভ তাকে প্রস্তাব দেয় গ্রুপ শারীরিক মিলন করার জন্য। এতে লাবন্য নতুন ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ পায় এবং সে সাদরে রাজি হয়। সৌরভেরা চার বন্ধু এবং লাবন্য মিলে গ্রুপ শারীরিক মিলন করে লাবন্য খুব মজা পায়। এভাবে সে বিকৃতির দিকে চলে যায়। এরই মাঝে এই অবাধ যৌনাচরণের ফলে লাবন্যর কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে লাবন্যর শারীরিক অবস্থার কথা জেনে তার বাবা-মা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন। কারণ কোনো অবিবাহিত মেয়ের এই সিফিলিস বা গনোরিয়া জাতীয় রোগ হয় না। এরপর লাবন্যর বাবা-মা তার প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখেন এবং লাবন্যর এই জীবনযাত্রার কথা জানতে পেরে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বর্তমানে তারা মনে করছেন তাদের মেয়ের যৌনতাসংক্রান্ত মানসিক সমস্যা হয়েছে। কারণ একটি সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশে বেড়ে উঠেও সে কিভাবে এই ধরনের জীবন বেছে নিতে পারে। তাই তারা তাদের মেয়েকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন করতে চান। কিন্তু লাবন্য এতে রাজি নয়, কারণ সে মনে করে তার কোনো মনোসমস্যা নেই এবং সে বুঝেশুনেই তার জীবনকে উপভোগ করছে।
মনোসমীক্ষণ
লাবন্যর ক্ষেত্রে মনোদৈহিক যৌন সমস্যা দেখা দিয়েছে। যৌনতার ক্ষেত্রে সে হয়ে পড়েছে রুচিহীন এবং বিকৃত। এই জাতীয় যৌন সমস্যায় যেসব নারী আক্রান্ত হয় তাদের নিমফোম্যানিয়াক বলা হয়। এদের চিন্তা-চেতনা এবং যৌনতা বিষয়ে অসংলগ্ন এবং অসতর্ক চিন্তা-ভাবনা কাজ করে।
শাহান
লাবন্যর দোষের চা্ইতে তার বাবা মার দোষ অনেক বেশী।কারণ উনারা মেয়েকে সঠিক পথ দেখান নাই।