আন্তরিকতা বা ইন্টিমেসি হচ্ছে আমাদের অন্তরঙ্গ বন্ধুবান্ধব বা পরিচিতজনের সাথে যে নিজস্ব ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার ভাব ঘটে তাই। এটা আমাদের বেশিরভাগ আত্মীয়তার বা সম্পর্কের ভিত্তি, তাতে সেই সম্পর্কটা হোক না কেন যৌন সম্পর্ক বা তা নয়।
আন্তরিকতা বিশ্বাসের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এটা আর একটি আশীর্বাদ বা উপহার যা আমাদের মাতা-পিতা আমাদের দিতে পারেন। আমাদের শিশু হিসেবে যদি আদর-যত্ন করা হয়, আমাদের শিশুকাল থেকে যদি সম্মান সহকারে লালন-পালন করা হয় এবং আমরা একটা আন্তরিকতার পরিবেশে বড় হতে থাকি এবং যৌনাঙ্গ সম্বন্ধে একটা স্বাস্থ্যকর মনোভাব নিয়ে বেড়ে উঠি এবং আমরা আমাদের নিকটতম আত্মীয়দের বিশ্বাস করতে শিখি তা আমাদের ক্ষতি করবে না। তাতে আমরা আমাদের জীবনসঙ্গীদের সাথে অনেক আন্তরিকতার সাথে অনেক সহজে মিলেমিশে থাকতে সমর্থ হব। আমরা অন্য লোকদের সাথেও সহজ হতে পারব। আমরা যদি আমাদের যৌনসঙ্গীদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠ হতে পরি, তাহলে আমরা একে অন্যের মনোভাব বা অনুভবকে ভাগ করে নিতে পারব, আমাদের ইচ্ছাকে প্রকাশ করতে পারব, স্বাস্থ্যকর সমঝোতা করতে পারব এবং নির্ভয়ে তাদের সাথে, মতবিরোধের কথা ব্যক্ত করতে পারব। আরো আমরা তাদের অনুভব ও মনোভাবকে সমর্থন দিতে পারব।
অনেক নারী-পুরুষই আবিষ্কার করে থাকেন যে, তারা যেভাবে তাদের যৌন সাথীদের সাথে আন্তরিক হতে অসমর্থ ঠিক তেমনি অন্যদের সাথেও আন্তরিক হতে অসমর্থ। তারা দেখতে পারেন যে, তারা তাদের অন্তরঙ্গ মানুষের সাথেও যৌনমিলন করতে ততটাই অসমর্থ। এই ধরনের যৌনতার বাধানিষেধ দীর্ঘস্থায়ী বিবাহিত জীবনের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। যৌনসঙ্গীদের সাথে যৌনতায় অসামর্থতা আসতে পারে যৌনতার বাধানিষেধের কারণে, যেটা জড়িত আছে শরীরের প্রতিবিম্বের সাথে, আত্মাভিমানের সাথে এবং অভ্যন্তরীণ সমকামিতার ভীতির সাথে। অত্যন্ত উন্নত সামাজিক দক্ষতা অর্জনকারী নারী-পুরুষরাও কখনো আন্তরিক হতে অসমর্থ হতে পারে। আন্তরিক হওয়ার বিষয়ে সমস্যাগুলো সাইকোথেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যেতে পারে।
Leave a Reply