হোমোফোবিয়া হচ্ছে সমকামিতার ভয়। আমাদের সমাজ এমন ধরনের নেতিবাচক মনোভাবকে উন্নীত করেছে যে, এখন অনেক মানুষই সমকামিতাকে ভয় পায়, তাদের অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়া রয়েছে। তাতে হোক না কেন তারা লেসবিয়ান, গাই, বাইশারীরিক মিলনুয়াল, স্ট্রেইট অথবা ট্রান্সজেন্ডার। এই ভয়কেই বলা হয়ে থাকে ‘ওষয়পড়ষথলম্পন ঐসশসহভসদমথ’ বা অভ্যন্তরীণ সমকামিতার ভয়। এটা নারী ও পুরুষদের মধ্যে যৌনতার বাধা-নিষেধের কারণ হতে পারে; যদিও এটা বেশিরভাগ পুরুষের মধ্যে হতে দেখা যায়। অভ্যন্তরীণ সমকামিতার ভয় এতটাই শক্তিশালী যে ৩০% পর্যন্ত লেসবিয়ান, গাই এবং বাইশারীরিক মিলনুয়াল বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েরা আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এর দ্বারা অত্যন্ত কঠিন ডিপ্রেশনও হতে পারে। লেসবিয়ান, গাই এবং বাইশারীরিক মিলনুয়াল দলের সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের সমর্থনদানের এবং আত্মাভিমানের ব্যাপারে যুবক-যুবতীদের সমর্থন যোগানোর জন্য অত্যন্ত বেশি সাহায্যকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে। পেশাদারি পরামর্শও যথেষ্ট সাহায্যকারী হতে পারে।
অভ্যন্তরীণ সমকামিতার ভয়-ভীতি, গাই ও লেসবিয়ানদের তাদের যৌনসঙ্গীদের সাথে আন্তরিক সম্পর্ক গঠনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে। এটা আরো এইরূপ ভীতির সঞ্চার করতে পারে যে তারা যৌন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। তারা স্ট্রেইট হওয়ার ভান করবে অথবা অন্য লিঙ্গের সাথে নৈরাশ্যজনক ও আশাহতভাবে যৌন সম্পর্ক গড়তে বাধ্য হবে। স্ট্রেইট লোকেরা যারা এর জন্য দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয় যে, তাদের কিছু যৌনাকাঙ্ক্ষা এবং কল্পনা হতে পারে সমকামিতামূলক, হতে পারে নারীর সঙ্গে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে অনেক কম সামর্থøবান। তারা নারীদের সাথে যৌন সম্পর্ক গঠনে হতে পারে ঞসৎবভ বথী অথবা গথধস মনোভাব গড়ে তোলে। যেসব পুরুষের অভ্যন্তরীণ সমকামিতার ভয় আছে তারাও বথী দথঢ়ভমষব এবং অন্যান্য যৌনতার আক্রমণ চালিয়ে বসতে পারে।
অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়ার চিকিৎসা করানো যেতে পারে পেশাদারি ডাক্তারের পরামর্শ এবং সাইকোথেরাপির মাধ্যমে। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো সেই পদ্ধতিকে গ্রহণ করা যাতে একজনের যৌনতার পূর্বাভিমুখীনতা এবং লিঙ্গের পরিচিতির সাথে খোলামেলা হওয়া যায়। এটা আরো হচ্ছে সামাজিক ও অভ্যন্তরীণ হোমোফোবিয়াকে চ্যালেঞ্জ করার পদ্ধতি। এর অনেকগুলো স্তর আছে প্রথমটি হচ্ছে নিজের মধ্যে থেকে নিজেকে বের করে আনা। এটা বয়ঃসন্ধিকালে হতে পারে, কিন্তু এটা বয়োবৃদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত নাও হতে পারে। অন্য স্তর হচ্ছে অন্য মানুষের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসা বন্ধু-বান্ধব, পরিবার, পড়শী, স্কুলের সাথী, সহকর্মীবৃন্দ এবং অন্যান্য।
Leave a Reply