হাইলাইটস
- শরীরে Uric Acid-এর স্তর বৃদ্ধি পেলে গাউট রোগ দেখা দিতে পারে। এই রোগে গাঁটে ব্যাথা হয়, ফোলা ভাব দেখা দেয় এবং উঠতে-বসতে অসুবিধা হয়।
- Uric Acid এক ধরনের কেমিক্যাল, যা পিউরিন নামক প্রোটিন ভেঙে উৎপন্ন হয়।
- ইউরিক অ্যাসিড কিডনি দ্বারা পরিশোধিত হয়ে প্রস্রাবের পথে বাইরে বেরিয়ে যায়।
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং খাদ্যাভাসের কারণে Uric Acid সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৪ কোটি মানুষ এই সমস্যায় কষ্ট পাচ্ছেন। প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ ইউরিক অ্যাসিডে Uric Acid গাঁটের ব্যথায় শয্যাশায়ী হয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
এর ফলে ক্রিস্টলের মতো ভেঙে গিয়ে হাড়ের মাঝখানে জড়ো হয় ইউরিক অ্যাসিড। যার কারণে গাঁটে ব্যাথা ও ফোলাভাব দেখা দেয়। সমস্যা বৃদ্ধি পেলে হার্ট অ্যাটাক, মাল্টিপল অর্গ্যান ফেলিওর, কিডনি ফেলিওরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসা ও ওষুধের পাশাপাশি হাই ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের নিজের খাওয়া-দাওয়ার বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। এমন কিছু খাদ্যদ্রব্য আছে, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং এর ফলে গাঁটে ব্যাথা, ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে যে ব্যক্তির হাই ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে, তাঁরা এই খাবার খাবেন না—
ডাল ও বিনস
গাউটের রোগীরা কয়েকটি ডাল ও বিনস খাবেন না। দেশী ছোলা, কুলথী বা হর্স গ্রাম, রাজমা, কাবুলিছোলা ইত্যাদি নিজের খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন। এই খাদ্যদ্রব্যগুলি শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার
হাই ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের সবার আগে পিউরিন যুক্ত খাবার এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ এই পিউরিন ভেঙেই শরীরে ইউরিক অ্যাসিড সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মাছ, মাংস খাবেন না। এছাড়া, দই, ভিনিগার, ঘোল, মদ্যপানও এড়িয়ে চলুন। উল্লেখ্য দইয়ে উপস্থিত ট্রান্স ফ্যাট শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই দই বা দইয়ের কোনও খাবার না-খাওয়াই ভালো।
মিষ্টি খাবার ও ড্রিঙ্কস
মিষ্টি খাবার ও ড্রিঙ্কসে উপস্থিত ফ্রুক্টোজ পিউরিনের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। মিষ্টি খাবার ওজন বৃদ্ধি করে, যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই হাই ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরা মিষ্টি ত্যাগ করুন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-06 13:55:33
Source link
Leave a Reply