আত্মাভিমান হচ্ছে আত্মবিশ্বাস প্রকাশের অন্য আর একটি মাধ্যম। এটা হচ্ছে আমাদের নিজেদের জন্য আত্মসম্মানবোধ। আমাদের এটা শক্তিশালী অনুভব করতে সাহায্য করে, সামর্থবান ও যথাযথ-এর অনুভব এনে দেয়। আত্মাভিমান হচ্ছে শরীরের একটি প্রতিবিম্ব এবং শরীরের প্রতিবিম্ব হচ্ছে আত্মাভিমানের একটি প্রয়োজনীয় অংশ। আত্মাভিমান প্রায়ই হয়ে থাকে একটি উপহার যা আমরা পেয়ে থাকি আমাদের পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের কাছ থেকে। আমরা যদি এটা তাদের কাছ থেকে নাও পাই তবুও আমরা নিজেরাই এর উন্নতি সাধন করতে পারি, কিন্তু উপঢৌকন হিসেবে পাওয়ার চেয়ে সেটা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য ব্যাপার। শরীরের প্রতিবিম্বের মতো আত্মাভিমানের রয়েছে আমাদের যৌন জীবনের উপরে অনেক বেশি প্রভাব। এটা আমাদের যৌন জীবনকে নিরাপদ ও নিরুদ্বেগ অনুভব করতে সাহায্য করে। এর অভাবে আমাদের মধ্যে যৌনতার বাধা-নিষেধের অনুভব এনে দেয়। যৌনতার ক্ষেত্রে যত বেশি বাধা-নিষেধ আমরা অনুভব করি তত বেশিই আমাদের আত্মাভিমান কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আত্মাভিমান আমাদের সব ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়, বিশেষ করে ওইসবগুলোতে যেখানে আন্তরিকতা অনেক বেশি থাকে। তার মধ্যে ওইসব সম্পর্কও রয়েছে যেমন যৌন সম্পর্ক। অন্য লোকের সাথে কোনো সম্পর্ক গড়তে হলে আমাদের অনেক বেশি খোলামেলা হতে হয়। আমরা যখনই একটা আত্মীয়তা গড়তে যাই তখনই আমরা একটা আবেগী ঝুঁকি নিই, কারণ আমরা জানি এটা কার্যকর নাও হতে পারে। এই ধরনের ঝুঁকি নিতে আত্মাভিমানের প্রয়োজন হয়। চুক্তির নিমিত্তে আলোচনার জন্যও আত্মাভিমানের প্রয়োজন। আত্মাভিমানের প্রয়োজন রয়েছে সীমা নির্ধারণ করা ও আত্মীয়তার ক্ষেত্রে সুস্থ সমঝোতা করার জন্য।
নারী ও পুরুষের মধ্যে যাদের আত্মাভিমান নেই তারা যা কিছু পায় তাই নিতে বাধ্য হয়, অনেক কম দাবি উত্থাপন করে এবং শেষ পর্যন্ত তারা শোষিত ও নির্যাতিত হয়। তাদের আরো বেশি শোষিত করার সম্ভাবনা থাকে যখনই তারা অন্যকে শোষণ করার সুযোগ পায়। এটা করে থাকে তাদের দুর্বল আত্মাভিমানের সম্পূরণের জন্য। এটা হচ্ছে অন্য একটি দোষযুক্ত আবর্ত।
Leave a Reply