হাইলাইটস
- গর্ভবতী হওয়া থেকে শুরু করে সন্তান জন্মের পরও যে আপনি একা নন, সেই ধারণা মনে বসিয়ে নিন।
- এই পুরো সময়কালে আপনি সাহায্য চাইতেই পারেন।
- স্তন্যপান শুরু করার সময় কোনও অসুবিধায় পড়লে অবশ্যই সাহায্য নিন।
স্তন্যপান করানো একটি প্রাকৃতিক উপায়। কিন্তু যাঁরা প্রথম বার মা হচ্ছেন, তাঁদের পক্ষে সদ্যজাত সন্তানকে স্তন্যপান করানো তত সহজ নয়। এর জন্য স্তন্যপান করানোর সময় বাচ্চাকে কী ভাবে ধরতে হয়, সঠিক ফিডিং পোজিশন কোনটি এবং শিশুকে কখন স্তন্যপান করাতে হবে, তা জেনে রাখা উচিত।
নতুন মায়েরা নিজের শিশুকে স্তন্যপান করানোর সময় কোন কোন বিষয় লক্ষ্য রাখবেন, জেনে নিন—
কারও সাহায্য চাইতে লজ্জা পাবেন না
গর্ভবতী হওয়া থেকে শুরু করে সন্তান জন্মের পরও যে আপনি একা নন, সেই ধারণা মনে বসিয়ে নিন। এই পুরো সময়কালে আপনি সাহায্য চাইতেই পারেন। স্তন্যপান শুরু করার সময় কোনও অসুবিধায় পড়লে অবশ্যই সাহায্য নিন। পরিবার ও কোনও বন্ধুর কাছ থেকে এ বিষয় পরামর্শ ও সাহায্য চান। প্রয়োজনে ল্যাকটেশন কনসালটেন্ট-এর পরামর্শও নিতে পারেন।
সুবিধাজনক স্থান নির্বাচন করুন
বিশেষজ্ঞদের মতে বাচ্চা হওয়ার পর দিনে ১০ থেকে ১২ বার ব্রেস্ট ফিডিং করাতে হয়। তাই সুবিধাজনক ও আরামদায়ক স্থান নির্বাচন করুন। চেয়ারে বসে স্তন্যপান করাবেন না। এ ছাড়া টিভির সামনে বসে সন্তানকে স্তনদুগ্ধ পান করানোর প্রবণতা ত্যাগ করুন। ঘরের মধ্যে আপনার পছন্দের স্থানে বসে স্তন্যপান করান।
বাচ্চাকে ঠিক করে ধরুন
বিশেষজ্ঞদের মতে শিশু ভালোভাবে কোলে না-থাকলে সে স্তন্যপান করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে মহিলাদের স্তনে অধিক দুধ উৎপন্ন হবে না। আবার স্তনবৃন্তেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শিশুর স্তন্যপানের পোজিশনে লক্ষ্য রাখুন
শিশু কোন পোজিশনে স্তন্যপান করতে স্বচ্ছন্দ বোধ করছে, সে বিষয় মা-কে নজর রাখতে হবে। মনে রাখবেন, প্রত্যেকটি শিশুই পৃথক। তারা নিজের সুবিধা মতো পোজিশনে থেকে দুধ পান করতে অধিক স্বচ্ছন্দ বোধ করবে। কিন্তু মা-কে কিছু সাধারণ বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে। যেমন- শিশুর মুখ ও নিপ্পল একই লেভেলে রাখবেন, শিশুকে যাতে খুব বেশি মাথা ঘুরিয়ে যাতে স্তন্যপান না-করতে হয় তা সুনিশ্চিত করুন। বাচ্চার মাথা পিছনের দিকে সামান্য ঝুঁকিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে শুধু নিপ্পলই নয়, পুরো অ্যারিওলা যাতে তারা মুখের মধ্যে রাখে তা দেখে নিন। স্তন্যপান করার সময় শিশুর নাক চাপা পড়তে দেবেন না। এতে তাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হবে এবং হাফিয়ে উঠতে পারে। উল্লেখ্য, জোরজবরদস্তি করে তাদের পোজিশন পাল্টানোর চেষ্টা করবেন না। অন্যদের তুলনায় ভিন্ন কোনও পোজিশনে তারা স্বচ্ছন্দ বোধ করতেই পারে। স্তন্যপানের সময় বাচ্চা যাতে স্বাভাবিক থাকে ও শ্বাস নিতে পারে, সে বিষয় নজর রাখুন।
ইঙ্গিত বোঝার চেষ্টা করুন
খিদে পেয়েছে কী না, তা বাচ্চারা নিজে বলতে পারে না। এমন পরিস্থিতিতে মা-কে তাদের ব্যবহারের ওপর নজর রাখতে হবে। বাচ্চার কান্না শুরুর আগে তাদের ইশারা বুঝে নিন। কারণ একবার তারা কাঁদতে শুরু করে দিলে ভালো করে দুধ পান করবে না। বাচ্চা যদি জিহ্বা বাইরে বার করে, হাত মুখের মধ্যে দেয় বা আঙুল চোষে, ঠোঁট চাটে, ব্যাকুল হয়ে পড়ে— তা হলে বুঝতে হবে যে তাদের ক্ষিদে পেয়েছে। এমন হলে সময় নষ্ট না-করে তাদের স্তন্যপান করান।
ক্যালরির অভাব যাতে না থাকে
বিশেষজ্ঞদের মতে স্তন্যপান করানো কঠিন কাজ। এতে মায়ের সারাদিনে ৭০০ ক্যালরি পুড়ে যায়। তাই স্তন্যপানকারী মায়েদের পুষ্টিকর ডায়েট মেনে চলা উচিত। সবুজ শাকসবজি, তিসির বীজ, গোটা অন্ন, বাদাম নিজের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করলে শক্তির চাহিদা পূর্ণ হয়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-02 16:17:32
Source link
Leave a Reply