হাইলাইটস
- সর্বনাশ! এ আবার কী অলুক্ষুনে কথা? মদ খেতে গেলে জেলে যেতে হবে?
- কিন্তু লোকে তো বলে মদ খেয়ে মাতলামো করলেই জেলে যেতে হয়।
- মদ খেয়ে গাড়ি চালালে জেলে যেতে হয়। মদ খেয়ে নানা দুষ্কর্ম করলেও শ্রীঘরে যেতে হয়।
- কিন্তু ভালো মানের মদ খেতে জেলে যেতে হবে এ আবার কী?
সর্বনাশ! এ আবার কী অলুক্ষুনে কথা? মদ খেতে গেলে জেলে যেতে হবে? কিন্তু লোকে তো বলে মদ খেয়ে মাতলামো করলেই জেলে যেতে হয়। মদ খেয়ে গাড়ি চালালে জেলে যেতে হয়। মদ খেয়ে নানা দুষ্কর্ম করলেও শ্রীঘরে যেতে হয়। কিন্তু ভালো মানের মদ খেতে জেলে যেতে হবে এ আবার কী?
কিন্তু মদ খাওয়ার জন্য লন্ডনে খোলা হয়েছে একটি জেলখানা। থুড়ি। জেলখানা ঠিক নয়, জেলের মতো একটি পানশালা। সেখানকার থিম হল জেল এবং কয়েদি। লন্ডনের ২১২ ব্রিক লেন। পোশাকী নাম ‘অ্যালকোট্রাজ সেল ব্লক টু ওয়ান টু‘। ক্রেতারা বলেন বার বিহাইন্ড বার। কোভিড পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই এই জেলখানা বারটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সেখানে। বিশেষ করে অল্প বয়সী ছেলেমেয়েরা দারুণ মজা পেয়েছেন এই নয়া জেলখানা কাম বার দেখে। মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়েছে এই বারের কথা। ফলে ভিড়ও জমছে ব্যাপক। তবে ভিড় জমার চেষ্টা করলেও পানশালা কর্তৃপক্ষ কিন্তু ভিড়কে একেবারেই আমল দিতে নারাজ। পানশালায় প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন গুটিকয় মানুষ। আর ক্রেতাদের সেখানে ঢুকতে হচ্ছে কয়েদির পোশাক পরে।
পানশালার ইন্টিরিয়র একেবারে জেলখানার মতো। প্রতিটি টেবিল লোহার শিক দিয়ে ঘেরা। যেন জেলের খুপরি। এক একটি খুপরিতে রয়েছে একটি করে টেবিল এবং গুটি কয় চেয়ার। সেখানে ক্রেতাদের একটি দলই বসতে পারে। দুটি খুপরির মধ্যে রয়েছে লোহার শিক। শিক পেরিয়ে এপার ওপার করা যায় না। ক্রেতারা ব্রিটেনের কয়েদিদের পোশাক পরে ভিতরে প্রবেশ করেন। গেরুয়া রঙের পোশাকটি পরতে হয় নিজের পোশাকের উপরেই। প্রত্যেক পোশাকের উপর লেখা রয়েছে পানশালার নাম।
পানশালায় ঢুকতে গেলে মেটাল ডিটেক্টর পাস করতে হয়। তারপরেই গ্রাহকদের দেওয়া হয় গেরুয়া রঙের কয়েদিদের পোশাক। সেটি পরে পানশালায় প্রবেশের পর প্রয়োগ করতে হয়ে চুরিবিদ্যা। মানে চুরি করে মদ খেতে হয়। জেলে রয়েছেন একজন ওয়ার্ডেন। শর্ত হল এই যে ওয়ার্ডেনের চোখ এড়িয়ে চুরি করে মদ খেতে হবে।
যাঁর চুরি করার কায়দা যত বেশি অভিনব হবে তিনি পাবেন স্পেশাল কয়েদির সম্মান। পাবেন বিনামূল্যে ককটেল। পানশালার ভিতরে খেলতে হয় স্মাগলিং গেম। অ্যালকোহল স্মাগলিং করে উপার্জন করতে হয়। সেই খেলায় জিতলেও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের মদ মিলবে।
জেলখানায় কোনও মেনু চার্ট নেই তাই দাম বোঝা যায় না। চুরি করে যতটা মদ খেতে পারবেন ততটাই বিল দিতে হবে গ্রাহককে। পানশালায় প্রবেশের টিকিট পাওয়া যায় অনলাইনে, পানশালার ওয়েব সাইটে। পানশালায় মোটামুটি খরচ হতে পারে ভারতীয় মূল্যে তিন সাড়ে তিন হাজার টাকা। তবে হ্যাঁ, পানশালায় গিয়ে পছন্দমতো সেলফি বা ছবি তোলা যায়। এধরনের পানশালার খোঁজ এই প্রথম মিলল। কোভিডের সময় ঘরবন্ধ জীবনের পর এমন বিনোদন যে সকলের মন কেড়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-08-01 16:23:51
Source link
Leave a Reply