জন্মনিয়ন্ত্রণ প্যাঁচ আমেরিকায় নতুন হলেও বেশ ব্যবহৃত হচ্ছে। বাণিজ্যিকভাবে এটা অর্থোইভরা নামে পরিচিত। প্রতি প্যাঁচে ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন নামক হরমোন থাকে, যা সপ্তাহজুড়ে ত্বকের অভ্যন্তরে রিলিজ হয়। উল্লেখ্য, প্যাঁচটি ত্বকে স্থাপন করতে হয়। এটার বড় সুবিধা হলো পিলের মতো এটা প্রতিদিন খেতে হয় না। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পিলের মতো। তবে গোসলের সময় এটা খুলে যাওয়ার ভয় থাকে।
ভ্যাজাইনাল রিং
ভ্যাজাইনাল রিং বা ঘৎংথ ড়মষব যোনিপথে স্থাপন করতে হয়। জন্ম নিয়ন্ত্রণের এটাই একটা নতুন পদ্ধতি। এ রিং প্রজনন অঙ্গে ইস্ট্রোজেন-প্রোজেস্টেরন হরমোন রিলিজ করে। ফলে কেউ প্রেগন্যান্ট হতে পারে না। জন্মনিয়ন্ত্রণের পিলের মতোই এটা প্রতিদিন ব্যবহার করতে হয়। টানা তিন সপ্তাহ ব্যবহারের পর এক সপ্তাহ না করলে স্বাভাবিক নিয়মে পিরিয়ড হয়।
ইমপ্ল্যান্ট
নরপ্ল্যান্ট নামে এটা ব্যাপকভাবে পরিচিত। বহু বছর ধরে এটা ব্যবহৃত হলেও ২০০৩ সাল থেকে কোম্পানি এটা বাজারজাত না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ ক্ষেত্রে ম্যাচের কাঠির সমান সাইজের ছয়টি সিলিকন টিউব মহিলাদের বাহুর চামড়ার নিচে স্থাপন করা হয়। স্থাপনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এটা কাজ শুরু করে এবং টানা পাঁচ বছর পর্যন্ত প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করে। এটা খুবই কার্যকর একটা পদ্ধতি এবং ৯৯.৮ ভাগ ক্ষেত্রে সফল।
উপকারিতা
- দীর্ঘদিন ধরে এটা প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করে।
- স্কিন থেকে বের করে আনার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে প্রেগন্যান্সি ফিরে আসে।
- নরপ্ল্যান্ট ব্যবহারের সমস্যাগুলো
- ছোট একটা অপারেশনের মাধ্যমে এটা স্থাপন করতে হয়।
- স্থাপনের পর বের করে আনা কিছুটা কষ্টসাপেক্ষ।
- এটা ব্যবহারকারীদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পিরিয়ড অনিয়মিতভাবে হয়ে থাকে।
- এছাড়া ওজন বৃদ্ধি, মাথাব্যথা, মুখে লোম গজানো, ব্রণ, নিপল থেকে দুধ বের হতে পারে।
কারা নরপ্ল্যান্ট ব্যবহার করতে পারবেন না
যেসব মহিলা ধূমপান করেন, যাদের ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের রোগ, মাইগ্রেন, বিষণ্নতা, হাইকোলেস্টেরল, তীব্র ব্রণ ইত্যাদি আছে তাদের ক্ষেত্রে নরপ্ল্যান্ট ব্যবহার করা হয় না।
নরপ্ল্যান্টের পরিবর্তে বর্তমানে ইউরোপের বাজারে ইমপ্লানোন নামক এক টিউববিশিষ্ট এক ধরনের ইমপ্ল্যান্ট পাওয়া যাচ্ছে। এটা টানা তিন বছর জন্মনিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
Leave a Reply