জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ডিভাইসগুলো সাধারণ মানুষের কাছে কপার-টি নামে বেশ পরিচিত। ডিভাইসটি ইংরেজি ঞ আকৃতির এবং এতে কপার ব্যবহার করা হয় বলে একে কপার-টি বলা হয়। কপার-টিকে জরায়ুতে স্থাপন করা হয় এবং এর এক প্রান্তে সুতা থাকে, যা এটাকে জরায়ুতে স্থাপন ও বের করে আনতে সহায়তা করে। উল্লেখ্য, এ কাজটি কেবল একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসককে দিয়ে করাতে হবে।
কপার-টি ডিভাইস ইউটেরাসে স্বল্প পরিমাণে কপার নিঃসৃত করে। কপার শুক্রাণুকে অকার্যকর করে দেয়। ফলে শুক্রাণু ডিম্বাণুর সঙ্গে মিলিত হতে পারে না। কপারের অগোচরে শুক্রাণু-ডিম্বাণু মিলিত হলেও তা টিকতে পারে না, ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
কপার-টি ছাড়াও আরো এক ধরনের ডিভাইস রয়েছে, যা ইউটেরাসে এক ধরনের হরমোন রিলিজ করে। এ হরমোন ইউটেরাসে শুক্রাণুর জন্য বৈরী পরিবেশ তৈরি করে।
ডিভাইসের সুবিধা
- তুলনামূলকভাবে ব্যয় কম।
- যে কোনো সময় বের করে আনা যায়।
- শিশু জন্মের ছয় মাস পর অথবা অ্যাবরশনের ছয় মাস পর এটা ব্যবহার করা যায়।
- কপার-টি ব্যবহার করা অবস্থায় শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে কোনো সমস্যা হয় না।
- পিল খেতে যাদের অসুবিধা হয় তারা সহজেই ডিভাইস ব্যবহার করতে পারেন।
- কপার-টি সঠিকভাবে স্থাপন করলে ১০ বছর পর্যন্ত রাখা যায় এবং কমপক্ষে টানা সাত বছর প্রেগন্যান্সি প্রতিরোধ করা যায়।
ডিভাইসের অসুবিধা
- কপার-টি স্থাপনের জন্য একজন বিশেষ ডাক্তারের প্রয়োজন হয়।
- স্থাপনের প্রথম বছরেই এটা বের হয়ে আসতে পারে।
- পিরিয়ডের সময় বের হয়ে গেলে আপনি সেটা টের না-ও পেতে পারেন। এতে প্রেগন্যান্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।
- কপার-টি থাকা অবস্থায় গ্রেপন্যান্টি হলে ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে অ্যাবরশন হয়ে যেতে পারে। তবে গ্রেগন্যান্সি বুঝতে পারার সঙ্গে সঙ্গে কপার-টি বের করে ফেললে ৭৫ ভাগ ক্ষেত্রে অ্যাবরশনের সম্ভাবনা থাকে না।
- কপার-টি স্থাপনের সময় ইউটেরাস ফুটো হয়ে যেতে পারে।
- কপার-টি স্থাপনের এক সপ্তাহ পর অনেক কাপল ব্লিডিংয়ের শিকার হতে পারেন।
- কপার-টিতে পেলভিক ইনফেকশন বা তলপেটের প্রদাহ হতে পারে।
- কপার-টি যৌনবাহিত রোগ প্রতিরোধ করে না; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা যৌনবাহিত রোগের কারণ হতে পারে।
Leave a Reply