বহু আগে থেকেই পৃথিবীতে এমন কিছু ধর্মীয় গ্রুপ আছে যারা পরিবার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সারা জীবন দৈহিক মেলামেশা থেকে বিরত থাকেন। সবার পক্ষে তো আর এমন সাধক হওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া জৈবিক প্রয়োজন, বংশগতি রক্ষায় দৈহিক মেলামেশার বিকল্প নেই। তবে জন্মকে নিয়ন্ত্রণের জন্য অতি প্রাচীনকাল থেকে মানুষ সচেতন ছিল। খ্রিস্টপূর্ব ১৮৫০ সালে প্রাচীন ইজিপশিয়ানরা জন্ম নিয়ন্ত্রণের জন্য কুমিরের মল এবং ময়দা দিয়ে তৈরি এক ধরনের মিশ্রণ ব্যবহার করত। এ মিশ্রণ মহিলাদের যোনিপথে স্থাপন করা হতো। ধারণা করা হয়, এ মিশ্রণ যোনিপথে শুক্রাণুর জন্য তৈরি পরিবেশ তৈরি করে। এছাড়া শুক্রাণু ধ্বংসকারী হিসেবে গাম, মধু, বাবলার নির্যাস ইত্যাদি ব্যবহার করা হতো।
দ্বিতীয় শতাব্দীর দিকে রোমে ফলমূল, বাদাম ইত্যাদি দিয়ে একটি এসিডিক মিশ্রণ তৈরি করা হতো। এ মিশ্রণ জরায়ুমুখে স্থাপন করা হতো, যা প্রবিষ্ট শুক্রাণুকে ধ্বংস করে দিত।
Leave a Reply