হাইলাইটস
- আসছে বন্ধুত্ব দিবস। মহামারির কারণে বন্ধুদের সঙ্গে দেখাশোনা রীতি মতো চুলোয় উঠেছে।
- ফোন ভিডিয়ো কলেই গল্প-আড্ডা সারতে বাধ্য হচ্ছেন সকলে। লকাডাউন অনেকটাই শিথিল।
- আর করোনা ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ নেওয়া থাকলে বেড়াতে যাওয়ার অনুমতিও মিলছে।
দার্জিলিং
কম খরচে বেড়াতে যাওয়ার আদর্শ জায়গা দার্জিলিং। গোটা জেলা ঘুরে বেড়ান, টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখুন, ম্যালে ঘুরে বেড়ান কিংবা কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে কবিত্ব করুন। ভ্যাক্সিন সার্টিফিকেট দেখালেই সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন। দার্জিলিং শহর না হলেও সেখানকার নানা গ্রামে ঘুরতে যেতে পারেন। সেসব গ্রামে রয়েছে হোমস্টের ব্যবস্থা। গরম এবং বর্ষার মাঝে দার্জিলিং ঘুরতে গেলে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়। এই সময় তিস্তা নদীতে জল থাকে। আর জলে ভরা তিস্তা নদীর রূপ একবার নিজের চোখে না দেখলে জীবনটাই যে বৃথা। বৃষ্টিতে ধুয়ে পাহাড়-জঙ্গল একেবারে সাফ সুতরো। মহামারির কারমে এখন এখানে ভিড় বেশ কম। তাই বন্ধুদের সহ্গে ফাঁকতালে ঘুরে আসা যায় দার্জিলিং।
আন্দামান
পাহাড়ে না চড়ে বন্ধুদের সঙ্গে যদি সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে চান তাহলে ঘুরে আসুন আন্দামান থেকে। স্কুবা ডাইভিং, জেট-স্কিটিং, প্যারা স্লাইডিং, বোটিং, ট্রেকিং সবই করতে পারবেন সেখানে। আন্দামান হল স্কুবা ডাইভিং-এর আদর্শ জায়গা। জলে ভয় না থাকলে হই চই করতে করতে এর আনন্দ নেওয়ার কোনও তুলনা হয় না। ভারত মহাসাগরের নীচে প্রবালের প্রাচীর এবং সামুদ্রিক প্রাণীদের সংসার দেখার এটি এক অসাধারণ সুযোগ।
মানালি
পকেট এবং ছুটি দুটোই ভর্তি থাকলে ঘুরে আসতে পারেন মানালি। ঠান্ডা আবহাওয়ায় বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে এখানে ফূর্তি করার আনন্দই আলাদা। মানালির অপূর্ব সুন্দর পাহাড় এবং জঙ্গলের কোনও তুলনা হয় না। জঙ্গলের সবুজ গাছ বৃষ্টির জলে স্নান করে তরতাজা হয়ে ওঠে। সারা বছরই মানালিতে বেড়াতে যাওয়া যায়। পরিবার কিংবা ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে এখানে এসে অনেকেই সময় কাটান। তবে বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে হইচই করে মানালিতে প্যারাগ্লাইডিং, র্যাপেলিং, রিভার রাফটিং, কোয়াড বাইকিং, ট্রেকিং, ওয়াইল্ড লাইফ স্পটিং করার মজাই আলাদা।
হৃষিকেশ
হৃষিকেশ নামটা শুনলেই মনে হয় বয়স্ক মানুষদের তীর্থ ক্ষেত্রে। কিন্তু সেখানে যে বন্ধুবান্ধব নিয়ে হইচই করা যায় তা জানেন কি? এখানে বন্ধুদের সঙ্গে রিভার রাফটিং সারাজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেখানে গেলে প্রতিযোগী দলও পেয়ে যাবেন। নিজের বন্ধুদের গ্যাং-এর সঙ্গে অপরিচিত গ্যাং-এর নৌকা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যাবে নিজের অজান্তে। নদীর ধারে বোনফায়ারের আনন্দেরও কোনও তুলনা হয় না। চাইলে তাঁবুতেও থাকতে পারেন। রিভার রাফটিং ছাড়াও ক্যাম্পেইনিং, বাঞ্জি জাম্পিং সহ একাধিক অ্যাভেঞ্চার গেম রয়েছে হৃষিকেশে।
গোয়া
তবে যে যাই বলুক না কেন বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে গোয়া যাওয়ার মতো আনন্দ আর কোথাও হয় কিনা সন্দেহ। বলিউডের কল্যাণে এই জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে। গাড়ি, স্কুটার কিংবা জিপে চড়ে সারাদিন গোয়া ট্যুর একেবারে অতুলনীয়। ডিস্কো, পাব, পার্টি, নাচ-গান সব কিছুরই অঢেল জোগান রয়েছে সেখানে। ওয়াটার স্পোর্টস্ ছাড়াও বাইক রাইডিং, ডলফিন স্পটিং এনজয় করা যায় এখানে। রাতে গোয়ার জীবন অন্যরকম। তেমনই পাল্লা দিয়ে রয়েছে সেখানকার জিভে জল আনা সি ফুড। সব মিলিয়ে ফ্রেন্ডশিপ উইক কাটবে হই হই করে।
পন্ডিচেরি
বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে হই চই করতে যেমন ভালো লাগে, তেমনই তাঁদের সঙ্গে নিরিবিলিতে সময় কাটাতেও ভালো লাগে। আর তার জন্য আদর্শ জায়গা পন্ডিচেরি। দক্ষিণ ভারতের এই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলটি এমনিতেই বেশ শান্তশিষ্ট। এখানকার ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি অতুলনীয়। ঋষি অরবিন্দর আশ্রম এখানকার প্রধান আকর্ষণ। এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মেডিটেশন করে সময় কাটান অনেকে। বন্ধুদের সঙ্গে শান্তিতে সময় কাটানোর অসাধারণ জায়গা এটি।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-29 17:00:21
Source link
Leave a Reply