হাইলাইটস
- কিছু লোক মনে করেন যে ঘি খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে।
- তবে, Ghee-তে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার বিপাককে দ্রুত বাড়াতে সহায়তা করবে।
- ঘিতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে যা ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
- যদি ওজন কমাতে চান তবে প্রতিদিন ১ চা চামচ গোরুর দুধের তৈরি ঘি খান।
রান্নাঘরে যে কয়েকটি সুপার ফুড আছে তার মধ্যে অন্যতম হল ঘি। বিভিন্ন মিষ্টি ও নোনতা খাবারে Ghee এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তবে তা সঠিক তাপমাত্রা ও সঠিক পরিমানে ব্যবহার করাই বাঞ্চনীয়। তবে ঠিক কতটা পরিমাণে ঘি খেতে হবে জানেন?
সম্প্রতি, করিনা কাপুর খানের ডায়েটিশিয়ান ও নিজস্ব পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর একটি সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে Ghee Benefits For Weight Loss সম্পর্কে বলেছেন। যা স্বাস্থ্যকর এবং হজম করা সহজ।
ঘি এর পুষ্টি
খাঁটি Ghee স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, খনিজ, পটাসিয়াম পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রচুর পুষ্টিতে সমৃদ্ধ। এর মধ্যে ওমেগা 3 এবং ওমেগা 9 এর মতো ফ্যাটি অ্যাসিডও এতে পাওয়া যায়।
ওজন কমাতে হলে কত ঘি খাওয়া উচিত?
পুষ্টিবিদ রুজুতার মতে, আমরা কী খাচ্ছি তার ভিত্তিতে Ghee-এর সঠিক পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি রাগি বা বাজরার মতো রান্না করে থাকি তবে ডাল এবং ভাত খাওয়ার চেয়ে আমরা এতে আরও কিছুটা ঘি যুক্ত করব’। রুজুতা আরও বলেছেন যে ঘি মূলত খাবারের স্বাদ বাড়াতে ব্যবহার করা উচিত। তবে এর পরিমাণ এতটা বেশি হওয়ার দরকার নেই যাতে খাবারের স্বাদট নষ্ট করতে পারে।
ওজন কমাতে সহায়ক
কিছু লোক মনে করেন যে ঘি খাওয়ার ফলে ওজন বাড়তে পারে। তবে, Ghee-তে এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আপনার বিপাককে দ্রুত বাড়াতে সহায়তা করবে। ঘিতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে যা ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। যদি ওজন কমাতে চান তবে প্রতিদিন ১ চা চামচ গোরুর দুধের তৈরি ঘি খান।
একই সঙ্গে গবেষণায় আরও দেখা গিয়েছে যে, ঘিতে উপস্থিত ওমেগা -6 ফ্যাটি অ্যাসিডগুলি চর্বি জড়ো করতে এবং ফ্যাট কোষগুলির আকার হ্রাস করতে সহায়তা করে। তাই এটি ওজন হ্রাসেও আমাদের সহায়তা করে।
ঘি খেলে আরও কী কী সুবিধা পাওয়া যেতে পারে?
১. ঘি তে ফ্যাট এর পরিমাণ বেশ বেশি, তাই যারা ওজন বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন ঘি ভাত আলুসিদ্ধ তাদের জন্য স্টেপল ফুড হওয়া উচিত।
২. ঘি তে কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বেশি হলেও তা কিন্তু হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর নয়, কারণ ঘি তে উপস্থিত ফ্যাট রক্তে উপকারী HDL কোলেস্টেরল এর পরিমাণ বাড়ায় এবং ক্ষতিকর LDL এর পরিমাণ কমায়।
৩. ঘি একটি ল্যাকটোজ ফ্রি মিরাকল ফুড যা কিনা ফ্যাট সলেবল ভিটামিন এ, ডি, ই ও কে সমৃদ্ধ ।
৪. দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্যকরে।
৫. ঘি তে ক্যালোরির পরিমান খুব বেশি হওয়ায় শীতকালে দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
৬. ঘি এর সঙ্গে গোলমরিচ মিশিয়ে খেলে শীতকালে সর্দি কাশি থেকে রেহাই পাওয়া যায়, কারণ এতে রয়েছে অদ্ভুত মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি।
৭. ঘি কিন্তু মিডিয়াম ও শর্ট চেন ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ তাই উপযুক্ত গ্রহণে হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
৮ . ঘি এর antiviral ও anti fungal ধর্মের জন্য দায়ী লাউরিক এসিড। ঘি এর সাথে হলুদ মিশিয়ে তৈরি মিশ্রণ বেডসোর এর নিরাময়ে ঘরোয়া উপায় হিসাবে গন্য করা হয়।
৯. যে কোনো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সাথে ঘি মিশ্রিত হলে তার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমিয়ে দেয় সামান্য হলেও, ডায়াবেটিক পেশেন্ট দের জন্য যা উপকারী।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-28 15:45:12
Source link
Leave a Reply