হাইলাইটস
- STI-র কারণে মহিলারা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন।
- এই রোগের কারণে পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিসিস (PID), পেলভিক অ্যাবসেস,
- হাইড্রোস্যালপিঙ্খসের মতো টিউবাল ব্লকেজ ও টিউবাল ড্যামেজ হতে পারে
চিকিৎসকদের মতে এই রোগকে হেলায় উড়িয়ে দেওয়া উচিত নয়। STI-র কারণে মহিলারা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। এই রোগের কারণে পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিসিস (PID), পেলভিক অ্যাবসেস, হাইড্রোস্যালপিঙ্খসের মতো টিউবাল ব্লকেজ ও টিউবাল ড্যামেজ হতে পারে। এই সমস্ত ধরনের রোগের কারণে বন্ধ্যাত্ব, টিউবাল প্রেগনেন্সি ও ক্রনিক পেলভিক ব্যথা দেখা দিতে পারে। আবার সিফিলিসের মতো কোনও কোনও STD-র কারণে বাচ্চাদের মধ্যে কনজেনিটাল সংক্রমণও হতে পারে।
বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে এমন ৪ ধরনের STD সম্পর্কে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা—
ক্ল্যামিডিয়া
এটি সবচেয়ে সাধারণ STD-র মধ্যে অন্যতম। এই ব্যাক্টিরিয়াল সংক্রমণ পুরুষ ও মহিলা উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। আবার গর্ভবতী মহিলার মাধ্যমে এই রোগটি শিশুকেও সংক্রমিত করে তোলে। অধিকাংশ মহিলার মধ্যে এই সংক্রমণটি কৈশোরাবস্থায় দেখা যায় এবং এর কোনও লক্ষণও ধরা পড়ে না। এর ফলে পেলভিক ইনফ্ল্যামেটরি ডিসিস হতে পারে। এই রোগ আবার মহিলাদের প্রজনন ব্যবস্থার ক্ষতি করে বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
গোনোহৃয়া
ক্ল্যামেডিয়ার পরই এটি অন্যতম সাধারণ STD যার বিশেষ কোনও লক্ষণ দেখা দেয় না। এ ক্ষেত্রে দুটি পিরিয়ডসের মধ্যবর্তী সময়েও ব্লিডিং হতে পারে, ভ্যাজাইনাল ডিসচার্জ ও বেদনাদায়ক প্রস্রাবের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সঠিক সময় চিকিৎসা না-করালে এটি ইউটেরাস ও ফ্যালোপিয়ান টিউব পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে বন্ধ্যাত্ব বা টিউবাল প্রেগনেন্সি (এ ক্ষেত্রে ফার্টিলাইজ ডিমগুলি ইউটেরাসে পৌঁছতে পারে না এবং টিউবের মধ্যেই আটকে যায়)-র সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। পুরুষদের মধ্যে গোনোহৃয়ার লক্ষণ সব সময় দেখা যায় না। তবে তাঁরাও বেদনাদায়ক প্রস্রাব ও যৌনাঙ্গ থেকে মিউকাস ডিসচার্জের সমস্যায় ভুগতে পারেন।
হিউমেন ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা HIV
HIV আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত তাঁদের প্রজননকালীন বয়সে থাকেন। এটি গুরুতর রোগ, তবে HIV-কে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এই সংক্রমণ ব্যক্তির প্রজনন স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। অধিকাংশ HIV/ অ্যাকওয়ার্ড ইমিউন ডেফিসিয়েন্সি সিনড্রোম (AIDS)-এর সঙ্গে জড়িত কোমর্বিডিটি যেমন অর্কিটিস, অ্যাকিউট এপিডিডাইমিটিস ও PID বন্ধাত্বের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এ ক্ষেত্রে আইভিএফের মাধ্যমে সন্তান ধারণ সবচেয়ে নিরাপদ।
হার্পিস
জেনিটাল হার্পিস এক ধরনের STI, যে কারণে যৌনাঙ্গের আশপাশে ব্যথা, চুলকানি হতে পারে এমনকি ফুলেও যেতে পারে। শুধু তাই নয় এর ফলে ওরাল ক্যাভিটির আশপাশে এই লক্ষণগুলি দেখা দিতে পারে। যৌন সঙ্গমে কারণে এই সংক্রমণ ছড়ায়। যৌনাঙ্গে হার্পিসের কোনও চিকিৎসা নেই। তবে নানান পদ্ধতিতে একে নিয়ন্ত্রণে রাখা যেতে পারে, যাতে হার্পিস অধিক কষ্টদায়ক না-হয়ে পড়ে। গবেষণায় জানা গিয়েছে যে, হার্পিসের কারণে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়, যা তাঁর সঙ্গীর গর্ভধারণে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আবার সঠিক সময় এর চিকিৎসা না-করালে প্রসবের সময় সদ্যজাত শিশুও এর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, STD বা STI-এর কোনও লক্ষণ দেখা গেলে বা কোনও সন্দেহ হলে দেরি না-করে চিকিৎসা করালে এই রোগের জটিলতাকে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। কোনও ব্যক্তির STD থাকলে পূর্ণ মেয়াদের চিকিৎসা করাতে হবে। যাতে তাঁরা এই রোগ দ্বারা পুনরায় সংক্রমিত না-হয়ে পড়েন। ততদিন পর্যন্ত কোনও সেক্সুয়াল অ্যাক্টিভিটিতে না-জড়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কোনও লক্ষণ না-দেখিয়েই বছরের পর বছর ধরে STD শরীরে থেকে যেতে পারে। তাই সেক্সুয়ালি অ্যাক্টিভ ব্যক্তিরা বছরে একবার স্ক্রিনিং করিয়ে নিলে সুফল পাবেন। আবার উভয় সঙ্গীই এ সংক্রান্ত সমস্ত পরীক্ষা করিয়ে নিশ্চিত হন।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-27 17:26:53
Source link
Leave a Reply