চুলের আগা ফাটলে চুলকে নিস্তেজ ও প্রাণহীন মনে হয়। যখন চুলের আগা দুর্বল হয়ে যায় তখন এটি ফেটে দুটি আলাদা অংশে পরিণত হয়। এটি হয় সাধারণত সূর্যরশ্মির প্রভাবে, ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রভাবে অথবা চুলের স্টাইলের জন্য তাপ প্রয়োগ করলে। চুলের সঠিক পুষ্টি প্রদান করা এবং চুলকে আর্দ্রতা প্রদানের মাধ্যমে আগা ফাটার সমস্যা থেকে চুলকে রক্ষা করা যায়। চুলের আগা ফাটা রোধের জন্য কয়েকটি টিপস জেনে নিই চলুন।
১। ডিমের কুসুমের হেয়ার প্যাক
ডিম আমিষ ও লেসিথিনের উৎস যা চুলের যেকোন ধরণের সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে। এতে আমিষের পাশাপাশি ফ্যাটি এসিড এবং ভিটামিন ও থাকে বলে চুলের আগা ফাটার নিরাময়েও ডিম চমৎকার কাজ করে। ২ টি ডিমের কুসুম আলাদা করে নিয়ে ফেটতে থাকুন যতক্ষণ না পর্যন্ত ক্রিমের মত তৈরি হয়। এর মধ্যে ২ চা চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালোভাবে মেশান। মিশ্রণটি মাথার তালুতে ও চুলে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন এবং ৩০ মিনিট এভাবে রাখুন। তারপর হালকা ধরণের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে চাইলে সপ্তাহে ৩ দিন এই প্রক্রিয়াটির পুনরাবৃত্তি করুন। এটি চুলের আগা ফাটা রোধের সবচেয়ে কার্যকরী প্রতিকার।
২। পেঁপে ও দই এর হেয়ার প্যাক
বহুবিধ স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য পেঁপে সুপরিচিত। এতে বেশ ভালো পরিমাণে ভিটামিন সি, এ, কে ও ই থাকে, খনিজ এবং এনজাইম থাকে। এজন্য ক্ষতিগ্রস্থ চুলের মেরামতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে পেঁপে। তাই পেঁপে ক্ষতিগ্রস্থ, নিস্তেজ ও শুষ্ক চুলকে উজ্জল, শক্তিশালী এবং কোমল করতে সাহায্য করে। এজন্যই বেশিরভাগ হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টে পেঁপে ব্যবহার করা হয়। দই চুলকে গভীরভাবে কন্ডিশন করে এবং চুলকে কোমল হতে সাহায্য করে। চুলের আগা ফাটা রোধে পেঁপে ও দই এর মিশ্রণ অত্যন্ত কার্যকরী। একটি পাকা পেঁপের অর্ধেক অংশের খোসা ছাড়িয়ে নিন। পেঁপের বীচিগুলো ফেলে দিয়ে ভালো করে থেঁৎলে নিন। থেঁৎলানো পেঁপের সাথে আধা কাপ দই মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি ভালো করে চুলে ও মাথার তালুতে লাগান। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথাটি ঢেকে ফেলুন। ৩০ মিনিট পর হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণটি দুর্বল চুলকে পরিপূর্ণ পুষ্টি প্রদান করে।
এই হেয়ার প্যাকগুলো ব্যবহার করা ছাড়াও আরো যে, কাজগুলো করতে পারেন তা হল :
১। চুলের আগায় অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে সারারাত রাখুন। সকালে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুলের আগা শক্তিশালী হবে।
২। প্রতিদিন চুলের আগায় তেল লাগান এবং চুল ধোঁয়ার পূর্বে অবশ্যই চুলে তেল দিয়ে নিবেন। এজন্য অলিভ অয়েল, নারিকেল তেল বা আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
৩। চুলে কোন স্টাইল করার জন্য তাপ দেয়ার প্রয়োজন হলে হিট প্রোটেকশন ক্রিম এবং সিরাম ব্যবহার করুন।
৪। ভেজা অবস্থায় চুল আঁচড়াবেন না।
৫। চুলের আগা ফেটে গেলে একে আর মেরামত করা সম্ভব নয়। চুলের আগা ছেটে দেয়াই হচ্ছে আগা ফাটা রোধের সবচেয়ে ভালো প্রতিকার। ৬-৮ সপ্তাহ পর পর চুলের আগা ছেটে দিন।
৬। বার বার যেন এমন না হয় তাই উপরের বর্ণিত পদ্ধতিগুলো অনুসরণের চেষ্টা করুন।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-20 12:49:53
Source link
Leave a Reply