হাইলাইটস
- বিতর্কিত প্রতিবেশী রাষ্ট্র !
- শুনলে স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের নামটিই আগে মনে আসবে।
- তবে পাকিস্তান দিল্লির মতোই বহু দূরে। ঝট করে খান থেকে ঘুরে আসা অসম্ভব।
শুনলে স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের নামটিই আগে মনে আসবে। তবে পাকিস্তান দিল্লির মতোই বহু দূরে। ঝট করে খান থেকে ঘুরে আসা অসম্ভব। সবাই তো আর সলমন খান হন না যে চোরা সুড়ঙ্গ দিয়ে পাসপোর্ট, ভিসা ছাড়াই পাকিস্তান থেকে ঘুরে আসবেন? অত ঝামেলায় গিয়ে লাভ নেই। তার চেয়ে বিদেশ ভ্রমণ করতে গেলে অন্য দেশে চলুন। সাম্প্রতিক কালে এটিও বেশ বিতর্ক। বছর খানেক ধরেই বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। যেদিন থেকে ভারত ভূমির কিছু অংশ তাঁদের দেশের বলে ম্যাপে দাবি করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। দেশটির নাম নেপাল। আর বাংলা থেকে এটি খুব কাছে।
দেড় লক্ষ বর্গ কিলোমিটারেরও কম আয়তনের নেপাল রাষ্ট্রের জনসংখ্যা প্রায় তিন কোটি। রাজনীতির কচকচানি বাদ দিলে নেপাল সম্পর্কে একটা কথাই বলা যায়, দেশটি অপূর্ব সুন্দর। বাঙালির প্রিয় ভ্রমণ স্থান এটি। শুনতে মজার লাগলেও অনেক বাঙালি পর্যটকেরই প্রথম বিদেশ ভ্রমণ শুরু হয় নেপাল দিয়ে। ভারতীয়দের নেপালে প্রবেশ করতে কোনও ভিসার প্রয়োজন হয় না। পাসপোর্ট এবং কোনও ভারতীয় পরিচয় পত্র থাকলেই সেদেশে ভারতীয়রা প্রবেশ করতে পারেন।
যাওয়ার পথ
– কলকাতা থেকে সরাসরি কাঠমাণ্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়া যায়।
– শিলিগুড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে মোটামুটি তিন ঘণ্টার মধ্যেই নেপাল পৌঁছোনো যায়।
– বাসে গেলে সময় বেশি লাগে। তবে কম খরচে বাসে যেতে চাইলে শিলিগুলি সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস থেকে কাঠমাণ্ডু যাওয়ার বাস পাওয়া যায়।
– কাঠমাণ্ডু বিমানবন্দর থেকে প্রিপেইড ট্যাক্সি পাওয়া যায়। বাস টার্মিনাসের কাছেও ট্যাক্সি পাবেন। রয়েছে একাধিক ট্র্যাভেল এজেন্সি।
নেপালের বাসা
– কাঠমাণ্ডুতে রয়েছে বিভিন্ন দামের হোটেল। অনলাইনে হোটেল বুক করে নিলেই ভালো হয়। পছন্দমতো ঘর পেয়ে যাবেন। হোম স্টের ব্যবস্থাও আছে।
– কাঠমাণ্ডুর রাস্তার ধারে ধারে অ্যালকোহলের দোকান দেখে অবাক লাগবে। আসলে কম তাপমাত্রায় শরীর গরম রাখার এগুলির প্রযোজন হয়। তাছাড়া এদেশে বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা হয় প্রচুর। তাদের খাতির করতেও এসবের প্রয়োজন হয়।
সফর শুরু
– সফর শুরু হোক কাঠমাণ্ডু দিয়েই। পশুপতি নাথের মন্দির কাঠমাণ্ডুর প্রধান আকর্ষণ। ফেলুদার ভক্তরা এই স্থানটি কখনও মিস করেন না। এছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন হনুমান মন্দির, বোধি স্তূপ, নারায়ণহিতি প্যালেস মিউজিয়াম, কৈসর মহল, নীলকণ্ঠ মন্দির।
– নেপালের তৃতীয় ঐতিহ্যবাহী শহর হল ভক্তপুর। কাঠমাণ্ডুর পাশেই অবস্থিত এই শহরটি। এখানে প্রধানত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসবাস। এই শহরের প্রাচীন রাজ প্রাসাদটি ইউনেস্কো হেরিটেজ সাইটের অনুমোদনপ্রাপ্ত। ২০১৫ সালের ভূমিকম্পে ভক্তপুরের দরবার স্কোয়্যারের বেশিরভাগ মন্দিরগুলিই ভেঙে গেছে।
– গৌতম বুদ্ধে জন্মস্থান লুম্বিনি ঘুরতে যাওয়া একটা অসাধারণ অভিজ্ঞতা। কাঠমাণ্ডু থেকে লুম্বিনির দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। বুদ্ধদেবের জন্মস্থানটিতে রয়েছে তাঁর মায়ের নামের মায়াদেবী মন্দির।
– লাংতাং জাতীয় অভয়ারণ্য দেখতে গেলে লাংতাং প্রদেশে যেতে হবে। পাহাড়ের মাঝে লাংতাং-এর রোডোডেনড্রনের জঙ্গল দেখে মুগ্ধ হবেন। পাহাড়ি গ্রাম ঘুরে দেখতে দারুণ লাগবে।
– অন্নপূর্ণা সার্কিটের পুন পাহাড় দেখে আসুন। ঘুরে ঘুরে দেখুন আশপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
– কাঠামাণ্ডু নেপালের রাজধানী হলেও পোখরা এদেশের পর্যটন রাজধানী। শহরের হ্রদের ধারে ধারে ঘুরে দেখুন। এখানেই কেনাকাটা সেরে ফেলতে পারেন। পুরোনো পোখরার মন্দিরগুলি দেখতেই হবে। এখানকার ছোটো তিব্বতি বাজার ঘুরে ঘুরে শপিং করতে ভালোই লাগবে।
– ঘুরে আসুন কাঠমাণ্ডু থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার দূরের নাগরাকোট হিমালয়ের ১৩ খানা রেঞ্জের মধ্যে এটি অষ্টম রেঞ্জ। হিমালয়ের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে পাবেন এই নাগরাকোট থেকে।
– নেপালে ঘোরার অনেক আকর্ষণীয় স্থান আছে। তবে একবারে সবকিছু ঘুরে দেখা সম্ভব নয়। পর্যটন সংস্থার প্যাকেজ অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে পারেন।
পেটপুজো
– ব্রেক ফাস্ট শুরু করতে পারেন মোমো দিয়েই। সাত সকালে গরম গরম মোমো আর স্যুপের কোনও তুলনা হয় না।
– লাঞ্চে ডাল, ভাত, তরকারি পাবেন। সবজির মদ্যে আমাদের শীতকালের প্রায় সব ধরনের সবজিই পাবেন এখানে। খাবার দাবার বেশ মশলাদার। রাতে আটা, ভুট্টা কিংবা বার্লির রুটি পাওয়া যায়। মুরগির কিংবা মটন পাবেন। পাবেন মাছও। পর্ক খাওয়ার প্রচলনও এদেশে আছে। সাধারণ দোকানের খাবারের দাম নাগালের মধ্যেই।
– চা পানের অভ্যাস এদেশে যথেষ্ট রয়েছে। চায়ের সঙ্গে থাকে নানা ধরনের স্ন্যাকস্। দার্জিলিং ডুয়ার্সের খাবার দাবারের সঙ্গে নেপালি খাবারের বেশ মিল রয়েছে।
– নেপালের চমরী গাইযের দুধের চিজ বেশ সুস্বাদু এবং বিখ্যাত।
– নেপালের ঘরে ঘরে তৈরি হয় রকসি নামের এক ধরনের মদ। এটি প্রধান সেদেশের দেশি মদ। দামে খুব কম। বর্তমান নেপালে বিয়ার উপাদনের হার অনেকটাই বেড়েছে।
– দার্জিলিঙের মতো উচ্চমান না হলেও নেপালেও প্রচুর চা উৎপাদন হয়। বেশিরভাগ চা-ই বিদেশে রফতানি করা হয়।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-12 18:16:01
Source link
Leave a Reply