সেখানে যা খুশি তাই করা যায়। নেশা, যৌনতা, গালিগালাজ সবকিছু। পর্দায় নায়ক নায়িকা ডিপ্রেশনে চলে গেলেই অ্যালকোহল এবং সিগারেটের আসক্ত হয়ে পড়ে। যেন এসব কোনও ব্যাপারই নয়। রাতে উদ্দাম নেশার পরও দিনের বেলা তাঁরা বিন্দাস সুস্থ শরীরে ঘুরে বেড়ান। চেহারা সুন্দর থাকে, শরীরে মেদের লেশমাত্র নেই, এমনকি চোখ লাল, মাথা ঝিমঝিম বা চোখের নীচে ফোলাভাবও থাকে না। বলাবহাুল্য এসব দেখে অনেকেরই ধারণা হয় যে সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের মতো লাইফস্টাইল মেনে চলাটা হয়তো স্টেটাসের মধ্যে পড়ে। বাড়ি ফিরে শুকনো রুটি তরকারি খেয়ে ঘুমোনোর চেয়ে আকণ্ঠ মদ্যপান করে ঘুমোলে স্বাস্থ্যের বিশেষ কিছু এসে যায় না।
এদিকে আবার বিগ বাজেটের অতি আধুনিক ছবি বা ওয়েব সিরিজে দেখা যায় অফিস কিংবা কলেজের পর ছবির অভিনেতা অভিনেত্রীরা সকলে ডিস্কো-বারে চলে যান। আকণ্ঠ মদ্যপান করে বাড়ি ফেরেন। এত টাকা বা ইমিউনিটি পাওয়ার তাঁরা কোথা থেকে পান সেই প্রশ্ন অবশ্য দর্শকের মনে খুব কম আসে। তবে তাঁদের ভুল লাইফস্টাইল অভিনয় দেখে অনেকেই অনুপ্রাণিত হন। প্রতিদিন অ্যালকোহল পান করে স্টেটাস মেইটেন করার চেষ্টা করেন। আজকাল বাঙালি অনুষ্ঠান বাড়িতেও মদ্যপানের চল হয়েছে। অথচ দেড় দশক আগেও এসবের চল বাঙালি পরিবারগুলিতে ছিল না। তাছাড়া বিশেষ কিছু অ্যালকোহল রয়েছে যেগুলি ত্বকের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। নিয়মিত এগুলি খাচ্ছেন মানে নিজের ত্বকের বারোটা নিজেই বাজাচ্ছেন। আসলে অ্যালকোহল মূলত ত্বকের আর্দ্রতা কিয়ে ত্বককে শুষ্ক করে তোলে। ফলে ত্বক অমলিন দেখায়। ত্বকে বলিরেখা দিতে শুরু করে। সবচেয়ে বড় কথা মুখের ত্বক ফুলে যায়। ফলে দেখতে খারাপ লাগে।
জিন
ফলের রস দিয়ে জিন খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। বিশেষ করে মহিলারা। জিনে থাকে প্রায় ৩৭.৫ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত অ্যালকোহল থাকে। এই অ্যালকোহল ত্বকের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। যদিও তাতে যদি বেশি করে ফলের রস মানে বিশেষ করে ভিটামিন সি যুক্ত ফলের রস মেশানো হয তাহলে তার ক্ষতিকারণ দোষ খানিকটা কেটে যায়। ভদকার সঙ্গেও পারলে ভিটামিন সি যুক্ত ফলের রস (যেমন লেবু, কমলালেবু ইত্যাদি) মিশিয়ে খাওয়া উচিত। অ্যালকোহলের দোষ খানিকটা কাটবে।
টাকিলা
সাধারণ টাকিলা অবশ্যই ত্বকের পক্ষে ক্ষতিকারক। তবে দামি ভালো মানের টাকিলায় চিনির পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে। নুন দিয়ে এক চুমুকে টাকিলা পান করলে ক্ষতি কম হয়। তবে নিয়মিত এটি পান করা ক্ষতিকারণ।
স্প্রিটজার্স
স্প্রিটাজার্স শরীরকে শুষ্ক করে তোলে। তাই এটি খাওয়ার সময় সঙ্গে অনেকটা জল মিশিয়ে পান করা উচিত। এতে ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। হজমও হয় তাড়াতাড়ি।
রেড ওয়াইন
অল্প বিস্তর রেড ওয়াইন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক না হলেও অতিরিক্ত ওয়াই পান শরীরের ক্ষতি করে বটে বিশেষ করে ত্বকের। এই ওইয়ানে থাকে ক্ষতিকারণ অক্সিডেন্ট। অতিরিক্ত রেড ওয়াইন পান করলে ত্বকে কালো ছোপ, বলিরেখা এমনকি ত্বক ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
হোয়াইট ওয়াইন
হোয়াইট ওয়াইনে থাকে প্রচুর পরিমাণে চিনি। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ থাকে খুব কম। এটি নিয়মিত পান করলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। ডায়বিটিস রোগীদের পক্ষে এটি মারাত্মক। ডায়াবিটিস রোগীদের ত্বক খুব তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।
রাম
রাম নামে ভূত ভাগে। কিন্তু শরীরে পক্ষে রাম অত্যন্ত খারাপ। রাম খেলে শরীরের সুগার লেভেল মারাত্মক বেড়ে যায়। অনেকে আবার রামের সঙ্গে সফ্ট ড্রিঙ্ক মিশিয়ে পান করেন। খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে রাম খাওয়া যায়। শীঘ্রই রাম নাম সত্য হয়ে যাবে। আর ত্বকের স্বাস্থ্য তো একেবারে শেষ হয়ে যায়। শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় ত্বক।
মার্গারিটা
ত্বককে শুষ্ক করতে এবং রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে চাইলে মার্গারিটার জুড়ি মেলা ভার। স্লো পয়জনের মতো মার্গারিটা আমাদের শরীরের কাজ কাজ করে। ত্বকের এবং শরীরের খুব তাড়াতাড়ি বারোটা বাজাতে চাইলে এই অ্যালকোহলটি একেবারে চ্যাম্পিয়ন। তবে দিনের শেষে একটা কথা বলা প্রয়োজন। কথাটা সবাই জানেন তাও বলে দেওয়া উচিত। যে কোনও রকমের অ্যালকোহলই স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই পরিমাণ কমের বদলে একেবারে ছেড়ে দিতে পারলে স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-12 15:33:30
Source link
Leave a Reply