হাইলাইটস
- বাঙালিরা একটু কম ব্যবহার করে বটে, তবে মোটামুটি সারা ভারতে এই পাতার ব্যবহার হয় বেশ ভালোমতোই।
- ব্যবহার হয় রান্না ঘরে। মানে রান্নায় এই পাতার দিয়ে তার স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলা হয়। তার উপর এর ভেষজ গুণ যথেষ্ট পরিমাণে থাকায় নিয়মিত এই পাতা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
- পাতার নাম কারি পাতা। তবে উত্তর ভারতের তুলনায় দক্ষিণ ভারতে এই পাতার ব্যবহার বেশি হয়ে থাকে। তরকারি, ডাল, ভাজা, নোনতা সুজি, চিঁড়ের পোলাও ইত্যাদি নানা খাবারে কারি পাতার ব্যবহার হয়ে থাকে।
কারিপাতায় থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, আয়রন, কপার এবং ভিটামিন। এই পাতার নিয়মিত ব্যবহারে শরীর এসবের ঘাটতি পূরণ হয়। শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকর। কারিপাতার পাশাপাশি তার রসও একই রকম উপকারি।
কারিপাতার রস
কারিপাতার রস তৈরি করা বেশ সহজ। একটি পাত্রে এক গ্লাস জল নিয়ে তাতে কয়েকটি কারিপাতা ফেলে সিদ্ধ করে নিন। এবার এটি ছেঁকে জলের মধ্যে অল্প লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে উষ্ণ গরম বা ঠান্ডা করে পান করলে দারুণ উপকার মেলে।
কারিপাতার উপকার
– কারিপাতায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষের নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করে শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে। রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।
– কারিপাতায় আছে উপকারী অ্যালকালয়েড। যে কোনও আঘাত বা জখম অনায়াসে নির্মূল করতে সাহায্য করে এটি। কারি পাতা সিদ্ধ জল চুলকানি, অল্প পোড়া, ইত্যাদি সারাতে ভালো কাজ দেয়। কারি পাতা বাটা খুব ভালো অ্যান্টিসেপ্টিকের কাজ করে।
– কারিপাতা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। খাবারে নিয়মিত কারিপাতা ব্যবহার করল বা নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে চর্বি গলে যায়। ওজন কমে।
– কারিপাতা বা কারি পাতার রসে থাকা আয়রন, জিঙ্ক এবং কপার থাকায় তা ডায়বিটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
– মস্তিষ্ককে সজাগ রাখতেও কারিপাতার জুড়ি পাওয়া ভার। পুরোনো আমলে মানুষরা বলেন নিয়মিত কারিপাতা খেলে বুদ্ধি বাড়ে। আর আধুনিক বিজ্ঞান বসে যে কারিপাতা অ্যামনেশিয়া নিয়ন্ত্রণে দারুণ কাজ দেয়।
– মর্নিং সিকনেস এবং সর্দির হাত থেকেও কারি পাতা বাঁচায়। কারি পাতা খেতে বমিভাব কমে। এবং কারি পাতার নিজস্ব গন্ধ শরীররকে তরতাজা রাখতে সাহায্য করে।
– নিয়মিত কারিপাতা খেলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ হয়। হজমের সমস্যা, গ্যাস ইত্যাদি সেরে যায়।
– চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্যও কারি পাতা খাওয়া খুব ভালো। কারি পাতায় উপস্থিত ভিটামিন এ-র প্রভাবেই চোখের কর্নিয়া ভালো থাকে বলে অনেকে দাবি করেন।
– চুল পড়ার হাতা থেকেও মুক্তি দেয় কারিপাতা। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং ভিটামিন এ ও সি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শুধু তাই নয় ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও কারি পাতার কোনও তুলনা হয় না।
– কারিপাতা বেটে বা তেলে গরম করে মাথার তালুতে হালকা করে মাসাজ করলে তা পুষ্টি পায়। কারিপাতা বাটা এবং দইয়ের মিশ্রণ চুলে মাখলে দারুণ কন্ডিশনারের কাজ দেয়। নারকেল তেল গরম করে তাতে কারি পাতা দিয়ে ফুটিয়ে মাথায় মাখুন। চুল পড়া বন্ধ হবেই। কারি পাতার রস কিংবা কাঁচা কারিপাতা খেলেও চুলের দারুণ উপকার হয়।
– কারিপাতা ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারিতে পরিপূরণ থাকায় এটি হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। নিয়মিত কারিপাতার রস খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ সহজ হয়।
বর্তমানে করোনা ভাইরাসের দাপটে সবাই কাহিল। এই রোগ প্রতিরোধ করতেও কারিপাতা কাজ দেয় বলে অনেকে দাবি করেন। আসলে কারিপাতায় উপস্থিত ভিটামিন সি-র প্রভাবে শরীরের ইমিউনিটি শক্তি বাড়ে বলে অনেকের বিশ্বাস। তবে করোনা প্রতিরোধ করে কিনা এ বিষয়ে গবেষকরা জোর দিয়ে না বললেও শরীরকে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে কারি পাতা যে মহৌষধি তা কম বেশি সকলেই বিশ্বাস করেন।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-07-11 17:43:33
Source link
Leave a Reply