ব্রনের জন্য তৈলাক্ত ত্বককেই সব সময় দায়ী করা হয়। কিন্তু আরও নানা বিষয় আছে, যা অধিকতর ব্রন সৃষ্টির জন্য দায়ী। তাই কেবল তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা দূর করে বা বারবার মুখ ধুয়ে ব্রন থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়।
১। ব্রন কিশোর বয়সের সমস্যা—কথাটা ঠিক। তবে বয়স্ক নারী-পুরুষেরও ব্রন হতে পারে।
২। ব্রনের জন্য ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত খাবারকে দায়ী করা হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে উচ্চ গ্লাইসেমিক সূচকসমৃদ্ধ খাবার, যা রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়িয়ে দেয় (যেমন সাদা ভাত, ময়দার তৈরি খাবার বা মিষ্টিজাতীয় খাবার), ব্রন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে।
৩। মাথায় খুশকির সঙ্গেও ব্রনের সম্পর্ক আছে। খুশকির চিকিৎসা না করা হলে মুখে ব্রন বা দানা হতে পারে।
৪। অতিরিক্ত গরম, আর্দ্র আবহাওয়া, অতিরিক্ত ঘাম, তৈলাক্ত ক্রিম এবং বাজারে প্রচলিত তথাকথিত ত্বক ফরসাকারী ক্রিম বা লোশনের ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্রন তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
৫। পারলারে গিয়ে ঘন ঘন ফেশিয়াল করা এবং অতিরিক্ত মেকআপ করার কারণেও ব্রন হতে পারে।
৬। রাত জাগা, মানসিক চাপ ও উদ্বেগ এবং দুশ্চিন্তাও ব্রনের জন্য অনেক সময় দায়ী। অনেক সময় হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারণে ব্রন দেখা দেয়, যা যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা যায়।
কিছু পরামর্শ
প্রচুর আঁশযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। দুশ্চিন্তা ও রাত জাগা পরিহার করুন। নিয়মিত ব্যায়াম ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে; ওজন কমান। খুশকি থাকলে তার চিকিৎসা নিন। রোদে ছাতা ব্যবহার করুন; খুব গরম পরিবেশ পারলে এড়িয়ে চলুন। ত্বকের ধরন বুঝে যেকোনো পণ্য বা প্রসাধনী ব্যবহার করবেন। ব্রন চিকিৎসার যেকোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। কারণ, ভুল চিকিৎসায় ত্বকের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-09 21:43:30
Source link
Leave a Reply