বেশিরভাগ মানুষই ওজন কমানোর চেষ্টা করে, কিন্তু এমন অনেকেই আছে যারা ক্রমাগত ওজন বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে। স্ট্রেস, বংশগত কারণ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, অনিয়মিত খাবার খাওয়া, শারীরিক অসুস্থতা, ইত্যাদি অনেক কারণেই শরীরের যথাযথ ওজন বৃদ্ধি হয় না। অতিরিক্ত ওজন যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর, ঠিক তেমনই ওজন কম থাকলেও তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। তাই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন কাটানোর জন্য সঠিক ওজন অত্যন্ত জরুরি।
ওজন বৃদ্ধি করতে চাইলে পেট ভরে খাওয়া-দাওয়া করা দরকার। তবে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ওজন বৃদ্ধি করতে অতিরিক্ত তেল, ঝাল, মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল। কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনে চললে, খুব সহজেই শরীরের ওজন বৃদ্ধি করা সম্ভব।
১) শুকনো খেজুর এবং দুধ:
শুকনো খেজুর ভিটামিন এ, সি, ই, কে, বি২, বি৬ এবং থায়ামিন সমৃদ্ধ, যা সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও, শুকনো খেজুর প্রোটিন, শর্করা এবং শক্তির দুর্দান্ত উৎস। এটি অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি ছাড়াই, পর্যাপ্ত পরিমাণে পেশী তৈরিতে সহায়তা করে। তবে ওজন বৃদ্ধির জন্য এক গ্লাস দুধের সাথে যদি শুকনো খেজুর খেতে পারেন, তাহলে এক মাসের মধ্যেই ফল পাবেন হাতেনাতে!
২) ঘি এবং চিনি:
এক চামচ ঘিয়ের সাথে এক চামচ চিনি মিশ্রিত করুন। তারপর এই মিশ্রণটি প্রতিদিন মধ্যাহ্নভোজ বা রাতের খাবারের ঠিক আধঘণ্টা আগে খালিপেটে সেবন করুন। টানা এক মাস এই মিশ্রণটির সেবন, আপনাকে পছন্দসই ফল দিতে পারে।
৩) আম এবং ঈষদুষ্ণ দুধ:
একটি করে পাকা আম, এক গ্লাস গরম দুধের সাথে সেবন করুন। আমে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, চিনি এবং প্রোটিন থাকে, যা দেহের ভর বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক।
৪) প্রতিদিন দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস করুন:
রাতের ঘুম যতটা গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক তেমনি ওজন বাড়ানোর ক্ষেত্রে দুপুরের ঘুমও ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন দুপুরে খাওয়ার পর অন্ততপক্ষে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ঘুমোলে, মন এবং পেশীগুলি রিল্যাক্স হয়। দুপুরের ঘুম যে কেবলমাত্র ওজন বৃদ্ধির করতে সহায়ক তা নয়, রাতের ঘুম ভাল হতেও সাহায্য করে।
৫) খাদ্যতালিকায় পিনাট বাটার অন্তর্ভুক্ত করুন:
প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বা ব্রেকফাস্টে পিনাট বাটার অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন। এটি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, খনিজ এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। এছাড়া, পিনাট বাটারে ক্যালোরি মাত্রা উচ্চ হওয়ায়, দ্রুত ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে দুর্দান্ত কাজ করে। এছাড়া, ওজন বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিনের ডায়েটে কয়েকটি চিনাবাদামও রাখুন।
৬) খাদ্যতালিকায় আলু অন্তর্ভুক্ত করুন:
ওজন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আলু দুর্দান্ত কাজ করে। আলুতে কার্বোহাইড্রেট ভরা থাকে। তরকারি হোক কিংবা মাখনের সাথে বেক বা গ্রিল করে আলু খেতে পারেন। চাইলে মাঝেসাজে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইও খেতে পারেন।
এম ইউ/০৯ জুলাই ২০২১
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-09 13:25:37
Source link
Leave a Reply