হাইলাইটস
- মধুমেহ বা ডায়াবেটিস রোগীরা কী খাবেন আর কী খাবেন না তা নিয়ে একটা দো-টানা তাঁদের মধ্যে কাজ করে।
- বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় কোনো খাবার হলেই প্রথমেই প্রশ্ন চিহ্ন উঠে আসে। তার মধ্যে একটি হল মিষ্টি কুমড়ো।
- এর স্বাদ মিষ্টি। কুমড়ো খাওয়া ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ভালো কিনা তা জানা জন্য অবশ্যই এই প্রতিবেদনটি পড়তে হবে।
মিষ্টি কুমড়োয় রয়েছে অনেকগুলি পুষ্টি উপাদান। তার মধ্যে রয়েছে স্যাপোনিন নামক রাসায়নিক উপাদান, এটি থাকে গাছটির মধ্যে। দেহের হরমোনের বিভিন্ন কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে স্যাপোনিন। এতে রয়েছে শর্করা, প্রোটিন ও ভিটামিন-A। মিষ্টি কুমড়োর বীজের ৩০%-ই অসম্পৃক্ত ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি দেহের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বীজে আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, আয়রন, কপার, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ও প্রোটিন। তাই মিষ্টি কুমড়োর বীজও স্বাস্থ্যের জন্য সুফল দেয়।
কিন্তু ডায়াবিটিসে খাওয়া যায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিষ্টি কুমড়ো কিন্তু ডায়াবিটিস প্রতিরোধের জন্য দারুণ কাজ করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা GI হচ্ছে রক্তে শর্করার মাত্রা পরিমাপের স্কেল। এর মাধ্যমে কোনও খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা বাড়ায় তা জানা যায়। এই স্কেল অনুসারে মিষ্টি কুমড়োর উচ্চ জিআই ৭৫ এবং নিম্ন জিআই ৩। এই উচ্চ জিআইয়ের জন্যই অনেকে মিষ্টি কুমড়া ডায়াবিটিসে খেতে চান না। কিন্তু তা ভুল ধারণা, নিম্ন জিআইয়ের কারণে এটি ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য বেশ উপকারী।
কিন্তু কী পরিমাণ খেতে হবে সেটি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, বুঝে খেতে হবে। খুব বেশি মাত্রায় নয়। ডায়াবেটিক রোগীরা দিনে সর্বোচ্চ ৯০ গ্রাম মিষ্টি কুমড়া খেতে পারবেন। তার বেশি কিন্তু কখনওই না।
ডায়াবিটিসে কুমড়োর উপকারিতা
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে কুমড়োর দুটি যৌগ রয়েছে, যার একটি ট্রিগোনেলিন এবং অন্যটি নিকোটিনিক অ্যাসিড। এই দুটিই ডায়াবিটিসের প্রভাব হ্রাস করতে পারে। শুধু এটিই নয়, প্রচুর গবেষণা হয়েছে যা কুমড়ো ডায়াবিটিসে উপকারী বলে জানা যায়। এর বীজ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, পুষ্টিকর। সাধারণ ভাবে স্নায়ু, দৃষ্টি ও ত্বকজনিত রোগের ক্ষেত্রে এটি উপকারী। শুধু তাই নয়, হৃদরোগ প্রতিরোধেও এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-06 15:15:38
Source link
Leave a Reply