সৌন্দর্যের অন্যতম অংশ হল ঠোঁট। একেক মানুষের ঠোঁটের ধরণ একেক রকম। কারো পাতলা, কারো মোটা। ঠোঁট যেহেতু আমাদের দেহের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ তাই এর সঠিক যত্ন নেয়া খুব জরুরি। বিশেষ করে শীতের সময় আমরা ঠোঁটের বাড়তি যত্ন নিয়ে থাকি কারণ এই সময় শরীরের ত্বকের পাশাপাশি ঠোঁটও অনেক বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। কিন্তু অনেকের আবার শুধু শীতেই নয় সারা বছরই ঠোঁট ফেটে থাকার সমস্যা আছে। তাই দেখা যায় লিপস্টিক দিলেও ভালো লাগে না, ঠোঁট দিয়ে রক্ত বের হয়, কোন কিছু খেতে গেলে ঠোঁটে খুব জ্বালাপোড়া হয়। এবং সমস্যা রোধ করতে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। ঠোঁট সুস্থ ও আকর্ষণীয় রাখতে প্রতিদিন ঠোঁটের যত্ন নিতে হবে। তাই জেনে রাখুন সবসময় ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন।
১। কোমল ও মসৃণ ঠোঁট পেতে আপনাকে প্রতিদিন অল্প হলেও ঠোঁটের পরিচর্যা করতে হবে। সকালে ঘুম হতে ওঠার পর যখন মুখ ধোয়ার পরে যখন ঠোঁট ভিজে থাকবে তখন পরিষ্কার নরম তোয়ালে দিয়ে হালকা হাতে ঠোঁট ঘষুন। এতে খুব সহজেই ঠোঁটের মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
২। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে সামান্য আমন্ড অয়েল নিয়ে ঠোঁটে ম্যাসেজ করুন কিছুক্ষণ। সারারাত রেখে দিন ভালো ফল পাবেন।
৩। ঠোঁটের চামড়া উঠলে কখনো দাঁত দিয়ে কামড়াবেন না বা হাত দিয়ে চামড়া তোলার চেষ্টা করবেন না। হাতে থাকে ময়লা জীবাণু যা দ্বারা ঠোঁটে আরও বেশি সমস্যা দেখ আদিতে পারে।
৪। প্রচুর পরিমাণে পানি করুন। অনেক সময় পানিশূন্যতার কারণে আমাদের দেহ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে যায় এবং এর কারণে ঠোঁটও ফেটে যায়। তাই প্রচুর পানি করা প্রয়োজন।
৫। ঠোঁট ফাটা থাকে লিপস্টিক লাগাতেও সমস্যা হয় এবং ভালো দেখায় না। তাই ফাটা ঠোঁটে লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে সামান্য সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। এর কয়েক মিনিট পর ঠোঁটে সামান্য ফাউন্ডেশন লাগান। আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর লিপস্টিক লাগান।
৬। ঠোঁট ফাটা সমস্যায় কখনোই ম্যাট লিপস্টিক লাগাবেন না এতে করে আপনার ঠোঁট আরও বেশি ড্রাই হয়ে যাবে। তাই লিপস্টিকের ক্ষেত্রে গ্লসি লিপস্টিক লাগানোই ভালো।
৭। মাঝে মাঝে ঠোঁটে লেবুর রস ও চিনি মিশিয়ে হালকা হাতে ম্যাসেজ করুন। লেবুর রসের কারণে ফাটা ঠোঁট সামান্য জ্বলতে পারে কিন্তু কিছুক্ষণ পর আবার ঠিক হয়ে যাবে। ফাটা ঠোঁটের যত্নে আপনি নারকেল তেল বা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন।
এস সি
স্বাস্থ্য | DesheBideshe
2021-07-02 13:33:45
Source link
Leave a Reply