হাইলাইটস
- জন্মের পর ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে মাতৃদুগ্ধই পান করানো উচিত।
- এর ফলে নবজাতকের শরীর সুস্থ ও ফিট থাকে।
- এমনকি মাতৃদুগ্ধ পানের ফলে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়
জন্মের পর ৬ মাস পর্যন্ত শিশুকে মাতৃদুগ্ধই পান করানো উচিত। এর ফলে নবজাতকের শরীর সুস্থ ও ফিট থাকে। এমনকি মাতৃদুগ্ধ পানের ফলে শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ৬ মাস পর ধীরে ধীরে শিশুকে চাল, ডাল, রুটি জাতীয় খাবার দেওয়া শুরু হয়। পাশাপাশি নানান সবজি, ফলও দেওয়া হয়ে থাকে। শিশুকে যখনই এই সলিড খাবার দাবার দেওয়া শুরু হয়, তখন কিছু কিছু বাচ্চারা বিশেষ কিছু খাবারের প্রতি অ্যালার্জিক হয়ে পড়ে।
৬ মাস থেকে ৩ বছর বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে খাবারের কারণে অ্যালার্জি একটি সাধারণ সমস্যা। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রেই এটি অন্যান্য গুরুতর সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতাও বাড়তে পারে এর ফলে।
তাই বাচ্চারা কোন ধরণের খাবার দাবারের প্রতি অ্যালার্জিক, তা জেনে নেওয়া উচিত। এবার প্রশ্ন, শিশু কোন ধরণের খাবারের প্রতি অ্যালার্জিক, তা কী ভাবে জানা যাবে? এই অ্যালার্জির লক্ষণ কী এবং কী ভাবে প্রতিরোধ করা যাবে?
কোন শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জির প্রবণতা বেশি?
৬ থেকে ১২ মাসের বাচ্চাদের মধ্যে খাবারের প্রতি অ্যালার্জি দেখা যায়। কিছু কিছু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে আবার ৩ বছর পর্যন্ত এই অ্যালার্জি থেকে যায়। অ্যালার্জি হওয়ার কোনও নির্দিষ্ট কারণ না-থাকলেও, মনে করা হয় যে, বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অতিরিক্ত পরিমাণে প্রতিক্রিয়া ঘটালে অ্যালার্জির সম্ভাবনা দেখা দেয়।
কোন ধরনের খাবার-দাবারের কারণে শিশুদের মধ্যে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশান দেখা যায়?
সাধারণত চিনাবাদাম, মাছ, ডিম, গম, বাদাম, কাজু, সোয়া দুধ, সোয়াবিন এবং তিলের কারণে বাচ্চাদের মধ্যে অ্যালার্জি দেখা দেয়।
বাচ্চাদের মধ্যে ফুড অ্যালার্জির লক্ষণ কী?
১. কোনও নির্দিষ্ট ধরনের খাবারের প্রতি অ্যালার্জি হলে বাচ্চারা বমি করতে শুরু করে। ডাইরিয়ার সমস্যাও দেখা দেয়।
২. পেটে ব্যথা হতে পারে।
৩. এমনকি শ্বাসকষ্টেও ভুগতে শুরু করে বাচ্চারা।
৪. পেটে গ্যাসের সমস্যা হওয়া অ্যালার্জির অন্যতম লক্ষণ।
৫. মুখ ফুলে যাওয়া। মুখের আশপাশে লাল ছোপ হয়ে যাওয়া এবং চুলকানো।
৬. কোনও খাবারের প্রতি অ্যালার্জি হলে শিশুরা ক্রমাগত হাঁচতে থাকে।
৭. ঠোঁটের আশপাশের অংশ ফুলে যেতে দেখা যায়।
ফুড অ্যালার্জি নিরাময়ের উপায়
১. বাচ্চাকে নতুন কোনও খাবার প্রথমবার দেওয়ার পর ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সেই খাবার পুনরায় দেবেন না। এই ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বোঝা যাবে যে বাচ্চা কোন ধরনের খাদ্যবস্তুর প্রতি অ্যালার্জিক।
২. শিশুর ফুড অ্যালার্জি থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন। তাঁদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করুন, কোন খাবারের কারণে এই অ্যালার্জি রয়েছে।
৩. চিকিৎসকের পরামর্শে সেই খাবার বাচ্চাদের খাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন।
৪. শিশুকে যতটা সম্ভব মাতৃদুগ্ধ পান করান, এর ফলে তারা তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে।
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-07-01 13:38:05
Source link
Leave a Reply