হাইলাইটস
- বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছ ইলিশ মাছ (Hilsa)।
- মাছের রাজা বলা হয় ইলিশ মাছকে। কারণ এটি স্বাদে যেমন অতুলনীয়, তেমনি পুষ্টিতে ভরপুর।
ইলিশ মাছের (Hilsa) নাম শুনলে জিভে জল আসে না এমন বাঙালি আছে কি? বাঙালি ইলিশ দিয়ে রাঁধতে পারে তার তালিকা শেষ হবে না। ভোজনরসিক বাঙালির পাতে বর্ষায় ইলিশ থাকবেই। সরষে ইলিশ, ভাপা, ইলিশ পাতুরি, দই ইলিশ, ইলিশের টক, ভাজা, ইলিশের ডিম আর কত কী! তবে বাঙালির ইলিশ প্রেম যতটা খাঁটি, ইলিশের বাঙালি প্রেমও কিন্তু ঠিক ততটাই। আমরা ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছি ইলিশকে। আর ইলিশও নিজের পুষ্টিগুণে রক্ষা করছে আমাদের। জেনে নিন ইলিশের গুণ।
রক্ত সঞ্চালন- সামুদ্রিক মাছে থাকা ইপিএ ও ডিএইচএ ওমেগা-থ্রি-অয়েল শরীরে ইকসিনয়েড হরমোন তৈরি রুখতে পারে। এই হরমোনের প্রভাবে রক্ত জমাট বেঁধে শিরা ফুলে যায়। ইলিশ মাছ (Hilsa)খেলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। থ্রম্বসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
করোনাকালে জিঙ্কের গুরুত্ব- ইলিশ মাছ (Hilsa) আছে প্রচুর প্রোটিন, জিঙ্ক, ক্রোমিয়াম, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ৷ ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে (Hilsa) রয়েছে ২২.৩ শতাংশ প্রোটিন৷ করোনা কালে জিঙ্কের গুরুত্ব সকলেই এতদিন জেনে গেছেন৷ এছাড়াও জিঙ্ক ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে খুব ভালো৷ সেলেনিয়াম আবার অ্যান্টি অক্সিডেন্টের কাজ করে৷ এছাড়াও রয়েছে ক্যালসিয়াম আর আয়রনের পুষ্টিগুণও৷
বাত- ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের সঙ্গে অস্টিওআর্থারাইটিসের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। প্রতি দিনের ডায়েটে সামুদ্রিক মাছ থাকলে বাতের ব্যথা, গাঁট ফুলে গিয়ে যন্ত্রণার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
হার্টের জন্য খুব ভালো-ইলিশ মাছ এবং ইলিশ মাছের তেল হার্টের জন্যও খুব ভালো৷ যাদের কোলেস্টরল বেশি তারাও ইলিশ মাছ খান৷ কারণ তা খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলকে কমিয়ে দেয়৷ এলডিএল বেড়ে গেলে কিন্ত্ত হার্ট ব্লকের সমস্যা হতে পারে৷
ডিপ্রেশনের জন্যও খুব ভালো- ইলিশ মাছে আরজিনিন থাকায় তা ডিপ্রেশনের জন্যও খুব ভালো৷ তাছাড়া ইলিশ মাছ ক্যান্সার প্রতিরোধক৷ হাঁপানি-র উপশমেও উপকারি৷ আবার সর্দি কাশি প্রতিরোধেও দারুণ কার্যকরী৷
ত্বকের যত্নে- সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে ওমেগা ফ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। নিয়মিত মাছ খেলে একজিমা, সোরেসিসের হাত থেকে রক্ষা পায় ত্বক। ইলিশ মাছে থাকা প্রোটিন কোলাজেনের অন্যতম উপাদান। এই কোলাজেন ত্বক টাইট ও নমনীয় রাকতে সাহায্য করে।
পেটের যত্নে- ডায়েটে তেলযুক্ত মাছ থাকলে পেটের সমস্যা অনেক কম হয়। আলসার, কোলাইটিসের হাত থেকে রক্ষা করে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যসিড।
ইলিশের পাতুরি–ভাপা-ঝাল -ঝোলও সবই সুস্বাদু তাই যেটা ইচ্ছা সেটাই খেতে কোনও বাধা নেই ৷ কিন্তু একটাই জিনিস মাথায় রাখবেন ইলিশ মাছটা যেন প্রচণ্ড কড়া করে না ভাজা হয়৷ কারণ উঁচু আঁচে প্রোটিন যেমন নষ্ট হয়ে যায় ঠিক তেমনিই অন্যান্য গুণগুলিও নষ্ট হয়ে যায়৷ তাই মাছটা যেন কম ভাজা হয় শুধু এটাই নজর রাখবেন৷
Lifestyle News in Bengali, লাইফস্টাইল খবর, Health Tips, Fashion Trends and Tips in Bangla
2021-06-29 12:57:24
Source link
Leave a Reply