হাইলাইটস
- স্পার্ম (sperm)। শুক্রাণু। মানব সভ্যতার আদি রহস্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
- নারীদেহের ডিম্বাণুর সঙ্গে পুরুষদেহের শুক্রাণুর মিলনের (fertilization mode) ফলেই সৃষ্ট এই মানবসভ্যতা।
- না, শুধু মানবসভ্যতাই নয় বিশ্বের যাবতীয় প্রাণীর সৃষ্টি হয় এই দুইয়ের মিলনেই হয়ে থাকে।
মানবদেহ আজও বিশ্বের সমস্ত বিশ্বের কাছে এক রহস্যময় বিষয়। প্রতিদিন নতুন নুতন তথ্য মিলছে এর থেকে। নতুন তথ্য মিলছে বিভিন্ন প্রাণী দেহ থেকেও। গত জানুয়ারি মাসে জীবদেহের এক নয়া রহস্যময় তথ্যের উন্মোচন করেছেন গবেষকরা। বিখ্যাত জার্নাল নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশনে প্রকাশিত হয়েছে স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের এই সাম্প্রতিকতম গবেষণা।
গবেষকদের দাবি, প্রত্যেক প্রাণীর শুক্রাণুর (sperm) আকার এবং প্রকৃতি আলাদা হয়। প্রত্যেকের ডিম্বাণু নিষেকের (fertilization) পদ্ধতি আলাদা আলাদা। ডিম্বাণুর সংস্পর্শে আসার পরই শুক্রাণু সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে। কিন্তু কী কারণে শুক্রাণুর এই বিভিন্নতা?
গবেষণাটি করতে গিয়ে ৩০০০ হাজারটি প্রাণীর শুক্রাণু পরীক্ষা করা হয়েছে। তালিকায় ছিল মানুষ সহ স্তন্যপায়ী, পাখি, কীটপতঙ্গ, মাছ সহ জলজ প্রাণী। এবং সেক্ষেত্রে ২১টি ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের খোঁজ মিলেছে। শরীরের মধ্যে শুক্রাণুর কোষ সবচেয়ে বেশি পরিবর্তনশীল। এই আয়তন ০.০০২ মিলিমিটার থেকে শুরু। এবং নিষেকের সময় তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হযে থাকে।
শুক্রাণুর এই বিভিন্নতা নিয়ে পরীক্ষা করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই বিগত প্রায় ১০০ বছরের জীব বিজ্ঞানের বিবর্তনবাদ নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মূল লক্ষ্য ছিল যে একাধিক স্পার্ম বা শুক্রাণু মধ্যে ডিম্বাণু কোনটিকে এবং কেন বেছে নেয় তা নিয়ে তথ্য জানা। গবেষণায় জানা গিয়েছে যে আকারে বড় শুক্রাণুটিকেই প্রধাণত ডিম্বাণু বেছে নেয়। যদিও বিশেষ কোন স্থানে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু মিলিত হয় তা নিয়ে এখনও ধন্দে রয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পরীক্ষাটি হয় তিন বিভাগে। প্রথমে ভাগে ছিল মাছ জাতীয় প্রাণী যারা শরীরের বাইরে নিষেক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। এক্ষেত্রে পুরুষ প্রাণীটির শুক্রাণু এবং স্ত্রী প্রাণীর ডিম্বাণু জলের মধ্যেই নিষিক্ত হয়।
দ্বিতীয় ভাগে রয়েছে নিম্নবর্গীয় কিছু প্রাণী যাদের শীরের ভিতরে শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়। এই বর্গে রয়েছে পাখি, সরীসৃপ এংব কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী। তৃতীয় ভাগে রযেছে কাঁকড়া, চিংড়ি প্রজাতির প্রাণী। এই প্রানীগুলিও শরীরের বাইরে শুক্রাণু ত্যাগ করে। স্ত্রী প্রাণী সেগুলি শরীরের ভিতর ধারণ করে।
নিষেকের সময় শুক্রাণুর আকার ছয়গুণ পর্যন্ত বড় হয়ে যায়। ডিম্বাণুর ভিতর প্রবেশের পর তার আকৃতি দ্রুতহারে পরিবর্তন হতে থাকে। যে শুক্রাণুগুলি নিষিক্ত হয় না বা শরীর থেকে বেরিয়ে যায় সেগুলির আকার অনেকটাই ছোটো হয়। ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও তথ্য আবিষ্কার হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।
Health and Fitness Tips in Bengali শরীর-গতিক, Yoga and Exercise Tips in Bangla
2021-06-28 13:53:09
Source link
Leave a Reply